কাতার বিশ্বকাপে উরুগুয়ে ব্যর্থ হয়েছিল গ্রুপ পর্বের বাঁধা ডিঙাতে। বিশ্বকাপের আগে তাদের নতুন কোচ পর্যাপ্ত সময় না পাওয়াটা একটা সমস্যা ছিল বটে। তবে ম‚ল ঝামেলা ছিল দলের প্রধান দুই স্কোরার লুইস সুয়ারেজ ও এডিনসন কাভানি বয়সের ভারে ঋজু হয়ে যাওয়াটা। উরুগুয়ের মধ্যমাঠ ও রক্ষণে কিছু প্রতিভাবান ফুটবলার থাকার পরও মনে হচ্ছিল বিশ্ব ফুটবলে তাদের সবশেষ একযুগে যে প্রতাপ সৃষ্টি হয়েছিল তা ধীরে-ধীরে লোপ পাচ্ছে। তবে গতকাল ভোরে সেই ধারণাকে ভ্রান্ত করে দিলেন দেশটির আগামীর ফুটবলাররা। আর্জেন্টিনাতে অন‚র্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে ফুটবলের আরেক পরাশক্তি ইতালিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে উরুগুয়ের ছোটরা।
আর্জেন্টিনার ডিয়েগো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়ে খেলে উরুগুয়ানরা। ইতালির পোস্টে ১৫টি শট নিয়েছে তাদের। যেখানে লক্ষ্যে ছিল চারটি। অপরদিকে ইতালির ফুটবলাররা মাত্র তিন শট নিতে পেরেছে প্রতিপক্ষের পোস্টে। যার একটিও অন টার্গেট ছিল না। যদিও এমন দাপুটে খেলেও গোলমুখ খুলতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে উরুগুয়েকে। যে মহাবীরের নামযুক্ত মাঠে খেলা হচ্ছিল, সেই ম্যারাডোনা ফুটবল বিশ্বে বিখ্যাত ৮৬’র বিশ্বকাপের জন্য। গতকাল সেই ৮৬তম মিনিটেই ইতালির জালে বল পাঠান লুসিয়ানো রদ্রিগেজ। ক্লোজ রেঞ্জ থেকে হেডে এই জয়স‚চক গোলটি করেন তিনি।
ইতালি এবারই প্রথমবার যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে। অন্যদিকে উরুগুয়ে আগে দুইবার শিরোপা লড়াইয়ে নামলেও হতে পারেনি চ্যাম্পিয়ন। তৃতীয় চেষ্টায় সফল লাতিন দলটি এই আসরে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে বধ করে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়া ইসরায়েলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছিল। তিন গোল করে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা উরুগুয়ের মিডফিল্ডার অ্যান্ডারসন দুয়ার্তে। এদিকে মাঠে থেকে ম্যাচটি উপভোগ করেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো।