সমরকন্দে একদিন

Daily Inqilab আশফা খানম হেলেন

০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম

উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে পৌঁছে একরাত অবস্থানের পর ২০২৩ সালের ২৪ অক্টোবর সমরকন্দের অভিমুখে আমাদের যাত্রা শুরু হলো। সমরকন্দের ঐতিহাসিক স্থাপনা ও নিদর্শনগুলো আমাদের দেখানো হবে। গাইড জানালেন, প্রথমে ১৬-১৯ শতকের মাওলানা শরীফ, ইমাম বুখারী সেন্টার পরিদর্শন, এরপর লাঞ্চ, লাঞ্চের পর গুর-ই আমুর তৈমুর কমপ্লেক্স এবং রেগিস্থান স্কয়ার ঘুরে দেখনো হবে। প্রথমেই মাওলানা শরীফ, যা মাকদুমী আজম নামে পরিচিত স্থানটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। মাকদুমী আজম কোনো ব্যক্তির নাম নয়, বরং এটি একটি উপাধি। একে অনুবাদ করলে হয় ‘ঝটচঊজঊগঊ খঙজউ’। মধ্য এশিয়ায় এই নামে আরো কিছু মাজার আছে, যা সমরকন্দে অবস্থিত। এতে শায়িত আছেন সাইদ জালাল উদ্দিন আকমাদ আল কাসানী আদ ডাকবেদী (রহ.)। এছাড়া তাঁর অনুসারী আরো বহু সুফী সাধকরা। তিনি নকশাবন্দী ডাকবেদীয়া সুফী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

মাজারটি ৬০২ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত। গাড়ি থামলে আমরা সবাই এর মনোমুগ্ধকর পরিবেশ দেখে ছবি তুলতে থাকি। নানা রংয়ের ফুলের বাগান। কিছুদূর পথ হেঁটে গেলে দেখা যায়, বহু পুরাতন কাঠের স্তম্ভে কারুকাজ খচিত অসংখ্য পিলারের উপর দাঁড়িয়ে আছে সুন্দর মসজিদ। মোটা কার্পেটে আবৃত মসজিদে আমাদের ভাইদের অনেকে দু’রাকাত নফল নামাজ পড়ে নিলেন। মসজিদের সামনে ১৫২৮ সালে রোপণ করা প্রায় ৫০০ বছরের পুরানো একটি চিনার বৃক্ষ রয়েছে। বৃক্ষটি বেশ ভালো অবস্থায় আছে। মসজিদ পেরিয়ে কিছুদূর অগ্রসর হলেই তৎকালীন বিভিন্ন সুফী-সাধকদের কবর রয়েছে। এগুলো গম্বুজের মতো কবরস্টাইলে পাকা করে বাঁধাই করা। কবরগুলোর পরে একটি মাদরাসা বা মক্তব অবস্থিত। এখানে পূর্বে পাঠদান করা হতো। কিন্তু বর্তমানে তা চালু নেই। আমরা অলি-বুজুর্গদের কবর যিয়ারত করি এবং মাওলানা গিয়াসউদ্দিন তালুকদার ভাই সফরের নিরাপত্তা ও এই জ্ঞানার্জনের উছিলায় আমাদের সকলের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন।

এ সময় আমাদের একজন আপা (সফর সঙ্গী) অসুস্থ হয়ে পড়লে গাইডের কল পেয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে ডাক্তার, নার্স অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে চলে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন। অতঃপর পরবর্তী গন্তব্যের জন্য সবাই গাড়িতে উঠে বসি। গাড়ি ছুটে চলছে সমরকন্দ থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত খরতান গ্রামে। সেখানে শায়িত রয়েছেন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বিশুদ্ধ হাদিস সংগ্রহকারী ও লেখক আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল আল বুখারী (রহ.)। বর্তমানে এই স্থানকে ঘিরে সরকার একটি বিশাল প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। প্রায় ৪৮ হাজার বর্গমিটার জায়গা জুড়ে কমপ্লেক্সটি তৈরি করা হচ্ছে। একটি নতুন মসজিদ নির্মাণের কাজও চলছে, যা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এতে ৯০০০ মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করতে পারবেন। এছাড়া প্রায় ৪৪০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে অপূর্ব বাগান করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে যাঁর সংগৃহীত হাদিস পড়ে আমরা বিশুদ্ধ হাদিসগুলো জানতে পারি, তাঁর পদধূলায় অংকিত সেই ভূমি দর্শনের জন্যই আমাদের ছুটে আসা। কিন্তু দুঃখের বিষয়, পুনর্নির্মাণ কাজ চলার কারণে কমপ্লেক্সের বাইরে থেকে আমাদের মাজার জিয়ারত ও মুনাজাত করতে হয়। কমপ্লেক্সের বাইরে রাস্তা থেকে শুধু একনজর দর্শন করে আমরা গাড়িতে উঠে পড়ি।

আমাদের গাইড গাড়িতে ইমাম বুখারী (রহ.) এর জীবনী সম্পর্কে বলতে থাকেন। বুখারা নগরীতে জন্ম আবু আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ইবনে ইসমাইল ইবনে ইবরাহীম ইবনে মুগীরা। মুগীরা সেই ব্যক্তিদের বলা হতো যারা সাহাবীরা জীবিত থাকা অবস্থায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার দাদার পিতা ছিলেন তেমনি একজন ব্যক্তি। ইমাম বুখারী (রহ.) মাত্র তিন বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারান এবং সে সময় তাঁর পিতাও মারা যান। তার মা ছিলেন প্রচণ্ড আল্লাহভীরু। তিনি সবসময় পুত্রের দৃষ্টিশক্তি ভালো করে দেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া এবং কান্নাকাটি করতেন। একদিন তিনি স্বপ্নে দেখেন হযরত ইবরহীম (আ.) তাঁর পুত্রের দৃষ্টিশক্তি ভালো হওয়ার সুসংবাদ দেন। ঘুম থেকে জেগেই তিনি পুত্রের নিকট ছুটে যান এবং তাকে ঘুম থেকে উঠান। তিনি জেগে দেখেন তিনি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন। আল্লাহর এমন বিশেষ রহমতপ্রাপ্ত শিশু মাত্র ১৬ বছর বয়সে মা ও ভাইসহ হজ্জ করতে যান।

সেই সময় মক্কা ছিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জ্ঞান অর্জনের প্রাণকেন্দ্র। বিশ্বের সকল ইসলামিক চিন্তাবিদরা সেখানে জমায়েত হতেন! জ্ঞান বিতরণের মেলা বসতো। তিনি ছিলেন জ্ঞান পিপাসু। তাই এমন সুযোগ তিনি হাত ছাড়া করেননি। মক্কায় থেকে গিয়ে জ্ঞান আহরণ করেন এবং মাত্র ১৮ বছর বয়সে হাদিসের একটি পূর্ণাঙ্গ বই লিখে ফেলেন, যার নাম ‘ইলমাল হিজাল’। বর্তমানে আলেমরা প্রাইমারি রেফারেন্স হিসেবে বইটি ব্যবহার করেন। এরপর ২০ বছর বয়সে তিনি বাগদাদ যান এবং ইমাম হাম্বলের (রহ.) কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেন। ইমাম হাম্বলে (রহ.) তার সম্পর্কে বলেন, খোরসানে জ্ঞানের দিকে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদের মতো আমি আর কাউকে দেখিনি। পূর্বে সহি হাদিসের আলাদা কোনো বই ছিল না। যইফ, সহি সব একত্রে ছিল।
একদিন তার শিক্ষক ইসহাক ইবনে রাহোওয়া (রহ.) তার ছাত্রদের শুধু সহি হাদিস সম্বলিত একটি বই থাকলে ভালো হতো বললে তা ইমাম বুখারীর মনে দাগ কেটে যায়। শুধু তাই নয়, যুবক বয়সে তিনি স্বপ্নে দেখেন তিনি আর রাসুল (সা.) দাঁড়িয়ে আছেন। কিছু মাছি রাসুল (সা.) এর মুখের সামনে উড়ে বেড়াচ্ছে। তিনি তা তাড়িয়ে রাসুল (সা.)-কে নিরাপত্তা দিচ্ছেন। তিনি স্বপ্নের ব্যাখ্যায় জানতে পারেন যে তিনি বানোয়াট জাল হাদিসের থেকে রাসুল (সা.) এর বিশুদ্ধ হাদিসগুলোকে নিরাপত্তা দেবেন। ফলে তিনি সহি হাদিসের বই লেখবার জন্য মনস্থির করেন। ১৬ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে মদিনায় তাঁর মুখস্থ থাকা ৬ লক্ষ হাদিস থেকে তিনি বিশুদ্ধতার কষ্টিপাথরে যাচাই করে মাত্র ৭০০০ হাদিস সম্বলিত সহি হাদিসের বই লেখেন। উল্লেখ্য, প্রতিটি হাদিস লেখবার পূর্বে তিনি নফল নামাজ পড়ে ইস্তেখারা করে নিশ্চিত হয়ে তবেই তা লিপিবদ্ধ করতেন।

পরবর্তীতে বুখারায় নিজ জন্মভূমিতে ফিরে যান। কিন্তু সেখানের আমির তাঁকে তাঁর সন্তানদের রাজ দরবারে গিয়ে হাদিস শিক্ষা দিতে বলেন এবং তিনি তা হাদিসের জন্য বিরাট অবমাননাকর জানিয়ে প্রত্যাখ্যান করেন। ফলে আমিরের রোষানলে পড়ে মিথ্যা অপবাদের শিকার হয়ে নিশাপুরে চলে যান। সেখানেও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সমরকন্দ চলে আসেন এবং দুনিয়ার ফিতনায় বিরক্ত হয়ে শেষ রমযানে ঈদের পূর্ব রাতে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন যে, তিনি আল্লাহর সন্নিকটে যেতে চান। অতঃপর সেদিন রাতে উটে চড়তে গিয়ে উনি অসুস্থ বোধ করেন এবং ৬২ বছর বয়সে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করেন। তার ইতিহাস শুনতে শুনতে আমরা প্রসিদ্ধ বুখারী শরিফের রচয়িতা ইমাম বুখারীর (রহ.) বিস্তারিত সম্পর্কে জানি।

এইবার দুপুরের ভোজের জন্য সমরকন্দের একটি উন্নত মানের রেস্টুরেন্টে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। আমরা খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। বিশাল হলঘর। এর উচ্চতা দুই থেকে তিন তলার সমান হবে। হঠাৎ আমাদের সকলের দৃষ্টি বড় বড় সাউন্ড বক্সের গান বাজনার সাথে সাথে নৃত্যের দিকে চলে যায়। বিবাহের অনুষ্ঠান ও নৃত্যে একটা শালীনতা আছে। সকলেই মহিলা ছিলেন। সবাই গানের তালে তালে তাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য করে কনেসহ মজা করছেন। আমরাও উপভোগ করছিলাম। যেখানেই আমরা গিয়েছি, স্থানীয়রা জানতে চেয়েছেন, ‘আমরা কোন দেশ থেকে এসেছি?’ তারা খুবই মিশুক ও বিনয়ী জাতি। পরিচিত হওয়ার পর বুকে হাত রেখে বলেন ‘রাহমা’। এটা তাদের সংস্কৃতি। ভাষায় সমস্যা হলেও আকারে ইঙ্গিতে তারা হাসিমুখে আমাদের সাথে কথা বলতেন। উজবেকরা সাধারণত উজবেক, তাজকীয় ও রুশ ভাষায় কথা বলেন।

লাঞ্চে প্রথমে বিভিন্ন রকম কাঁচা সবজির সালাদ করা হয়। সাথে দেয় বড় বড় চাকার মতো গোল নান রুটির মতো বন। সালাদের পর্ব শেষ হলে পরিবেশন করে স্যুপ। স্যুপে গোস্তের টুকরা কাবুলি চনা দেওয়া হয়। স্যুপের পর্ব শেষ হলে প্রধান খাবার হিসেবে প্রত্যেককে একটি করে ভেড়ার গোস্তের শিকের কাঠি পরিবেশন করা হয়। সাথে ছোট একটি বাটিতে আঠালো ভাত দেওয়া হয়। সবার শেষে গ্রিন-টি পরিবেশন করা হয়। সর্বশেষে ডেজার্ট হিসেবে সুস্বাদু পেস্ট্রি কেক পরিবেশন করে। উজবেকরা ছোট ছোট বাটিতে খাবার শেষে গ্রিন-টি পান করে। আমরা তৃপ্তি সহকারে লাঞ্চ সেরে গাড়িতে উঠে পড়ি।

লেখক: পর্যটক, কলামিস্ট, নারী উন্নয়ন কর্মী ও শিক্ষাবিদ, প্রিন্সিপ্যাল, চিটাগং ভিক্টোরী ন্যাশনাল স্কুলÑ সিভিএনএস।


বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮২ রানে থামিয়েও দিনশেষে অস্বস্তিতে ইংল্যান্ড

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮২ রানে থামিয়েও দিনশেষে অস্বস্তিতে ইংল্যান্ড

পদ্মায় নিখোঁজ নৌপুলিশের সন্ধান মেলেনি ৭ দিনেও

পদ্মায় নিখোঁজ নৌপুলিশের সন্ধান মেলেনি ৭ দিনেও

বেতাগী দরবারে ওরশ আজ

বেতাগী দরবারে ওরশ আজ

সন্ধ্যা হলেই দ্বিগুণ ভাড়া ভোগান্তিতে যাত্রীরা

সন্ধ্যা হলেই দ্বিগুণ ভাড়া ভোগান্তিতে যাত্রীরা

কারফিউ শিথিল করায় টাঙ্গাইলে জনজীবনে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে

কারফিউ শিথিল করায় টাঙ্গাইলে জনজীবনে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে

নদী ভাঙনে ৪৫৮ পরিবারের আহাজারি

নদী ভাঙনে ৪৫৮ পরিবারের আহাজারি

বিটিভি ভবনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে টুকুসহ বিএনপি জামায়াতের ৬ নেতা কারাগারে প্রেরণ

বিটিভি ভবনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে টুকুসহ বিএনপি জামায়াতের ৬ নেতা কারাগারে প্রেরণ

শনিবার সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী

শনিবার সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী

মেট্রোরেল স্টেশনে হামলার ঘটনায় আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড

মেট্রোরেল স্টেশনে হামলার ঘটনায় আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড

গণবিরোধী কারফিউ দিয়ে মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে : ডা. মনীষা

গণবিরোধী কারফিউ দিয়ে মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে : ডা. মনীষা

নিহত রুদ্রের নামে শাবির প্রধান ফটকের নামকরণ

নিহত রুদ্রের নামে শাবির প্রধান ফটকের নামকরণ

তিনটি গুলি খেয়ে বিনা চিকিৎসায় আমার ছেলেটা মরে গেছে’

তিনটি গুলি খেয়ে বিনা চিকিৎসায় আমার ছেলেটা মরে গেছে’

মালয়েশিয়া ও প্রবাসী আর্ট মেলায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া ও প্রবাসী আর্ট মেলায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকুন- ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর এমপি

সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকুন- ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর এমপি

কুড়িগ্রামে তিন লাশ দাফন, পরিবারের আহাজারি

কুড়িগ্রামে তিন লাশ দাফন, পরিবারের আহাজারি

কুষ্টিয়ায় বছরে পাটের আবাদ কমেছে ৯০ হাজার বিঘা জমিতে

কুষ্টিয়ায় বছরে পাটের আবাদ কমেছে ৯০ হাজার বিঘা জমিতে

ভাঙন আতংকে যমুনা পাড়ের মানুষ

ভাঙন আতংকে যমুনা পাড়ের মানুষ

দীর্ঘ পানিবদ্ধতায় হাকালুকি হাওর তীরের ৩ উপজেলা

দীর্ঘ পানিবদ্ধতায় হাকালুকি হাওর তীরের ৩ উপজেলা

চুয়াডাঙ্গায় মাদরাসাছাত্র হত্যা মামলায় আসামির যাবজ্জীবন

চুয়াডাঙ্গায় মাদরাসাছাত্র হত্যা মামলায় আসামির যাবজ্জীবন

সাভারে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী কেউ ছাত্র ছিল না

সাভারে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী কেউ ছাত্র ছিল না