ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

ব্যাটসম্যানদের দিকে অভিযোগের আঙুল

Daily Inqilab স্পোর্টস রিপোর্টার

০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম

ছবি: বিসিবি/ফেসবুক

চেন্নাই থেকে কানপুর। দুই টেস্টেই বাংলাদেশের জন্য চিত্রনাট্য প্রায় একই। ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণেই যে ভারতের কাছে বাংলাদেশ দুই টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে তা বুঝতে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার হয় না। কানপুরে আড়াই দিনে রূপ নেওয়া টেস্টেও অসহায় আত্মসমর্পণের পর টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্তও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ব্যাটসম্যানদের দিকেই।

বিশেষ করে দ্বিতীয় টেস্টে একটু মনোযোগ ধরে রাখতে পারলেই ড্র করা সম্ভব হতো। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ধৈর্যের চূড়ান্ত পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। ব্যাটসম্যানদের আউটের ধরণগুলোর দিকে নজর দিলেই বিষয়টা স্পষ্ট বোঝা যায়।

কানপুরে মঙ্গলবার শেষ দিনে স্রেফ ৩৬ ওভার ব্যাটিং করতে পেরেছে বাংলাদেশ। ২ উইকেটে ২৬ রানে দিন শুরু করে লাঞ্চের ঠিক আগের বলে গুটিয়ে যায় ১৪৬ রানে। ভারত পায় ৯৫ রানের লক্ষ্য। যা ৭ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় ভারত।

শেষ দিনে উইকেটে অসমান বাউন্স ছিল বটে, তবে পঞ্চম দিনের হিসেবে টার্ন অতোটা ছিল না। সেখানেও বাংলাদেশ মুখ থুবড়ে পড়েছে রীতিমতো। এমন হারের পর শান্ত বলেন, ‘দুই টেস্টেই আমরা ব্যাটিং ভালো করিনি। যদি আপনি আমাদের ব্যাটারদের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন আমাদের সকলেই ৩০-৪০ বল খেলে আউট হয়ে যায়। টেস্ট ম্যাচে এটা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি যখন থিতু হবেন, তখন আপনাকে বড় রান করতে হবে।’

দলের বিপদে এগিয়ে আসার মতো ব্যাটিং বলতে কানপুরে প্রথম ইনিংসে মুমিনুলের সেঞ্চুরি। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। চেন্নাইয়ে যেমন ১৪৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলকে উদ্ধার করেছিলেন রবীচন্দ্রন আশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা।

বাংলাদেশ এটা দেখেছে খুব কাছে থেকে, তবু শিখতে পারেনি কিছুই। বিষয়টা নিয়ে শান্ত বলেন, ‘যেভাবে অশ্বিন আর জাদেজা তখন ব্যাট করেছে, তা বেশ ভালো ছিল। আমাদের বোলিং ইউনিট হিসেবে ওসব মুহূর্তের দিকে মনোযোগ দিতে হবে, কীভাবে আমরা ওই উইকেটগুলো নিতে পারি। ওই জুটির কাছেই আমরা হেরে গিয়েছিলাম।’

ব্যর্থতার সিরিজেও ইতিবাচক দিকগুলো খুঁজে নিতে ভোলেননি শান্ত। তিনি বলেন, ‘যেভাবে মুমিনুল প্রথম ইনিংসে ব্যাট করেছে, তা আমাদের সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। যেভাবে মিরাজ দুই ইনিংস ধরেই বল করেছে, তা সত্যিই বেশ ভালো ছিল।’


বিভাগ : খেলাধুলা


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
টিভিতে দেখুন
দুই টিটি খেলোয়াড়ের পাশে নাভানা
তারুণ্যের উৎসবে তায়কোয়ান্দো
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত