॥ মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান ॥

ইসলামী আইনে অমুসলিমদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার অধিকার

Daily Inqilab ইনকিলাব

০৭ মার্চ ২০২৪, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৪, ১২:০৭ এএম

(পূর্বে প্রকাশিতের পর)

 


তাছাড়া বর্তমানে অবস্থারও পরিবর্তন ঘটেছে। এখন বিশ্বের সর্বত্র ইসলামের দাওযাত পৌছে গেছে। লক্ষ লক্স মুসলমান অমুসলিম শাসনাধীন অঞ্চলে বসবাস করে। এমতাবস্থায় খৃষ্টান, ইয়াহুদী, হিন্দু অথবা অন্যদের উপর যদি জিযিয়া আরো করা হয় তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই খৃষ্টান্দ এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর শাসনাধীন অঞ্চলে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে মুসলিম আইনবিদগণ অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, জিযিয়া আরোপ করার সময় এ বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে।

একটি হাদীসে এরূপ উল্লেখ আছে যে, নবী করীম (সা:) মৃত্যুশয্যায় থাকা অবস্থায় হিজাজের খৃষ্টান ও ইয়াহুদী অধিবাসীদের অন্যত্র স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছিলেন। হাদীস শরীফে এ ধরনের নির্দেশ প্রদানের কোন কারণ উল্লেখ করা হযনি। তবে এটা স্পষ্ট যে, এ বিধানটি সর্বসাধারণের জন্য প্রযোজ্য ছিল না। বরং কিছুসংখ্যক লোকের বিরুদ্ধে তাদের রাজনৈতিক আচরণের কারণে এরূপ অবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

বলে রাখা আবশ্যক যে, খোলাফায়ে রাশেদীনের আমলে অনেক মুসলমানের দাস-দাসী ছিল অমুসলিম। তাদের অনেকেই মনিবের সঙ্গে মক্কা ও মদীনায় বসবাস করত। এ প্রসঙ্গে একজন খৃষ্টান চিকিৎসকের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে। পবিত্র কা’বা ঘরের মিনারের নিচেই ছিল তার চিকিৎসা কেন্দ্র (ইব্ন সা’দ) ঐতিহাসিক ইবন সা’দ আরো উল্লেখ করেছেন যে, জুফাইনা নামক একজন খৃষ্টান মদীনার একটি স্কুলের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শিখাতেন।

পরিশেষে নবী করীম (সা:) এর আরো দুটি হাদীসের উল্লেখ করা যেতে পারে। আল-মাওয়ারদী থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম (সা:) মৃত্যুশয্যায় শায়িত অবস্থায় বলেছেন, আমার তরফ থেকে অমুসলিম নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে, নিষ্ঠার সঙ্গে তা প্রতিপালন কর। তিনি আরো বলেছেন যে, কোন অমুসলিমের উপর যে নির্যাতন চালাবে, মেষ বিচার দবিসে সে আমাকে নির্যাতিতের পক্ষে সুপারিশকারী হিসাবে দেখতে পাবে (আবু দাউদ)। নবী করীম (সা:) আমাদের জন্য যে নির্দেশ রেখে গেছেন, নিজের জীবনে পরবর্তীকালের মুসলমানগণ এগুলোকেই আইন হিসাবে বিন্যস্ত করেছেন এবং বাস্তব জীবনে অনুসরণ করেছেন নিষ্ঠার সাথে। এখানে তার কিছু উদাহরণ উপস্থাপন করা হলো ঃ

একবার মহান খরীফা হযরত উমর (রা:) সিরিয়ার গভর্ণরকে রাজস্বের হিসাব সংরক্ষণের জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ একজন গ্রীক অধিবাসীকে মদীনায় পাঠানোর নির্দেশ প্রযোজ্য। মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার-উপযোগী একটি বিখ্যাত আইন গ্রন্থের নাম হিদায়া। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, যে কোন প্রকার নিন্দা বা অপবাধ সেটা মুসলমান অথবা জিম্মী (অমুসলিম) যারা বিরুদ্ধেই হোক না কেন, তা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। ‘বাহর আর রায়ক’ নামক আইন গ্রন্থে আরো উল্লেখ আছে যে, একজন মৃত মুসলমানের দেহাবশেষ যেভাবে সম্মান করতে হয় তেমনি সম্মান করতে হয় একজন অমুসলিম (জিম্মী)-এর মৃতের দেহাবশেষকে। তাকে কোনভাবেই অপবিত্র করা যাবে না। কারণ কোন অমুসলিমকে যদি জীবদ্দশায় নিরাপত্তা দেওয়া হয়, হিফাজত করা হয় অন্যায় অপবাদ থেকে তাহলে তার মৃত্যুর পর সকল প্রকার অপবাদ অপবিত্রতা থেকে রক্সা করাটাও বাধ্যতামূলক। ফকীহগণ ঐকমত্য পোষণ করেছেন যেমন শাস্তি সে পেত একজন মুসলিম রমনীর অমর্যাদা করলে। এ ব্যাপারে ইসলামী আইনবিদগণের মধ্যে কোন মতানৈক্য নেই।

খলীফা হযরত উমর (রা:)-এর আমলের ঘটনা। কিছুসংখ্যক মুসলমান একজন ইয়াহুদীর জমিতে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। খলীফা উমর (রা:)-এর কাছে এ সংবাদ পৌছে, তখন তিনি মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলার এবং উক্ত জমিখন্ড ইয়াহুদী মালিককে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে লেবাননের খৃষ্টান শিক্ষাবিদ অধ্যাপক কারদাহী লিখেছেন ঃ বায়তুল ইয়াহদীর সেই বাড়িটি এখনও বিদ্যামান রয়েছে (প্রাইভেট ইন্টারন্যাশনাল ল অফ ইসলাম, লেকচার সিরিজ, দি হেগ, ১৯৩৩)। দামেশকের প্রধান মসজিদ সম্পর্কেও অনুরূপ একটি মশহুর কাহিনী রয়েছে। ইবনে কাছীর এবং অন্যান্য ঐতিহাসিকের বর্ণনায় বিষয়টি স্থান পেয়েছে ঘটনাটি এ রকম- একজন উমাইয়া খলীফা একটি মসজিদ সম্প্রসারণের সুবিধার্থে পার্শ্ববর্তী একটি চার্চ দখল করেন। পরবর্তীতে এ অভিযোগটি খলীফা উমর বিন আব্দুল আযীযের নিকট উপস্থাপন করা হয়। তৎক্ষণাৎ তিনি এ মর্মে নির্দেশ জারি করেন যে, গীর্জার যে অংশে বলপূর্বক মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে, তা ভেঙ্গে ফেলতে হবে এবং উক্ত স্থান গীর্জার জন্য নির্ধারিত থাকবে। যা হোক পরবর্তীতে খৃষ্টানরা অর্থের বিনিময়ে উক্ত ভূমিখন্ডের মালিকানা প্রত্যাহার করে নেয় এবং এভাবেই উভয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হয়।

এখানে হযরত উমর ইব্ন আবদুল আযীয-এর আরেকটি নির্দেশনামার উল্লেখ করা যেতে পারে। এ বিষয়ে বিস্তরিত বিবরণ পাওয়া যাবে ইব্ন সা’দের ইতিহাসে গ্রন্থে। গভর্ণর আদি বিন আরতাতকে এ মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, অমুসলিমদের প্রতি নজর দাও এবং তাদের সঙ্গে বিনয় নম্র ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ যদি বার্ধক্যে পৌছে এবং নিজের বিষয় সম্পদ না থাকে, তাহলে তার ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা নেওয়া তোমার দায়িত্ব। যদি তার কোন আপনজন থাকে, তবে তার কাছ থেকে ভরণ-পোষণ বাবদ অর্থ আদায় কর। যদি কেউ তার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করে তাহলে প্রতিশোধ নাও। আমি জানতে পেরেছি তুমি আমদানিকৃত মদের এক দশমাংশ আদায় কর এবং তা সরকারী কোষাগারে জমা দাও। স্মরণ রেখো যে, এই কোষাগার তোমারও নয়, আমারর নয়। এর মালিকানা আল্লাহর। আমি তোমাকে সাবধান করে দিচ্ছি যে, এ জাতীয় সম্পদ-এর পরিমাণ যত সামান্যই হোক না কেন, আর কখনো তা সরকারী কোষাগারে জমা নেবে না। যদি তুমি সম্পদের পবিত্রতা সম্পর্কে নিশ্চিত হও তাহলে অবশ্য ভিন্ন কথা। তোমার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। এখানে উমর ইব্ন আবদুল আযীযের আরো একটি পত্রের উদ্ধৃতি দেওয়া যেতে পারে। পত্রের বিষয়বস্তু এ রকম ঃ পুরাতন নথি-পত্রগুলো পর্যালোচনা কর। অন্যায়ভাবে কর আরোপ সংক্রান্ত উত্থাপিত আপত্তি এবং অন্যায় অবিচার করলে তার সংশোধন কর এবং প্রত্যেককেই তার ন্যায্য পাওনা ভোগ করতে দাও। অত্যাচার জর্জরিত কোন লোক যদি মারা যায় তাহলে তার উত্তরাধিকারীর নিকট তার পাওনা হস্তান্তর কর। এটা সকলের জানা কথা যে, কোনকিছু ক্রয় বা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে দূরের লোক অপেক্ষা প্রুতিবেশীরা অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। ফকীহগণও এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেন। এটা অমুসলিমদের ক্ষেত্রেও একটি স্বীকৃত নীতি। অমুসলিমদের এমন কতকগুলো রীতিনীতি বা প্রথা আছে যেগুলো ইসলামী আক্বীদা বা আচার-আচরণের পরিপন্থী। তদসত্ত্বেও ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসকারী অমুসলিমরা এ সমস্ত রীতিনীতি বা প্রথা মেনে চলার অধিকার ভোগ করে থাকে। যেমন- মদ্যপান মুসলমানদের জন্য হারাম। অথচ অমুসলিম নাগরিকরা ইচ্ছামত মদ্যপান করতে পারে। এমনকি মদ আমদানি, উৎপাদন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ পেয়ে থাকে। অনুরূপভাবে তারা জুয়া খেলতে, নিকটাত্মীয়কে বিয়ে করতে ও সুদী কারবারে লিপ্ত হতে পারে। অথচ অমুসলমানদের জন্য এসবকিছু নিষিদ্ধ বা হারাম।

ইসলামের প্রথম যামানায় অমুসলিমদের এ সমস্ত অনৈসলামিক কাজকর্ম মুসলমানদের উপর কোন প্রভাব ফেলতে পারত না। এমনকি এ সমস্ত বিষয়ের প্রতি মুসলমানরা বড় একটা আমলও দিত না। তবে আধুনিক আইন বিশারদগণের মতে সুখী সমাজ ও সুন্দর বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য মদের ব্যবসা বা মদ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকলে চলবে না, সমাজের গোটা জনগোষ্ঠীর উপর এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ করা আবশ্যক। এ ব্যাপারে অমুসলিম চিন্তাবিদগণও অনুরূপ ধারণা পোষণ করেন। তদানুসারে একজন খৃষ্টানকে মদীনায় পাঠনো হল এবং তাকে নিয়োগ করা হলো রাজস্ব প্রশাসনের প্রধান হিসাবে (দ্র. আল-বালাযুরী, আনসা)

এমনকি কখনো কখনো খলীফা হযরত উমর (রা:) অমুসলিমদের সঙ্গে সামরিক, রাজনৈতিক, অর্থনেতিক, প্রশাসনিক বিষয়ে আলোচনা করতেন। ইসলামে ইমামের (মসজিদের ইমাম) পদটি মুসলমানদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। ইসলাম আধ্যাত্মিক এবং পার্থিব জীবনের মধ্যে সমন্বয়ের বিধান দিয়েছে। সে কারণেই নামাযে ইমামতি করা রাষ্ট্র প্রধানের যেমন দায়িত্ব তেমনি এটা তার একটি অধিকার। এভাবে যদি বিষয়টি বিবেচনা করা হয় তাহলে কোন অমুসলিম মুসলিম দেশের রাষ্ট্র প্রধান নির্বাচিত হতে পারেন না। বস্তুতপক্ষে এটা একটা ব্যতিক্রম। এর অর্থ এই নয় যে, দেশের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক কর্মকান্ড থেকে অমুসলিম নাগরিককে বাদ দিতে হবে। (চলবে)

লেখক: শিক্ষাবিদ ও কলামিষ্ট।


বিভাগ : ধর্ম দর্শন


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ফুলক্রুগের গোলে ঘরের মাঠে পিএসজিকে হারিয়ে দিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড

ফুলক্রুগের গোলে ঘরের মাঠে পিএসজিকে হারিয়ে দিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড

জোড়া গোলে নাসেরকে ফাইনালে তুললেন রোনালদো

জোড়া গোলে নাসেরকে ফাইনালে তুললেন রোনালদো

ফেরার আগে মুস্তাফিজের 'মেডেন'ও জেতাতে পারলনা চেন্নাইকে

ফেরার আগে মুস্তাফিজের 'মেডেন'ও জেতাতে পারলনা চেন্নাইকে

কলাপাড়ায় পিকআপ-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, গুরুতর আহত ২

কলাপাড়ায় পিকআপ-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, গুরুতর আহত ২

আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার

আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে : স্পিকার

কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড

কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড

মানবপাচার-অবৈধভাবে মরদেহ দাফন, সবকিছু বিবেচনায় নেবে ডিবি

মানবপাচার-অবৈধভাবে মরদেহ দাফন, সবকিছু বিবেচনায় নেবে ডিবি

হারাম রিজিক খেয়ে ইবাদত কবুল হবেনা-পীর সাহেব বায়তুশ শরফ আল্লামা আব্দুল হাই নদবী

হারাম রিজিক খেয়ে ইবাদত কবুল হবেনা-পীর সাহেব বায়তুশ শরফ আল্লামা আব্দুল হাই নদবী

মোদির ভারতে এবার মসজিদের ভেতরে ইমামকে পিটিয়ে হত্যা, ক্ষোভ সর্বত্র

মোদির ভারতে এবার মসজিদের ভেতরে ইমামকে পিটিয়ে হত্যা, ক্ষোভ সর্বত্র

ফরিদপুরের শ্রমিক হত্যার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে : প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদ

ফরিদপুরের শ্রমিক হত্যার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে : প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদ

শিক্ষকরাই আগামী দিনের স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর : শিল্পমন্ত্রী

শিক্ষকরাই আগামী দিনের স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর : শিল্পমন্ত্রী

৫ মে হেফাজতের জাতীয় শিক্ষা সেমিনার, সফল করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

৫ মে হেফাজতের জাতীয় শিক্ষা সেমিনার, সফল করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ইরানি নারীদের অনুর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়

ইরানি নারীদের অনুর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়

বঞ্চিত মেহনতী-শ্রমিক জনতাই ফ্যাসিবাদী এই সরকারের পতন ঘটাবে- এবি পার্টির আলোচনা সভায় বক্তারা

বঞ্চিত মেহনতী-শ্রমিক জনতাই ফ্যাসিবাদী এই সরকারের পতন ঘটাবে- এবি পার্টির আলোচনা সভায় বক্তারা

মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার

মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার

টেকনাফে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৬

টেকনাফে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৬

চলমান আন্দোলন বিএনপির একার সংগ্রাম নয়, সকলের : মির্জা ফখরুল

চলমান আন্দোলন বিএনপির একার সংগ্রাম নয়, সকলের : মির্জা ফখরুল

হাসপাতালে পৌঁছেছেন বেগম খালেদা জিয়া

হাসপাতালে পৌঁছেছেন বেগম খালেদা জিয়া

রাজশাহীর মোহনপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় বাইক আরোহী নিহত

রাজশাহীর মোহনপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় বাইক আরোহী নিহত

ধান উৎপাদনে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে : পরিবেশমন্ত্রী

ধান উৎপাদনে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে : পরিবেশমন্ত্রী