বান্দরবানের কলাবতী শাড়ি
০৩ জুন ২০২৩, ০৯:১১ পিএম | আপডেট: ০৪ জুন ২০২৩, ০১:০২ এএম
কলা গাছের আঁশ থেকে তৈরি সুতা আর সেই সুতা তাঁতে বুনে তৈরি করা হয়েছে শাড়ি। কলাগাছের আঁশ থেকে তৈরি সুতা দিয়ে বানানো এ শাড়ির নাম দেয়া হয়েছে ‘কলাবতী’। বান্দরবানে বোনা হয়েেেছ এই শাড়ি। মৌলভীবাজারের মনিপুরী তাঁত শিল্পী রাধাবতী দেবী জেলা প্রশাসকের অনুরোধে বান্দরবানে এসে প্রথমবারের মতো কলা গাছের সুতা থেকে এ শাড়িটি বুনেছেন। প্রথম পর্যায়ে কলাগাছ থেকে সুতা তৈরি করা হতো। পরে প্রশিক্ষণ দিয়ে এ সুতা থেকে বিভিন্ন ধরনের সৌখিন সামগ্রী তৈরি করে বিক্রি করা হয়। সর্বশেষ এ সুতা দিয়ে শাড়ি তৈরির মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলো।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে গ্রহণ করা কলা গাছের আঁশ থেকে সুতা তৈরির প্রাথমিক উদ্যোগ থেকে ধাপে ধাপে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ২০২৩ সালের মার্চে এসে শাড়ি তৈরিতে সাফল্য লাভ করে আলোচনায় আসে। এর ফলে বান্দরবানসহ রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত কলাগাছ, যা কিনা আগে ফল সংগ্রহের পর আর কোনো কাজে লাগতো না, সেটাই এখন থেকে স্থানীয় অর্থনীতিতে বাড়তি আয় যোগান দেবে। পাশাপাশি এর সাথে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় পরিবারগুলো নতুন কর্মসংস্থান পাবে।
প্রথমে কলাগাছ থেকে আঁশ, অতঃপর সেই আঁশ থেকে সুতা এবং সুতা থেকে শাড়ি তৈরি করতে পেরে উচ্ছ্বসিত বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। তিনি বলেন, আমি জানি না, বাংলাদেশের আর কোথাও এখন পর্যন্ত কলা গাছের সুতা থেকে কেউ শাড়ি তৈরি করেছে কিনা। যদি না করে থাকে, তবে এটিই হবে বাংলাদেশে কলাগাছের সুতার তৈরি প্রথম শাড়ি। তিনি আরো বলেন, এটা আমার স্বপ্নের প্রজেক্ট। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে প্রথমে বান্দরবান সদর উপজেলায় শুরু করার পর বিভিন্ন উপজেলায়ও ছড়িয়ে দিয়েছি। ইতোমধ্যে কলাগাছের সুতা দিয়ে তৈরি নানা ধরনের হস্তশিল্প মানুষকে আকৃষ্ট করেছে।
জানা যায়, বাংলাদেশে ২০০৬ সালে কলাগাছের আঁশ নিয়ে প্রথম গবেষণা শুরু হয়। প্রকল্পটি প্রথমে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় শুরু হলেও পরে এটি নিয়ে আসা হয় ময়মনসিংহ শহরে। গবেষণার জন্য দরকারি যন্ত্রপাতি প্রকল্পের প্রধান গবেষক রফিকুল ইসলাম নিজেই তৈরি করে নিয়েছিলেন। ২০০৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে তিনি এ আঁশ থেকে কাপড় তৈরিতে সফল হন। বর্তমানে ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, লালমনিরহাট, জয়পুরহাট, যশোর, টাঙ্গাইল, খাগড়াছড়ি, ঠাকুরগাঁও, চুয়াডাঙ্গা, বান্দরবানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কলা গাছের আঁশ থেকে সুতা তৈরি হচ্ছে। ঢাকার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সেসব সুতা সংগ্রহ করে কানাডা, ভারত, চীন, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি করে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন তাদের উৎপাদিত সুতা বিক্রির পাশাপাশি স্থানীয় নারীদের প্রশিক্ষিত করে তাদের দিয়ে শিকা, ঝুড়ি, হ্যাট, টেবিলম্যাট, ফুলদানী, কলমদানী, ট্রেসহ বিভিন্ন বাহারী গৃহস্থালী ও শৌখিন পণ্য তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করে। পরিবেশবান্ধব হওয়ায় এসব পণ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহও প্রচুর। পর্যটক ও স্থানীয় বাজারে এসব পণ্যের চাহিদা থাকায় প্রশিক্ষিত মেয়েরা নতুন নতুন পণ্য তৈরি করে বান্দরবানের ব্রান্ড হিসেবে তা নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রে স্থাপিত ব্রান্ডিং বান্দরবান শপসহ বিভিন্ন শপে বিক্রির ব্যবস্থা করছে। পরে ঢাকা থেকে প্রশিক্ষক এনেও কলা গাছের সুতা দিয়ে হস্তশিল্পজাত পণ্য তৈরির উপর নারীদের আরো উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষিত নারীদের উৎপাদিত শতরঞ্জি, ব্যাগ, জুতা, শোপিস, টেবিল ম্যাট, প্লান্টার বক্স, কলমদানী, ফাইল ফোল্ডার প্রভৃতি হস্তশিল্পজাত পণ্য বান্দরবানের নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের শপসহ স্থানীয় উদ্যোক্তাদের দোকান ও বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
কলা গাছ থেকে উৎপন্ন সুতা দিয়ে গৃহস্থালী ও শৌখিন পণ্য তৈরি করতে গিয়েই কাপড় তৈরির আইডিয়া আসে। পরে পরীক্ষামূলক কাপড় তৈরি করেও সফলতা আসে। এর পরের ধাপেই আসে শাড়ি তৈরির উদ্যোগ। অবশেষে ৩১ মার্চ, ২০২৩ উপস্থিত হয় সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ কলাগাছের আঁশ থেকে তৈরি করা হয় মনিপুরী ডিজাইনের একটি শাড়ি। জেলা প্রশাসক যার নামকরণ করেন ‘কলাবতী শাড়ি’। কলাবতী শাড়ি তৈরির খবর দেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হলে তা দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। জেলা প্রশাসনের নিকট সারাদেশ থেকে শত শত শাড়ির অর্ডার আসতে শুরু করে। পাশাপাশি এই উদ্ভাবনী উদ্যোগের সাফল্য বিনিয়োগকারীদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ইতোমধ্যে কারিতাস, এইচএসবিসি, আশা, ব্র্যাক, গ্রীন হিল বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে এইচএসবিসি ব্যাংক ৩ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। আলোচনা চলছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঈড়সসড়হ ঋঁহফ ভড়ৎ ঈড়সসড়ফরঃরবং (ঈঋঈ) স্কিমের আওতায় তিন লাখ হতে সর্বোচ্চ বিশ লাখ ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ প্রাপ্তির ব্যাপারেও।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, বান্দরবানে কলা গাছের প্রাচুর্য রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য এনজিওদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় কলা গাছ থেকে ফাইবার তৈরির বিষয়টি আমার নজরে আসার সাথে সাথে বান্দরবানে পাইলট প্রকল্প হিসেবে কলা গাছের সুতা তৈরি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক গ্রাম সমীক্ষা শুরু করে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং গ্রাউস। প্রাথমিকভাবে ৬৩টি গ্রামের উপর সমীক্ষা করে এ প্রকল্পের জন্য ৯টি পাড়া ও গ্রামকে নির্বাচন করে এবং সে অনুযায়ী কাজ শুরু হয়।
বান্দরবানের কুহালং ইউনিয়নের ক্রাউ আমতলীপাড়া এবং রাজবিলা ইউনিয়নের খামাদংপাড়ার ২০ জন পুরুষ ও নারীকে কলাগাছ থেকে সুতা তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রশিক্ষিত করার কার্যক্রম শুরু হয়। ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করা হয়। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকাবাসী পাহাড়ের পরিত্যক্ত কলা গাছ কেটে এনে মেশিনের মাধ্যমে পিষে নরম করে সুতা বের করে তা পরিষ্কার করে শুকিয়ে বিক্রি করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর পর থেকেই এ প্রকল্পটির নানা সম্ভাবনা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। এর মাধ্যমেই কলাগাছের আঁশ থেকে তৈরি সুতা দিয়ে প্রথমে বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প তৈরি করে বিক্রি করা হয়। পরবর্তীতে শাড়ি তৈরির মাধ্যমে এ খাতের সম্ভাবনা আরো উজ্জ্বল হয়েছে। ফলে এর সাথে জড়িত পরিবারগুলো যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে, তেমনি যেসব পরিবার এ প্রকল্পে সরাসরি জড়িত নয় তারাও উৎপাদনকারীর নিকট কলা গাছ বিক্রির মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
কলাগাছের সুতা টেকসই হলেও যথেষ্ট মসৃণ নয়। স্থানীয়ভাবে যতটুকু সম্ভব সুতা মসৃণ ও নরম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই সুতাকে কীভাবে আরও মসৃণ ও নরম করা যায় তার জন্য গবেষণা করা দরকার। এ ব্যাপারে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে আরো বড় তাঁত বসিয়ে প্রকল্পটিকে এগিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। মন্ত্রণালয় ও বুয়েটেক্সের সাথে যোগাযোগ করে এ সুতাকে কীভাবে আরো মানসম্মত করা যায় সে প্রচেষ্টাও চলছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কলা গাছের সুতা থেকে শাড়ি তৈরি হওয়ায় তাঁত শিল্পে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়েছে। এখন এটিকে বাণিজ্যিক প্রকল্প হিসেবে গড়ে তুলতে গবেষণা ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপশি পিছিয়ে পড়া বান্দরবান জেলায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আবার জেগে উঠবে জেলার তাঁত শিল্প। পাশাপাশি রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতেও যথেষ্ট পরিমাণে কলা চাষ হয়। তাই ওই দুই জেলাতেও ছড়িয়ে দেয়া যাবে এ শিল্পকে। এতে এতদিন ফেলে দেওয়া কলাগাছ পাহাড়ের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করবে।
প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের প্রভাষক ও স্থানীয় পিস মহিলা কল্যাণ সমিতির সভানেত্রী সাই সাই উ নিনি বলেন, বান্দরবানের তাঁত শিল্প এখন মৃত। কলা গাছের আঁশ দিয়ে সুতা তৈরির মাধ্যমে শাড়ি বানানো সম্ভব হওয়ায় এখানে নতুন ধরনের শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এখন এর প্রসার ঘটাতে পারলে জেলার কর্মক্ষেত্র সম্প্রসারিত হবে।
কলা গাছের আঁশ থেকে তৈরি সুতা থেকে প্রথম শাড়িটি তৈরি করতে প্রায় ১ কেজি সুতা লেগেছে। প্রতিটি কলা গাছ থেকে প্রায় ২০০ গ্রাম সুতা তৈরি হয়। সেই হিসেবে পাঁচটি কলা গাছ থেকে একটি শাড়ি তৈরির সুতা পাওয়া সম্ভব। এ ব্যাপারে বান্দরবান জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতিয়া চৌধুরী বলেন, একটি কলা গাছ থেকে ২০০ গ্রাম সুতা হয়। সেই হিসাবে ৫টি কলা গাছ থেকে ১ কেজি সুতা হয়। কলা গাছের সুতা দিয়ে শাড়ি বানাতে পারলে আমরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবো। এখন আমাদের টেক্সটাইল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা অনান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানে এই সুতা নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন। তাহলে আমরা জানতে পারবো, কীভাবে সুতাটাকে আরো মোলায়েম করা যাবে।
আগে ফল সংগ্রহের পর যে কলা গাছ ফেলে দেয়া হতো বর্তমানে সেই কলা গাছের বাকল থেকে ২শ’ গ্রাম সুতা উৎপাদন হচ্ছে। এছাড়া কলার বাকল থেকে আঁশ সংগ্রহের পর বাকি অংশ থেকে বার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করা যায়। প্রতি কেজি কম্পোস্ট সার ২০ টাকায় বিক্রি হয়। সুতা তৈরির সময় উপজাত হিসেবে পাওয়া পানি ডিটারজেন্ট তৈরির কাজে এবং তারপিন তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। এর ম- থেকে পরিবেশবান্ধব পলিথিন ও নিউজ পেপার তৈরির গবেষণাও হচ্ছে।
বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা
বিষয় : year
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মেরিটাইম সেক্টরে বিদেশীদের বিনিয়োগের আহবান উপদেষ্টার
সাঁতারে আক্ষেপের নাম ‘ইলেক্ট্রোনিক্স স্কোরবোর্ড’!
সাবিনাদের জন্য শনিবার পুরস্কার ঘোষণা করবে বাফুফে
ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-২ আহত-৩
সর্বনি¤œ হজ প্যাকেজ ৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা ঘোষণা
যশোরে মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৭ নভেম্বরের চেতনাকে যারা ধারণ করে না, তারা গণতন্ত্রের শত্রু - ডা.মাজহার
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার ২ সেকেন্ডের মধ্যেই কার চাকরি খাবেন ট্রাম্প?
ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস; চব্বিশের প্রেরণা
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাগপার আলোচনা সভা
মানুষের মতোই কথা বলবে, আচরণ করবে এআই!
আখাউড়া প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন
পরিবহনব্যবস্থা
রমজানের নিত্যপণ্য আমদানিতে ব্যাংকে লাগবে না নগদ অর্থ: গভর্নর
ময়নামতি ও বসুরহাটে ইউসিবির দুই নতুন শাখা উদ্বোধন
অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস : সাফল্য ও ব্যর্থতা
৫ আগস্টের আয়নায় দেখা ৭ নভেম্বর
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন
জাইকার সহযোগিতায় রাজউকের তৃতীয় ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট সেমিনার অনুষ্ঠিত
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর তৈলতত্ত্ব ও আমাদের সাহিত্য সমাজ