নতুন তারকা পাচ্ছে দেশের ফুটবল
০২ আগস্ট ২০২৩, ১০:০৬ পিএম | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম
জাতীয় ফুটবল দলে বেশ কয়েক বছর ধরেই বসুন্ধরা কিংস ও ঢাকা আবাহনী লিমিটেডে খেলোয়াড়দের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে জাতীয় দল সাজাতে বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়দেরই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। সামনে জাতীয় দল ছাড়াও হ্যাংজু এশিয়ান গেমস এবং এএফসি কাপের খেলা রয়েছে। আরও আছে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ম্যাচও। ফলে চীনের হ্যাংজুতে এশিয়ান গেমস ফুটবলে ব্যতিক্রমী কিছু দেখা যেতে পারে। কারণ সেখানে থাকছে না কিংসের কোনো খেলোয়াড়ই। তাই আসন্ন এশিয়ান গেমসে নতুনদের মেলে ধরার সুযোগ থাকছে। তারা যদি মাঠে নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিতে পারেন তাহলেই শতভাগ সফল হবেন। নিজেরা পাবেন তারকা খ্যাতি আর দেশের ফুটবল পাবে নতুন তারকা।
সর্বশেষ জাকার্তা এশিয়ান গেমস ফুটবলে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। এবার সেই পারফরম্যান্স ধরে রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জ। এশিয়ান গেমসের এবারের দলে অভিজ্ঞ বলতে জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, রবিউল হাসান, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, ঈসা ফয়সাল ও জাফর ইকবালের নাম বলা যায়। তবে বড় পরীক্ষার মঞ্চে নতুন হিসেবে আসতে পারেন মেহেদী হাসান শ্রাবন, হাসান মুরাদ, মিতুল মার্মা, শাহিন আহমেদ ও তানভীর হোসেনরা। বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার অধীনে লাল-সবুজ জার্সি গায়ে একাদশে খেলার সুযোগ রয়েছে তাদের সামনে। নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে তখনই মূল দলের দরজাটা খুলে যাবে। তবে দেশে মানসম্মত খেলোয়াড়ের যে বড়ই অভাব তা জানালেন জাতীয় দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন। তিনি এশিয়াডের দল গঠন করতে গিয়ে গণমাধমের কাছে নিজের অভিজ্ঞতা এভাবেই ভাগাভাগি করেন, ‘আমি ও হ্যাভিয়ের টোটাল স্কাউটিং করে যা পেয়েছি, এখন এমন সময় এসেছে যে, রক্ষণভাগে যথেষ্ট সেন্টারব্যাক কিংবা গোলরক্ষক নেই। আপনারা তো শুধু ফরোয়ার্ড পজিশন নিয়েই বলছেন। দল গঠন করতে গিয়ে গলদঘর্ম হতে হয়েছে।’ তবে যাদের পেয়েছেন তাদের মধ্যে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন মামুন। বিশেষ করে গোলরক্ষক শ্রাবন, ডিফেন্ডার মুরাদ হোসেন কিংবা ফরোয়ার্ড পিয়াশ আহমেদ নাভাদের সামনে বড় সুযোগ এশিয়ান গেমসে নিজেদের মেলে ধরার। মামুন বলেন, ‘এর মধ্যে যারা দলে জায়গা পেয়েছে তারা ভালো। হয়তো বড় তারকা নয়, কিন্তু তারকা হওয়ার যোগ্যতা তাদের আছে। এই যেমন মুরাদ হোসেনের ভালো সামর্থ্য আছে। সব দিক দিয়ে আমরা এমন খেলোয়াড় পছন্দ করছি, যারা অন্য পজিশনেও খেলতে পারে, সেন্টারব্যাক কিংবা মিডফিল্ডার।’
এএফসি কাপ না হলে বসুন্ধরা কিংসের ইয়াসিন আরাফাত, শেখ মোরসালিন, আনিসুর রহমান জিকোদের দেখা যেতো এশিয়াডের দলে। তারপরেও দলে যারা আছেন তাদের প্রতি আস্থা রাখছেন মামুন, ‘এই সময়টা জটিল। একে তো বড় আকারে মানসম্মত খেলোয়াড় নেই দেশে। তাছাড়া খেলাগুলো পড়ে গেছে একই সঙ্গে। এখন আলাদা করে খেলা হওয়াতে সবার সামনে সুযোগ আসছে। হয়তো শুধু একটি খেলা একসময় হলে নতুনদের সুযোগ সেভাবে আসতো না। এরা কখনও জায়গা পেতই না। আমরা আসলে ভারসাম্য করার জন্য কাজ করছি।’
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ বেতারে উর্দু সার্ভিস চালু করতে পর্যালোচনা সভা
তোফাজ্জলের জানাজায় মানুষের ঢল, দাফন হলো বাবা-মা ও ভাইয়ের কবরের পাশে
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
গণপিটুনিতে হত্যা: ঢালাওভাবে ছাত্রদের বিজয়কে খাটো করতে আওয়ামী মিডিয়ার আস্ফালন, সমালোচনার ঝড়
সাবেক এমপি ইয়াকুবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে
ভারতকে ৩৭৬ রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ, হাসানের ৫
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরো ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
দোয়ারাবাজার সীমান্তে মহিষসহ মাছের চালান জব্ধ
সিলেটে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার, নারী গ্রেফতার
আশ্বিনকেও ফেরালেন তাসকিন
কক্সবাজার পাহাড়তলীতে অনৈতিক কাজে অতিষ্ঠ মানুষ, বাধা দেয়ায় বাসার মালিকের উপর হামলা
অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির খসড়া পাঠিয়েছে ইইউ
তাসকিনের জোড়া আঘাত, লিটনের রেকর্ড
ডিবির আলোচিত ডিসি মশিউর গ্রেপ্তার
১৯৯ রানের জুটি ভাঙলেন তাসকিন
গণপিটুনিতে দুই মাসে ৩৩ জনের মৃত্যু
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন জয়
মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন খুলছে আজ
বিচিত্রার সম্পাদক দেওয়ান হাবিব আর নেই