বাফুফের কাছে সালাউদ্দিনের পাওনা ৩৫ হাজার, সোহাগের ৫ লাখ!
০৪ মে ২০২৩, ০৮:৪৩ পিএম | আপডেট: ০৫ মে ২০২৩, ১২:০১ এএম
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের পাওনা মাত্র ৩৫ হাজার টাকা হলেও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ পাবেন ৫ লাখ টাকা! ২০২১ সালে বাফুফের আর্থিক প্রতিবেদনে ঋণ খাতে দেখা গেছে সংস্থাটিতে যারা চাকরি করেন তাদের মধ্যে তিন জন বাফুফেকে ধার দিয়েছেন প্রায় ১৬ লাখ টাকা। অথচ সভাপতি সালাউদ্দিনের ধার দেখানো হয়েছে অর্ধ লক্ষ টাকারও নীচে। বাফুফের সর্বশেষ বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০২২ সালে। এ সভায় ২০২১ সালের অডিট রিপোর্ট অনুমোদিত হয়। সেই অডিট রিপোর্টে বাফুফের দেনা দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৭৬ হাজার ৬৯৯ টাকা। ২০২১ সাল শুরু হয়েছিল ৩ কোটি ২৭ লাখ ১৪ হাজার ৯৭৩ টাকা দেনা নিয়ে। ওই বছর অতিরিক্ত দেনা যোগ হয় প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা। এই সাড়ে ৬ লাখের মধ্যে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগের পাওনা ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৭২৫ টাকা, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেনের পাওনা দেড় লাখ ও সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের ৩৫ হাজার টাকা।
২০২১ সালে আবু নাইম সোহাগ বাফুফেকে ধার দিয়েছিলেন ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৭২৫ টাকা। ওই বছরের মধ্যে ২ লাখ টাকা ফেরত নেন তিনি। তবে প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ধার দিয়েছিলেন সোহাগের চেয়ে বেশি। ৭ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ধার দিয়ে ৬ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ফেরত নেন আবু। অর্থ বিভাগে চাকুরিরত আরেকজন এক্সিকিউটিভ অনুপম হোসেনও ধার দিয়েছিলেন বাফুফেবে। তার দেয়া সাড়ে ৫১ হাজার টাকা অবশ্য ২০২১ সালেই ফেরত নেন অনুপম ।
গত বছর শতাধিক কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে অডিট রিপোর্ট অনুমোদিত হয়েছিল। বাফুফের নির্বাহী কমিটি, কাউন্সিলরদের চোখে বিষয়টি এতদিন সেভাবে ধরা পড়েনি। তবে গত ২ মে বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভায় বেতনভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ফেডারেশনকে অর্থ ধার দেয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। নির্বাহী কমিটিতে অনেক সামর্থ্যবান ব্যক্তি থাকলেও বেতনভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারিরা বাফুফেকে অর্থ ধার দেয়ায় বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে সভাপতির ধার যেখানে মাত্র ৩৫ হাজার আর দুই বেতনভুক্ত কর্মকর্তার ধার প্রায় ১৬ লাখ টাকা! যা বিব্রত করেছে নির্বাহী কমিটির অনেককেই।
২০২১ সালে বাফুফে সভাপতির ধার মাত্র ৩৫ হাজার টাকা হলেও বিগত বছরগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত ধার দেখানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সালাউদ্দিনের মন্তব্য, তিনি বছরে বেশ কয়েকবারই ব্যক্তিগতভাবে ধার দেন ফেডারেশনকে। সালাউদ্দিন ব্যক্তিগতভাবে অর্থ দিলেও অনেক সময় তার টাকাগুলো অডিটে সেভাবে দেখানো হয় না বলে দাবি বাফুফের অনেক কর্মকর্তার। ফলে এখানে স্বচ্ছতার প্রশ্ন উঠে। তবে এ নিয়ে আগে কখনো কথা হয়নি, এবারই প্রথম আলোচনা হওয়ায় বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন কাজী সালাউদ্দিন। তার কথায়,‘মঙ্গলবারের (২ মে) সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে সামনে কাজ করবো আমরা।’ তবে বেতনভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধার দেয়া নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও অর্থ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক
জমকালো আয়োজনে পালিত হলো বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ ব্রিগেডের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী