সচ্চরিত্রবান ব্যক্তির হাতে জান্নাতের চাবি

Daily Inqilab অধ্যাপক, মীর মোশারফ হোসেন

২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম

চরিত্র মানুষের আচারণগত একটি দিক। সচ্চরিত্র মানুষের অর্জিত অমূল্য সম্পদ। সচ্চরিত্র অর্জনের কোনো বিনিময় নেই। এটি মানুষের পরিপূর্ণ ব্যাবহারিকগুণ। সচ্চরিত্র অর্জনের দুটি ধারা। এক জ¦ীনা ব্যভিচার মুক্ত থাকা। ব্যভিচারের অপরাধ চর্মের সংস্পর্শেই ঘটে থাকে। সুতরাং শারীর থেকে যৌনাঙ্গ বিচ্ছিন করাও যেমন সম্ভবপরনয় তেমনি জীবন থেকে দুশ্চরিত্রের ছাপ মুছে ফেলাও সম্ভাব হয় না। আজীবন এর মর্মন্তুত গ্লানি বয়ে বেড়ানো ছাড়া উপায় থাকে না।পৃথিবীতে অনেক মূল্যবান বিষয় আছে যা অর্থ এবং কোনো কিছুর বিনিময়ে লাভ করা যায়। কিন্তু সচ্চরিত্র কখনো বিনিময় যোগ্য নয়। এটা ব্যক্তির শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ব্যাবহারিক ও আচরণগত সর্বশ্রেষ্ঠ গুণ। দুই, সচ্চরিত্র অর্জনের প্রথম ধারার সাথে দ্বিতীয় ধারা সাপেক্ষ। সত্যবাদিতা, সততা সৎসাহস, কর্তব্য নিষ্ঠা, দায়বদ্ধতা,বুদ্ধিমত্তা প্রভৃতি গুণাবলীর অধিকারী হওয়া। এ সব গুণাগুণ প্রথম ধারার সাথে সংশ্লিষ্ঠ। প্রথম ধারার ব্যভিচার মুক্ত ব্যক্তিই এ সব মানবিক গুণগুলো অর্জন করতে সক্ষম হয়।

সকল পাপের মূল হচ্ছে ব্যক্তির মধ্যে মিথ্যার বাসনা। গাছ মাটির উপরে স্থির ভাবে বিরাজমান থাকার মূলে রয়েছে মাটির মধ্যে শিকরের সাথে তার গভীর বন্ধন। ব্যক্তির অপরাধের মূলেও থাকে মিথ্যার সাথে নীতির বন্ধন। মিথ্যাশ্রয়ী ব্যক্তির বিচারিক চেতনা মিথ্যার সূত্রে সত্যকে পরাস্থ করে মিথ্যাকে সত্য বলে তুলে ধরা। ব্যক্তি যখন সত্যে বিশ^াসী হয়, সততা তখন অতি সহজেই তার চিন্তা চেতনায় বর্হির্প্রকাশ পায়। বিবেক তাকে অসৎকাজে বাধা প্রদান করে থাকে। সত্যনিষ্ঠার মাধ্যমে ব্যক্তি তখন সততার আশ্রয় নেন। জ¦ীনা-ব্যভিচারের মত কঠিন পাপ করতে সে ভয় পায়। ব্যভিচারের পরিনাম, আল্লাহ প্রদত্ত দুনিয়া ও পরকালিন কঠিন শাস্তি তার মনকে অপকর্ম হতে বিরত থাকতে উজ্জিবীত করে।

সচ্চরিত্র মানুষের মহামূল্যবান সম্পদ। এ সম্পদ আজীবন কঠিন সাধানার মাধ্যেমে অর্জন করতে হয়। এ সাধনার মূলে ব্যক্তির পঞ্চইন্দ্রিয়ের ভোগমোহকে বর্জন করে বৃহত্তর স্বার্থ জান্নাত লাভের আশায় আল্লাহতায়ালর প্রতি ভয় ও ভরসা রেখে জীবন চলতে হয়। রাসুলে করিম সা. উত্তম চরিত্রের মর্যাদা তাহাজ্জুদ গোজার ও অবিরাম সিয়াম সাধনা কারীর চেয়েও অধিক বলেছেন। জীবনভর রোজা রাখা আর রাতের পর রাত তাহজ্জুদ পরা বড় কঠিন সাধনা। আল্লাহতায়লা সচ্চরিত্রের পুরষ্কার ঘোষনা করে বলেছেন “ বান্দা তোমর চরিত্রকে সুন্দর কর আর জান্নাতুল ফির দাউসের চাবি হাতে নাও। আল্লাহ রব্বুল আলামীনের এ অঙ্গিকার, নামাজ রোজা, পর্দা, তেলাওয়াত, জিকির ও দানের বিনিময় নয়, সচ্চরিত্রের বিনিময়ে। সচ্চরিত্রবান বান্দার এবাদত আল্লাহর কাছে গ্রহণ যোগ্য। হাদিসে আছে“ উত্তম চারিত্রিক গুণাবলীর অধিকারী মুমিনের সারাদিন রোজা ওে সারারাত নামাজের সওয়ার প্রদান করা হয়”। অর্থ হলো, যে বান্দা মুমিন, সে আল্লাহর দেয়া ফরজ বিধানগুলো যথাযথ পালন করে, খুব বেশী নফল রোজা আদায় করে না কিন্তু যে সচ্চরিত্রবান। তবে মহান আল্লাহ তায়লা তার এ সচ্চরিত্রের দরুন ঐ সবওলি আল্লাহদের সমপরিমাণ সওয়াব তাকে দান করবেন, যারা সারাদিন রোজা ও সারাদিন নফল নামাজ পালন করে। সচ্চরিত্র অর্জন যেমন কঠিন তেমনি সহজ, শুধুমাত্র আল্লহ তায়লার ফরমান পালনার্থে আল্লাহ প্রদত্ত কঠিন শাস্তি দোষককে ভয় করা এবং আল্লাহ তায়লা ঘোষিত অনন্ত শান্তি জান্নাতে বিশ^াসী থাকা।

ইংরেজী প্রবাদে আছে, ঈযধৎধপঃবৎ রং ঃযব ঈৎড়হি ড়ভ সধহ. অর্থাৎ চরিত্র হলো মানুষের মূকুট স্বরূপ। মূকুট শরীরের শোভা, সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। শরীরে যত মূল্যবান পোষাক থাক না কেন, উর্ধ্ব অঙ্গে ব্যবহৃত মূকুটের সৌন্দর্য ব্যক্তির শরীরে শোভাও মর্যাদা বৃদ্ধি করে। মানুষের চারিত্রকগুণ বহুমূখী। তার মধ্যে নৈতিক চরিত্রই ব্যক্তির চরিত্রের পরিচয়ে অগ্রে স্থান পায়। নৈতিক চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তিই অন্যান্য চারিত্রিক গুণাবলীর ধারক বাহক হয়ে থাকে। সচ্চরিত্রবান ব্যক্তি সত্যনিষ্ঠ, ন্যায় পরায়ন, বিনয়ী ও আত্মসংযমী হয়। সে অন্যায় কে প্রশ্রয় দেয় না, ক্রোধে আত্মহারা হয় না এবং নিজগর্বে গর্বিত হয় না,কারও সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করে না। চরিত্র গঠনের প্রথমও প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে পরিবার।

শিশুর মানসিক শিক্ষার প্রকৃষ্ট সময় এক থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত। শিশু এ সময়ে শুধু অনুকরণমূলক শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে বড়দের নিকট হতে। সৎ ও সততার প্রশিক্ষণ শিশুকে দিতে হয় কৈশর পর্যন্ত। ধর্মীয় বিশ^াস, সত্যবাদিতা,বিনয় ন¤্রতা, দয়া, ক্ষমা, নিয়মানুবর্তিতা অপচয়, পূণ্য প্রভৃতি শিশুর অন্তরে দৃঢ় বিশ^াস জন্মানো পিতামাতার দায়িত্ব। নৈতিকতা সমৃদ্ধ বই পত্র মহাপুরুষদের জীবনী পড়ার অভ্যস্ত করা একান্ত কর্তব্য। এসময়ে শিশুকে সত্য- মিথ্যা, পাপ- পূণ্য,ন্যায়- অন্যায়, হালাল- হারাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেয়া অত্যন্ত জরুরী বিষয়। শিশুর কমল মনে এসব বিষয়গুলো অতি সহজেই প্রভাব পরে। মিথ্যা বললে পাপ হয় পাপের ফলে শাস্তি পেতে হয় এসব নীতি নির্ধারক বিষয়গুলো শিশু সহজেই বিশ^াস করে,কারণ শিক্ষক তার পিতামাতা। পিতামাতাই শিশুর একমাত্র বিশ^স্ত ব্যক্তি কারণ জন্মগত সম্পর্ক ও সাহচর্য। সুতরাং আদর্শবান পিতা মাতার সন্তানই আদর্শবান হয়। আদর্শবান সন্তানের দ্বারাই আদর্শ পরিবার ও সমাজ গঠিত হয়। আদর্শ সমাজের মাধ্যমে আদর্শ জাতি গঠন করা যায়।

পরিবেশ মানুষের জীবনে গভীর ভাবে রেখাপাত করে। পরিবেশ মানুষকে সৎ অসতে প্রভাবিত করে। সামাজিক জীব হিসেবে মানুষের জীবন চলার ক্ষেত্রে সঙ্গির প্রয়োজন দেখা দেয়। তাই সৎ সঙ্গ শিশুর জীবনে অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ। সব বয়সেই যেহেতু সৎ সঙ্গের প্রভাব থাকে সেহেতু সবাইকে সৎসঙ্গীর সাথে চলাফেরা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুতরাং সব বয়সেই অসৎ সঙ্গী থেকে দূরে থাকতে হয়।

সঙ্গ দোষ ও সঙ্গগুণ দ’টোই ক্রিয়াশীল। সঙ্গ দোষে দোষী ব্যক্তি সুপথে ফিরে আসার সংখ্যা নগন্য। অসৎসঙ্গির কারণে বাস্তবে যা ঘটছে, আজ তা কারও অজানা নয়। রাছুলে করিয় সা. বলেছেন “ নেককার সাথি ও অসৎ সাথীর দৃষ্টান্ত একজন আতর রহনকারী ও একজন কামারের মত। আতর রহনকারী হয় সে তোমাকে আতর দেবে অথবা তুমি তার থেকে আতর খরিদ করবে, আর নাহলে কমপক্ষে তুমি তার থেকে সুঘ্রাণ পাবে। আর কামার সে হয় তোমাকে পুড়িয়ে দেবে অথবা তুমি তার থেকে দূর্গন্ধ অনুভব করবে”। এ হাদিসের বর্ণিত উদাহরন থেকে অতিসহজেই অনুমেয় যে, সৎ ও অসৎ সঙ্গির স্বভাবজাত প্রভাব সঙ্গির পর অনিবার্য। সচ্চরিত্র গঠনে এ হাদিসটি ছোটদের জন্য দৃষ্টান্ত স্বরূপ যার প্রযোজোক কর্তা পিতামাতা। বড়দের ব্যাপারেও হাদিসে আসছে “ বন্ধু নির্বাচন করলে তাকে বন্ধুর দ্বীনের উপর চিন্তা করতে হবে কাকে সে বন্ধু বানাবে”। অর্থাৎ দ্বীনদার ব্যক্তিই মুমিনের প্রকৃত বন্ধু।

বন্ধু নির্বাচন সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাকে সততার সাথে সত্যবাদীদের সাহচার্য অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছেন- “হে ঈমানদারগণ আল্লাহকে ভয় কর আর শুধু সত্যবাদীদের সাথে থাক”। বন্ধু নির্বাচন নিয়ে ইংরেজিতে প্রবাদ আছে- অ সধহ শহড়ংি ষড়ু ঃযব পড়সঢ়ধহবু যব শববঢ়ং.

অর্থাৎ বন্ধু নির্বাচনে বন্ধুকে জেনে, শুনে, বুঝে তবেই বন্ধু নির্ধারণ করা প্রয়োজন। রাছুল করিম সা. নিজের অধিক মহব্বতের কথাব্যক্ত করে বলেছেন “কিয়ামতের দিন আমার কাছে ঐ ব্যক্তিই সর্বাধিক প্রিয় যার চরিত্র ভালো। সচ্চরিত্রবান বান্দাকে আল্লাহতায়ালা উত্তম পুরুষ্কার হিসেবে জান্নাতুল ফেরদাউসের ঘোষণা দিয়েছেন। আল্লাহর নবীও তাঁর সচ্চরিত্রবান উম্মতকে জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করেছেন। আল্লাহর নবী বলেন “ “কেয়ামতের দিন আমলের পাল্লায় সবচেয়ে ভারী আমল হবে সচ্চরিত্র”। পাপ পূর্ণ্যরে ফল আখেরাতের জীবনে অবশ্যই প্রদান করা হয়। এ বিশ^াসে বিশ^াসীগণ আল্লহ প্রদত্ত শাস্তিকে ভয় করে বিধায় জ¦ীনা - ব্যভিচারের দিকে তাকায় না।

টি.ভি অম্লীলতায় ভরা। ইন্টারনেট, স্মার্টফোন তো চরিত্র বিধ্বংশী যৌনযন্ত্র। ধ্বংসের যত উপকরণ আছে তা আজ ঘরে ঘরে শোভায় পরিণত হয়েছে। আমদের শিক্ষা সংস্কৃতি পাশ্চাতের অপসংস্কৃতির উষ্ণ জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে। এ ¯্রােতে আত্মাহুতি দিচ্ছে আমাদের মুসলিম যুবক যুবতীরা।

চারিত্রিক সৌন্দর্যের সাথে দৈহিক সৌন্দর্যের কোন সম্পর্ক নেই। আল্লাহ তায়ালা মানুষের দৈহিক সৌন্দর্য দেখেন না, তিনি দেখেন বান্দার চারিত্রিক সৌন্দর্য ও সরল অন্তকরণ। অন্তরের অনুভূতি আচরণে প্রকাশ পায়। পবিত্র অন্তরের অনুভূতির বহিপ্রকাশ হচ্ছে সচ্চরিত্র। পবিত্র অন্তর অর্জনের উপায় হচ্ছে আল্লাহ তায়লার ধ্যান খেয়ালকে অন্তরে পোষণ করা। সুতরাং মানুষ যখন আল্লাহ তায়লার প্রতি পূর্ণ আস্থাশীল হয়, তখন চরিত্র বিনাশকারী কর্মকান্ড থেকে সে নিজেকে রক্ষা করতে পারে অর্থাৎ আল্লহ তায়লাই তাকে রক্ষা করেন। হাদিসে আছে ‘ যে কামনা সুন্দরী কোনো নারী আলিঙ্গন থেকে আত্মরক্ষা করতে পারে সে জান্নাতী”। হযরত ইউসুব আ. জুলায়খার কামনা হতে রক্ষার জন্য আল্লাহর প্রতি নিজেকে সফর্দ করে ছিলেন বিধায় আল্লাহতায়লা তাকে তাৎক্ষণিক ভাবে রক্ষা করে ছিলেন। আল্লাহর কোনো বান্দা বান্দী এ ধরনের সমস্যায় নিúতীত হলে সে যদি আল্লহ তায়ালার উপর নিজেকে ছেড়ে দেয়, মহান রববুল আলামীন তাঁর বান্দার সন্ত্রম
রক্ষার ব্যবস্থা করতে বিন্দু মাত্র দেরী করেন না।
ইংরেজি প্রবাদে আছে ডযবহ রং সড়হবু ষড়ংঃ রং হড়ঃ হড়ঃযরহম ষড়ংঃ. অর্থাৎ আর্থিক ক্ষতি কোনো ক্ষতি নয় কেননা শ্রম ও চেষ্টার মাধ্যমে তা পূরণ করা সম্ভব। ডযবহ রং যবধষঃয ষড়ংঃ রং ংড়সবঃযরহম ষড়ংঃ. স্বাস্থ্য নষ্ট হলে, স্বাস্থ্য সেবা সত্ত্বেও তা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাওয়া যায় না। ডযবহ রং ঈযধৎধপঃবৎ ষড়ংঃ রং বাবৎুঃযরহম ষড়ংঃ. অর্থাৎ ব্যক্তি যখন তার চরিত্রকে নষ্ট করে ফেলে, তখন সে সম্পূর্ণই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কেননা সচ্চরিত্র মানুষের সর্বোত্তম আচরণমূলক গুণ। এ গুণ একবার বিনষ্ট হলে তা পূরণ যোগ্য নয়। আজীবন তার গ্লানিবয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। পরকালেও এ পাপের কঠিন শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা তাঁর কোরান পাকে সূরা বনি ইসরাইলের বত্রিশ নং আয়াতে বলেছেন, “ব্যভিচারের ধারের কাছেও যেয়ো না। এটা অত্যন্ত নিলর্জ্জতা ও চূড়ান্ত পর্যায়ের খারাপ পথ অবলম্বন করা। ব্যভিচারের শাস্তিগুলোর মধ্যে একটি উল্লেখ যোগ্য বর্ণণা হচ্ছে;-“ব্যভিচারি নারী পুরুষকে দোযকের ভেতর একটি গর্তে উলঙ্গ অবস্থায় পোড়ানো হবে”। সে গর্তের নীচের মুখ ছোট উপরের মুখ প্রশস্থ। ব্যভিচারী নারী পুরুষ সেখানে আগুনে জ¦ালবে । তারা গর্তের নীচের মুখে দৌড়ায়ে গেলে আগুন পিছে পিছে যাবে। আবার উপরে মুখে দৌড়ায়ে গেলে আগুন তাদের বেরিকেট দিয়ে পুড়াতে থাকবে। এ ভাবে ব্যভিচারী নারী পুরুষ অনন্তকাল ধরে আগুনে পুড়তে থাকবে। হায় অপকর্মে লিপ্ত নারী পুরুষ। ধীক তোমার মানব জীবন। তুমি তো পশুর চেয়েওে নিকৃষ্ট। আল্লাহতায়ালা তার কালেমে পাকে বলেছেন- “উলায়িকা কালআনয়ামি বাল হুম আদাল। অর্থাৎ তারা চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায় বরং তার চেয়েও নিকৃষ্ট”।

ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে- “অ সধহ রিঃযড়ঁঃ ঈযধৎধপঃবৎ রং রহ ঃড় ধহরসধষ” অর্থাৎ চরিত্রহীন ব্যাক্তি পশুর চেয়ে অধম। চরিত্রবান হতে হলে লোভ- লালসা ও অসৎ প্রবৃত্তির নানা কু প্রলোভেন পরিহার করার শক্তি অর্জন করতে হয়। এ শক্তি অর্জনের একমাত্র পথ ইসলামের অনুশাসন মেনে চলা। মনুষ্য সমাজে চরিত্র বলেই লোকে অমরতা লাভ করে থাকে। প্রতিভাবান ব্যক্তিও যদি চরিত্রবান না হয়; তাহলে সে সমাজে শ্রোদ্ধা অর্জন করতে পারে না। এ জন্যই বলা হয়, দুজন বিদ্যান হলেও পরিত্যক্ত। চারিত্রিক মাধুর্যের অধিকারী মানুষই অমরতা লভ করে। সমাজ ও ইতিহাসের পাতায় তার নাম ভাস্বর হয়ে থাকে।

লেখক: শিক্ষাবিদ, গবেষক, ইসলামী চিন্তাবিদ


বিভাগ : ধর্ম দর্শন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

সব বিষয়ে পাস, বাস্তব প্রশিক্ষণে নম্বর না দেয়ায় ফেল ১৩ শিক্ষার্থী

সব বিষয়ে পাস, বাস্তব প্রশিক্ষণে নম্বর না দেয়ায় ফেল ১৩ শিক্ষার্থী

হজ পালনে সউদী গেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ জন বাংলাদেশি

হজ পালনে সউদী গেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ জন বাংলাদেশি

২২ মে থেকে বাজারে নওগাঁর আম, সবশেষে আম্রপালি

২২ মে থেকে বাজারে নওগাঁর আম, সবশেষে আম্রপালি

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

৬৪ বছর বয়সে বিমান চালনার স্বপ্ন-পূরণ

৬৪ বছর বয়সে বিমান চালনার স্বপ্ন-পূরণ

টঙ্গীতে প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন

টঙ্গীতে প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন

ইসরায়েলি অভিযান, রাফা ছেড়েছেন ৬ লাখ ফিলিস্তিনি

ইসরায়েলি অভিযান, রাফা ছেড়েছেন ৬ লাখ ফিলিস্তিনি

র‍্যাব-১১ হাতে ২২ বছর পর স্ত্রী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্বামী গ্রেপ্তার

র‍্যাব-১১ হাতে ২২ বছর পর স্ত্রী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্বামী গ্রেপ্তার

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে আরও দেশের প্রতি আহ্বান এরদোয়ানের

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে আরও দেশের প্রতি আহ্বান এরদোয়ানের

বাগেরহাটে সংসদ সদস্যের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন

বাগেরহাটে সংসদ সদস্যের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন

এই ট্রেনে চড়েই চলে যাবেন বিশ্বের একেবারে শেষ প্রান্তের… কোথায় জানেন

এই ট্রেনে চড়েই চলে যাবেন বিশ্বের একেবারে শেষ প্রান্তের… কোথায় জানেন

পশ্চিমবঙ্গের মালদহে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

পশ্চিমবঙ্গের মালদহে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

হংকং-সিঙ্গাপুরের পর এবার নেপালে নিষিদ্ধ হলো ভারতীয় মশলা

হংকং-সিঙ্গাপুরের পর এবার নেপালে নিষিদ্ধ হলো ভারতীয় মশলা

চবি ঝর্ণা দেখতে এসে ঝরে গেল আরও একটি প্রাণ

চবি ঝর্ণা দেখতে এসে ঝরে গেল আরও একটি প্রাণ

ইউরোপের নির্বাচনে কড়া শরণার্থী নীতি কতটা প্রভাব ফেলবে?

ইউরোপের নির্বাচনে কড়া শরণার্থী নীতি কতটা প্রভাব ফেলবে?

নামাজের সময় মসজিদে ধরিয়ে দেওয়া হলো আগুন, নিহত ১১

নামাজের সময় মসজিদে ধরিয়ে দেওয়া হলো আগুন, নিহত ১১

চৌদ্দগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫

চৌদ্দগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫

ফিলিপাইনের জাহাজের অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করছে চীনা কোস্টগার্ড

ফিলিপাইনের জাহাজের অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করছে চীনা কোস্টগার্ড

গাজায় জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান আরব লিগের

গাজায় জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান আরব লিগের

আর‌ও এক বিরল রোগের ঝুঁকি, ফের কাঠগড়ায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা

আর‌ও এক বিরল রোগের ঝুঁকি, ফের কাঠগড়ায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা