বিশ্বের সবচেয়ে কাঙ্খিত ফুটবল ম্যাচটি শুরু হতে পারল না ঠিক সময়ে। পরে গ্যালারির উত্তেজনা ছড়াল মাঠে। একের পর এক ফাউলে আর্জেন্টিনাকে খেলতেই দিল না ব্রাজিল। গোলশূন্য শেষ হলে প্রথমার্ধ।

এসময় ব্রাজিলের ১৬ ফাইলের বিপরীতে ৬টি ফাইল করে আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলের আগুস্তো, রাফিনিয়া ও গাব্রিয়েল জেসুস দেখেছেন হলুদ কার্ড। আর্জেন্টিনার কেউ কার্ড দেখেনি। মেসিকে পুরোপুরি ফিট মনে হয়নি। প্রথমার্ধেই দুইবার তাকে শুশ্রুষা নিতে দেখা যায়।

ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোর সাড়ে ছটায়। কিন্তু গ্যালারিতে দুই দলের সমর্থকদের মাঝে শুরু হয় মারামারি। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ এসে কেবল আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উপর চড়াও হয়। শুরু করে তুমুল লাঠিচার্জ। বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে গ্যালারিতে সমর্থকদের রক্ষায় ছুটে যান মেসিসহ দলের অন্যরাও। এরপর সতীর্থদের নিয়ে মাঠ ছেড়ে চলে যান মেসি।

প্রায় আধা ঘণ্টা পর শুরু হয় খেলা। শুরু থেকেই ছড়াতে থাকে উত্তেজনা। শরীরি ফুটবল খেলতে থাকে স্বাগতিক ব্রাজিল। এলোমেলো ফুটবলে প্রথমার্ধে কোনা দলই গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। তবে গোললাইন থেকে একটি সেভ দেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক রোমেরো।

এসময় ৬১ শতাংশ বলের দখল রেখে ৩টি শট নেয় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা কিন্তু কোনোটিই লক্ষ্যে থাকেনি। ব্রাজিল শট নিতে পারে একটি। সেটাও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে কাতার ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটিও পণ্ড হয়ে গিছিল। সেই ম্যাচটিও ছিল ব্রাজিলের মাঠে। সাও পাওলোয় ম্যাচের ৭ মিনিটের মাথায় করোনা বিধিনিষেধ ভাঙায় আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড়কে ধরতে মাঠে ঢুকে পড়েন ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। খেলোয়াড় ও স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তাদের মধ্যে হাতাহাতিতে ম্যাচ হয় পণ্ড।