শিরোপা থেকে এক ম্যাচ দূরে আবাহনী
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১১ এএম | আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১১ এএম
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটের সুপার লিগে আর এক ম্যাচ জিতলেই টানা দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলবে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। সুপার লিগে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যেই শিরোপার মঞ্চ প্রস্তুত করে রেখেছে রাজধানীর অভিজাত পাড়ার দলটি। গতকাল ফতুল্লায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ১৭১ রানের আয়েসী জয়ে এখন শুধু উৎসবটাই বাকি আবাহনীর। পরের খেলায় জিতলেই দুই ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপার উৎসব করতে পারবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা।
এবারের লিগে প্রথম পর্ব থেকেই দুরন্ত গতিতে ছুটতে থাকা আবাহনী কাল টস জিতেই ব্যাটিংয়ে নামে। উদ্বোধনী জুটিতে মোহাম্মদ নাইম আর লিটন দাস মিলে করেন ৫৭ রান। ৩৩ রান করে প্রথম আউট হন মোহাম্মদ নাইম। উইকেটে এসে সেট হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। লিটন দাসও আর বেশীদূর যেতে পারেননি। তার ব্যাট থেকেও এসেছে ৩৩ রান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে শান্ত আর এনামুল হক বিজয়ের চমৎকার বোঝাপরায় রানের গতি বাড়তে থাকে। দুজনেই ঝড়ো গতিতে ব্যাটিং করে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলের খাতায় যোগ করেন ১৩৩ রান। অর্ধশতক তুলে নিয়ে ৫১ বলে ৬৮ রান করে আউট হন এনামুল বিজয়। ৫টি ছয় ও চারটি চারে এই রান করেন বিজয়। ততক্ষনে সেঞ্চুরির খুব কাছে নাজমুল হোসেন শান্ত। ছয়টি ছয় ও ৮টি চারের মারে ৮৪ বলে ১০১ রান করে শান্ত যখন আউট হন তখন দলের রান ৪ উইকেটে ২৫৮। ইনিংস বড় করতে বাকি কাজটা করে দিয়েছেন তৌহিদ রিদয় ও মোসাদ্দেক হোসেন। ব্যাটিংয়ে নেমেই শুরু থেকেই গাজীর বোলারদের ওপর চড়াও হয় এই দুই ব্যাটার। ৪টি ছয় ও তিনটি চারের মারসহ ৪০ বল খেলে স্কোরবোর্ডে ৫৮ রান যোগ করে অপরাজিত থাকেন তৌহিদ রিদয়। ১৭ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকা মোসাদ্দেক চারটি ছয় ও তিন চারের মার মারেন। মিডল অর্ডারের মারমুখি ব্যাটিংয়ে ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৩৪৩ রানের বড় পুঁজি পায় আবাহনী। বড় স্কোর টপকাতে নেমে প্রথম থেকেই দিশেহারা গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। আবাহনীর রকিবুল হাসান ,মোসাদেদ্দক ও তানজীমের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানের চাকা সচল রাখতে পারেনি তারা। এত চাপের মধ্যেও রান পেয়েছেন সাব্বির হোসেন ও হাবিবুর রহমান সোহান। শেষ পর্যন্ত ৩৫.১ ওভারে ১৭২ তুলতে পেরেছে গাজী গ্রুপ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন সাব্বির হোসেন। এছাড়া ৩৮ রান যোগ করেছেন হাবিবুর রহমান সোহান। আবাহনীর রকিবুল হাসান ৪৪ রানে নিয়েছেন চার উইকেট। এছাড়া মোসাদ্দেক ৩৪ রানে এবং তানজীম ৫৩ রানে দুটি করে উইকেট পান।
এদিকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের অন্য ম্যাচে রনি তালুকদারের সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংককে ৩৩ রানে হারিে ছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে মোহামেডানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় প্রাইম ব্যাংক। ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৭ রানের মাথায় অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের উইকেট হারায় মোহামেডান। এর ১৩ রান পরেই আউট হন ওয়ান ডাউনে নামা হাবিবুর রহমান। দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মোহামেডান। পরে রনি তালুকদার ও মাইদুল ইসলাম অংকনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে সাদা কালো শিবির। রনি, মেহেদী মিরাজ আর অংকনের কল্যাণে ৫০ ওখভার শেষে ৬ উইকেটে ৩১৭ রান করে মোহামেডান। রনি তালুকদার ১৩১ বলে করেন সর্বোচ্চ ১৪১ রান। এছাড়া মেহেদী মিরাজ ৫৩ এবং অংকনের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান। ৩১৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি প্রাইম ব্যাংকের। এম্যাচেও রান পাননি জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার তামিম হকিবাল। মাত্র ১৪ রান করেন তিনি। তামিমের পাশাপাশি এম্যাচে সুবিধা করতে পারেনি আর এক অভিজ্ঞ জাতীয় দলের উইকেট কিপার মুশফিকুর রহিম।এদুজন ছাড়া বাকিরা মোটামুটি লড়াই করে গেছেন। তারপরও হার এড়াতে পারেনি তামিমরা। ৪৮.৫ ওভারে ২৮৪ রানে থামে প্রাইম ব্যাংক। ৪৫ বলে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন মাহেদী হাসান। এছাড়া শাহাদাত হোসেন ৫১, সানজামুল ইসলাম ৪৯, অধিনায়ক জাকির হাসান ৪১ এবং পারভেজ ইমন করেন ৩৮ রান। মোহামেডানের আবু হায়দার রনি, নাসুম আহমেদ ও মুশফিক হাসান প্রত্যেকেই দুটি করে উইকেট পান। এই জয়ে শিরোপার লড়াইয়ে এখনও টিকে থাকলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। যদিও সে সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এক্ষেত্রে বাকি তিন ম্যাচে আবাহনীর হারতে হবে আর তিন ম্যাচের সবগুলোতে মোহামেডানকে জিততে হবে।
অন্যদিকে বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত অন্য ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। আগে ব্যাট করে ৪৬.১ ওভারে ২৬৪ রানে অলআউট হয় শাইনপুকুর। দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি ওপেনার জিসান আলম। ৬১ বলে ৯৮ রান করেন এই ওপেনার। এছাড়া অধিনায়ক আকবর আলী ৬৪ এবং তানজীদ হাসান করেন ৩৯ রান। শেখ জামালের তাইবুর রহমান ৩৮ রানে পান তিন উইকেট। ২৬৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে পৌছতে খুব বেশী বেগ পেতে হয়নি শেখ জামালের। দলীয় ২০ রানে প্রথম উইকেট হারালেও ফজলে মাহমুদের সেঞ্চুরিতে সহজেই জয় তুলে নেয় তারা। ২২ বল হাতে রেখেই ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ১১৯ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন ফজলে মাহমুদ। এছাড়া ওপেনার নাইফ হাসান ৬৭ এবং ইয়াসির আলীর ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান।
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
স্ত্রী পর্দা করতে না চাইলে করণীয় প্রসঙ্গে।
কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন
ঘুষ ১০০ টাকা খেলেও চাকরি থাকবে না : নৌপরিবহন উপদেষ্টা
সংস্কার কমিশনের কাছে নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন দুদক চেয়ারম্যান
মানিকগঞ্জে প্রথম নারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করলেন ইয়াছমিন খাতুন
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতৃবিয়োগ বিভিন্ন মহলের শোক জ্ঞাপন
মির্জাপুরে নিখোঁজের পাঁচ মাস পরও খোঁজ মিলেনি
মোরেলগঞ্জে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতির ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ব্রাহ্মণপাড়ায় ধর্ষণের শিকার হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী যুবতীর সন্তান প্রসব! আতংকে ভুক্তভোগী পরিবার
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ
জমকালো আয়োজনে পালিত হলো বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ ব্রিগেডের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে