অ্যাশেজে তিন ম্যাচ খেলেই সিরিজ সেরা হয়েছিলেন ক্রিস ওকস। গত মাসের দারুণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরুপ এবার পেলেন আরেকটি পুরস্কার। জুলাইয়ের ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’ নির্বাচিত হয়েছেন ইংল্যান্ডের এই পেসার।

গত মাসের পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারের নাম মঙ্গলবার ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি।

মেয়েদের ক্রিকেটে জুলাইয়েও সেরা নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাশলি গার্ডনার। গত মাসেও সেরার খেতাব জিতেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান এই অলরাউন্ডার। পুরুষ ও নারী ক্রিকেট মিলিয়ে টানা দুই মাসে এই খেতাব জয়ের কীর্তি নেই আর কারো। সব মিলিয়ে চারবার এই সম্মাননা পেলেন অস্ট্রেলিয়ান এই ক্রিকেটার।

সেরার লড়াইয়ে ওকসের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সতীর্থ ব্যাটসম্যান জ্যাক ক্রলি ও নেদারল্যান্ডসের অলরাউন্ডার বাস ডে লেডে। আর গার্ডনার পেছনে ফেলেছেন সতীর্থ অলরাউন্ডার এলিস পেরি ও ইংলিশ অলরাউন্ডার ন্যাট সিভার-ব্রান্টকে।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে পিছিয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। দুই ম্যাচেই একাদশে ছিলেন না ওকস। হেডিংলিতে তৃতীয় টেস্ট দিয়ে এক বছরেরও বেশি সময় পর ফেরেন টেস্টে। ম্যাচে দুই ইনিংসেই তিনটি করে উইকেট নেন ওকস। পরে রোমাঞ্চকর রান তাড়ায় অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস খেলে দলে জয়ে বিশাল অবদান রাখেন তিনি।

ম্যানচেস্টারে চতুর্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। ম্যাচটি বৃষ্টির বাধায় ড্র হয়। ওকসের নৈপুণ্যেই ওভালে পঞ্চম ও শেষ টেস্টে দারুণ জয় তুলে নিয়ে সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ করে ইংল্যান্ড। ওই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেওয়া ওকস দ্বিতীয় ইনিংসে নেন চারটি।

সিরিজে তিন ম্যাচ খেলেই ১৮.১৫ গড়ে নেন ১৯ উইকেট। ব্যাট হাতেও করেন মহামূল্যবান ৭৯ রান। তারই স্বীকৃতিস্বরুপ হয়েছিলেন সিরিজ সেরা। এই পারফরম্যান্সই তাকে এনে দিল আইসিসির মাস সেরার স্বীকৃতিও।

আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে। সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।