‘মুফতি নিয়োগ : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’
০৩ মে ২০২৩, ০৭:৫৫ পিএম | আপডেট: ০৪ মে ২০২৩, ১২:০১ এএম
০১ : ০১. ভূমিকা/সার-সংক্ষেপ : ১. ‘গ্র্যান্ড মুফতী’ বলতে কি বোঝানো হয়? ২. বর্তমানে গ্র্যান্ড মুফতি কাদেরকে বলা হয়? ৩. আমরা গ্র্যান্ড মুফতিদের কিভাবে চিনতে পারি? লক্ষণগুলো কি? ৪. গ্র্যান্ড মুফতি হওয়ার জন্য যোগ্যতা কেমন হওয়া চাই? ৫. গ্র্যান্ড মুফতির বিস্তারিত (নিয়োগ/পদ-মর্যাদা/স্তর/বিধিবদ্ধ নিয়ম/শৃঙ্খলা) আলোচনা কাম্য Ñপ্রশ্নগুলোর জবাবকে কেন্দ্র করে গবেষণাটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
০১ : ০১. Context/Introduction/ Summary : 1. What is meant by ‘Grand Mufti’? 2. Who is the current Grand Mufti? 3. How do we recognize the Grand Muftis? What are the symptoms? 4. What would be the qualifications to be a Grand Mufti? 5. Details of Grand Mufti (Appointment/Rank/Level/Statutory Rules/Discipline) Research is designed to answer discussion questions.
০১ : ০২. মূল শব্দ : গ্র্যান্ড মুফতী, মুফতী নিয়োগ, স্ট্যাটাস্, প্রশাসন, শৃঙ্খলা, মুফতী, মুহাদ্দিস, মুফাসসির, বায়তুল মোকাররম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী, বাংলাদেশ, ইতিহাস।
০১ : ৪ : প্রথমাংশ
৪ : ০১ : ইংরেজী (GRAND)‘গ্র্যান্ড’ শব্দটির বাংলা অর্থ হল : মঞ্জুর, গ্রহণ, অনুমোদন, বৃহৎ, প্রধান, মহৎ, চমৎকার ইত্যাদি। উদাহরণত, ‘ইউনিভার্সিটি গ্রান্ড কমিশন’ মানে ‘বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন’ অর্থাৎ যারা বা যে কমিশন বা কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিয়ে থাকেন।
৪ : ০২ : উর্দু ও ফার্সী ভাষায় ব্যবহৃত ‘মন্যূর শুদাহ্’ শব্দটির বাংলা অর্থ গৃহীত, অনুমোদিত, অনুমোদনপ্রাপ্ত।
৪ : ০৩ : উক্ত বাস্তবতার নিরীখে আরববিশ্বসহ ইউরোপ, এ্যামেরিকার লোকজন রাষ্ট্রীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন মুফতীকে ‘গ্র্যান্ড মুফতী’ বলে থাকেন। একইভাবে কোথাও কোথাও ‘গ্র্যাান্ড ইমাম’, ‘গ্র্যান্ড খতীব’ ইত্যাদিও বলা হয়ে থাকে। আমাদের উপমহাদেশ অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিশেষভাবে বা পৃথকভাবে মুফতী পদবীও ছিল না এবং নিয়োগও ছিল না; যে কারণে প্রশাসনিক পর্যায়ে বা সাধারণ জনগণের ব্যবহারে এবং দেশাচারে এটি রেওয়াজপ্রাপ্ত হয়নি।
৪ : ০৪ : অবশ্য তাঁদের দেশে তাঁরা এই ‘গ্র্যান্ড মুফতী’ বলে যা বুঝে থাকে অর্থাৎ ‘সরকারী মুফতী’ বা ‘রাজকীয় মুফতী’ বা ‘রাষ্ট্রীয় মুফতী’; আমাদের এ অঞ্চলের জনগণ তা এক বাক্যে বা এক কথায় বলে বা বুঝে থাকে, ‘সরকারী মুফতী’; যদিও বাস্তবে আমাদের এ অঞ্চলে ইতোপূর্বে তেমন নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারী কোন ‘মুফতী’ বা এই শিরোনামের কোন পদের অস্তিত্ব ছিল না।
অবশ্য শিক্ষা বিভাগে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনস্থ বিষয়ভিত্তিক হাদীস/তাফসীর/ফিকহ ও আদব ইত্যাদির বিপরীতে ‘মুহাদ্দিস’, ‘মুফাসসির’, ‘ফকীহ’ও ‘আদীব’ শিরোনামে শিক্ষকগণের বিভিন্ন পদবীর প্রচলন ও পরিচিতি রয়েছে। অর্থাৎ এখানে ‘ফিকহ’ হিসাবে ‘ফকীহ’ শিক্ষক রয়েছেন; ‘ফাতওয়া’ হিসাবে ‘মুফতী’ শিরোনামে নয়।
এখন কেউ প্রশ্ন করতে পারে, (বিশেষত আপনার মত কোন অনুসন্ধানী লেখক বা প্রশ্নকারী) তা হলে ‘ফকীহ’ ও ‘মুফতী’ এর মধ্যে পার্থক্য কি? তার জবাবে বলা যায়, ‘ফিকহ’ ও ‘ফাতওয়া’ এর মধ্যে যে-পার্থক্য বিদ্যমান সেই একই পার্থক্য ফকীহ ও মুফতী’র মধ্যেও বিদ্যমান।
এখন আপনি হয়তো পুন প্রশ্ন করবেন, সেই পার্থক্যটি কী তাতো বুঝে আসলো না? তার জবাবে বলা যায়, প্রাথমিক পর্যায়ের ফিকহ তথা ‘মাসআলা’ এবং চূড়ান্ত পর্যায়ের ফিকহ তথা ‘ফাতওয়া’ এর মাঝে যে পার্থক্য-স্তর বিদ্যমান একজন ফকীহ ও মুফতীর মাঝেও একই পার্থক্য-স্তর বিদ্যমান। অর্থাৎ সব মাসআলা যেমন ফাতওয়া হয় না ঠিক তেমনি কোন ফাতওয়াও মাসআলা’র বাইরে হয় না। একইভাবে সব ‘ফকীহ্’ যেমন ‘মুফতী’ হয় না, তেমনি ‘ফকীহ’ না হয়ে কেউ ‘মুফতী’ও হতে পারে না।
আরেকটু স্পষ্ট করে বলা যায় যেমন: একজন শিক্ষার্থীর ফিকহ বিষয়টির মাসায়েল সার্বিকভাবে শেখা হয়ে গেলে এবং ফিকহর ‘কাওয়াইদ’ (নীতি-মূলনীতি) শেখা হয়ে গেলে তাঁকে একজন ফকীহ বলা হবে, কিন্তু মুফতী বলা হবে না। তবে তিনি যদি ‘উসূলে ইফতা’সমূহ (ফাতওয়া বিষয়ক মূলনীতি/নীতিমালা) ও ‘আদবুল-মুফতী’ (ফাতওয়া লেখার বা ফাতওয়াদানের নিয়ম-পদ্ধতিসমূহ) এবং হাতে-কলমে শেখা ও অনুশীলন করতে গিয়ে চিকিৎসকগণ যেভাবে ইন্টারনি ইত্যাদি প্রাকটিক্যাল করে থাকেন; সেভাবে যখন ওই ফকীহ এক বা একাধিক বিশেষজ্ঞ উস্তাদের কাছে হাতে-কলমে ফাতওয়া লিখনের অনুশীলনও করে নেবেন তখন তাঁকে একজন মুফতীও বলা হবে।
এবার আশা করি পার্থক্যটি বুঝতে আপনার কষ্ট হবে না। আমার এ অনুসন্ধানের প্রতিটি কথার বাস্তব প্রমাণ আল্লামা ইবনু আবেদীন শামী র. এর রাদ্দুল-মুহতারের ভূমিকা অংশ তথা ‘রসমুল-মুফতী’ ও অপরাপর সব ‘উসূলে-ইফতা’ গ্রন্থাদিতে বিদ্যমান।
৪ : ০৫ : ‘গ্র্যান্ড’ শব্দটি ফিকহ-ফাতাওয়ার বা এতদসংক্রান্ত কোন কিতাবী শব্দ নয়; যেমন কিনা ‘মূফতী’ শব্দটি সংশ্লিষ্টজনকে ফাতওয়া-বিশেষজ্ঞ হিসাবে বোঝানোর জন্যে বলা হয়, লেখা হয় বা ব্যবহার করা হয়; তবেমূফতী শব্দটি ফিকহ-ফাতাওয়ার পারিভাষিক ও কিতাবী শব্দও বটে। অবশ্য বাস্তবতার নিরীখে ও আভিধানিক বিবেচনায় যেহেতু তিনি সরকারীভাবে বা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত বা তাঁর নিয়োগ অনুমোদিত, অনুমোদনপ্রাপ্ত সে হিসাবে তাঁকে ‘গ্র্যান্ড মুফতী’ বলা হয়। (চলবে)
লেখক: মুফতী আবদুল্লাহ, মুফতি, ইসলামিক ফাউন্ডেশেন
বিভাগ : ধর্ম দর্শন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মাগুরার শালিখায় অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করি আর হাসিনার ভরসা ভারতে -দুলু
বাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন
২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের
ঢাকায় ‘হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) বিশ্বের নারীদের আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
চার ভাগে ফিরবেন ক্রিকেটাররা
চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় আসতে দেবেন না: হাসনাত
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে
ইজতেমা মাঠকে যারা খুনের মাঠে পরিণত করেছে তারা সন্ত্রাসী
আসছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ২ ভারতীয় নাগরিককে স্বদেশে ফেরত
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র দু পক্ষে সংঘর্ষ,৩ জন গুলিবিদ্ব সহ আহত ১০
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব-তামিমকে পাওয়া যাবে: ফারুক
ইজতেমা মাঠে হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করুন
কলাপাড়ায় অটোরিকশা উল্টে শিশুর মৃত্যু
আগামীকাল পঞ্চগড়ে বিএনপির জনসমাবেশ
ব্যাক্তিস্বার্থ পরিহার করে, দেশ ও দলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: ইলিয়াস পাটোয়ারী
সখিপুরে বিদ্যুৎষ্পৃষ্টে ডিস ব্যবসায়ীর মৃত্যু
যারাই সুযোগ পেয়েছে তারাই দেশের সাথে বেঈমানী করেছে: ডা. মু. তাহের
পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো মৌমাছি ও মধু সম্মেলন