অভিজ্ঞতায় এগিয়ে বাংলাদেশই!
০৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
আর কয়েক ঘণ্টা পরই শুরু হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিরোপার লড়াই। দশটি দলই প্রস্তুত। গতবারের দুই ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে গতকালই পর্দা উঠেছে বিশ্বকাপের তেরোতম আসরের। মূল মঞ্চে নামার আগে চায়ের দোকানে, ঘরোয়া আড্ডায়, সবখানেই ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে জমজমাট আলোচনা। কারা এগিয়ে আসন্ন এই বিশ্বকাপে? অভিজ্ঞতার বিচারে বাংলাদেশ অনেকখানিই এগিয়ে। কীভাবে?
সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের চারটি করে বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও খেলেছেন তিনটি বিশ্বকাপ। শুধু তাই নয় পারফরম্যান্সের বিচারেও বাংলাদেশের অধিনায়ক অনেকখানি এগিয়ে। বর্তমানে বিশ্বকাপ খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৪৬ রান ও চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট সাকিবের দখলে। ২০০৬ সালে ওয়ানডে অভিষেকের পর বাংলাদেশের হয়ে একটি বিশ্বকাপও মিস করেননি তিনি। গত চার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ও উইকেট সংগ্রাহক সাকিব। ২৯ ম্যাচে ৮২.২৬ স্ট্রাইকরেটে ৪৫.৮৪ গড়ে তার রান হাজারের ওপরে। বিশ্বকাপে দুটি সেঞ্চুরি ছাড়াও ১০টি হাফ সেঞ্চুরি আছে সাকিবের। সমান ম্যাচে তার উইকেট ৩৪টি। শেষ বিশ্বকাপে তো ঝড়ই তুলেছিলেন ইংলিশ কন্ডিশনে। ব্যাট হাতে ৬০৬ রানের পাশাপাশি নিয়েছেন ১১ উইকেটও। ২৪০টি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা থাকা সাকিব যে ব্যাট ও বল হাতে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ যোদ্ধা হবেন, এ নিয়ে বিতর্ক নেই কোনও। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে খেলেছিলেন সাকিব। ২০১৫ ও ২০১৯ দুটি বিশ্বকাপের পর ফের অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামতে যাচ্ছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
সাকিবের মতো পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে মুশফিকও। এবারের বিশ্বকাপের বাকি ৯ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ। চার বিশ্বকাপে দুজনই খেলেছেন সমান ২৯ ম্যাচ। ব্যাট হাতেও বাংলাদেশের নির্ভরতার প্রতীক মুশফিক। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর তার ব্যাটে ধারবাহিকভাবেই রান আসছে। এই সময় ৪৩ ম্যাচ খেলেছেন মুশফিক। রান করেছেন দেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪৭৯। ৪ বিশ্বকাপে তার রান ৮৭৭। আছে ১ সেঞ্চুরি ও ৬ হাফ সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ খেলায় মাহমুদউল্লাহ দুই নম্বরে। তার এটি চতুর্থ বিশ্বকাপ। সে হিসেবে বাংলাদেশ দলই সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। ২০১৫ সালে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে টানা দুই সেঞ্চুরি করেন তিনি। বিশ্বকাপে ১৭ ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি ও ২ হাফ সেঞ্চুরিতে এই অলরাউন্ডের রান ৬১৬। বল হাতে তার উইকেট চারটি।
স্কোয়াডে থাকা তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজও এর আগে দুটি বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন, লিটন দাস ও মোস্তাফিজুর রহমান একটি। তবে বাংলাদেশ দলে নতুন মুখও কম নেই। এবারই প্রথম স্বপ্নের বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে আট ক্রিকেটারের। তাদের মধ্যে নাজমুল হোসেন শান্ত দারুণ ছন্দে আছেন। এর বাইরে নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শেখ মেহেদী হাসান, তাওহীদ হৃদয়, তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব ও শরিফুল ইসলাম প্রস্তুত নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ মাতাতে।
বাংলাদেশের মতো বিশ্বকাপে অভিজ্ঞতার দিক থেকে এগিয়ে ভারত। ২০১১ সালে নিজেদের মাঠে ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপেই শিরোপার স্বাদ পেয়েছিলেন বিরাট কোহলি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কোহলির সামনে চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলার হাতছানি। আর অশ্বিনের সামনে তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলার হাতছানি। অধিনায়ক রোহিত শর্মা, মোহাম্মদ শামি ও রবীন্দ্র জাদেজা দুটি করে বিশ্বকাপ খেলেছেন।
এশিয়ার বাকি দুই দল পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা অভিজ্ঞতায় বেশ পিছিয়ে আছে। একটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে কেবল অধিনায়ক বাবর আজম, ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলীর। শ্রীলঙ্কার কুশল পেরেরা সর্বোচ্চ দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। একটি করে খেলেছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, কুশল মেন্ডিস ও দিমুথ করুণারতেœ। আর ১২ বছর পর ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে আসা নেদারল্যান্ডস দলে একমাত্র বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে ওয়েসলি বেরেসির।
এশিয়ার বাইরের দলগুলোর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা কিছুটা অভিজ্ঞতা আছে। প্রোটিয়াদের হয়ে শুধু দুটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে কুইন্টন ডি কক ও ডেভিড মিলারের। বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতায় নিউজিল্যান্ডও বেশ সমৃদ্ধ। তিনটি করে বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাদের কেন উইলিয়ামসন ও টিম সাউদির। এছাড়া টম ল্যাথাম, ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরিরা খেলবেন নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে আগে বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা আছে বর্তমান দলের একজনের। তিনি সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। এছাড়া ডেভিড ওয়ার্নার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক খেলেছেন দুটি করে বিশ্বকাপ। এর বাইরে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের হয়ে দুই বিশ্বকাপ খেলেছেন আদিল রশিদ, জস বাটলার, জো রুট, মঈন আলী ও ক্রিস ওকস।
মাঠের লড়াইয়ে আগে অভিজ্ঞতায় সব দেশ থেকেই এগিয়ে বাংলাদেশ। সাকিব-মুশফিকদের অভিজ্ঞতা ও তরুণদের সাহসী ক্রিকেট মাঠে মঞ্চায়িত হলেই বাংলাদেশের সাফল্য পাওয়া সম্ভব। সেই অপেক্ষাতেই আছে কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমী বাঙালি।
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সীমান্তে বাংলাদেশি নিহত : পতাকা বৈঠকে বিএসএফকে বিজিবির কড়া প্রতিবাদ
নিকোলাস মাদুরোর তৃতীয় শপথ, রাজনৈতিক দমন-পীড়নের আশঙ্কা
সুপার কাপ ফাইনালে বার্সা-রিয়াল মহারণ
কার সাথে সংসার করছেন জয়া?
২৪ বিপ্লবের শহীদদের মতো বিডিআরের নিহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে
টানা চার ম্যাচে রোনালদোর গোল,নতুন বছর জয় দিয়ে শুরু নাসেরের
শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ঘোষণাপত্র দেওয়া সম্ভব নয় : উপদেষ্টা মাহফুজ
টঙ্গীবাড়ীতে মসজিদের ইমামকে কুপিয়ে জখম
জার্মানিতে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন
চীনে ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনআইডি : আইন পর্যালোচনায় রোববার বৈঠকে বসছে ইসি
কুমিল্লায় জনসম্মুখে শিশুকে দুগ্ধপান
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চূড়ান্ত লড়াই
টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর কথা ভাবছেন কিয়ার স্টারমার
আগুনে পুড়ল ৫০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ, চলছে লুটপাট
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানল, প্রবল বাতাসে পরিস্থিতি ভয়াবহ
কাতারের আমিরের উদ্দেশে ফেসবুকে যা লিখলেন তারেক রহমান
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৭০ ফিলিস্তিনি, মানবিক বিপর্যয় অব্যাহত
নারী শিক্ষার্থীদের ওয়াশরুমে ভিডিও ধারণ, যুবক আটক
শেখ হাসিনার সাথে হত্যা মামলায় জড়িত পটুয়াখালীর ইটবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মোজাম্মেল আটক