ভেন্যু জটিলতায় নারী সাফ!
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩০ এএম | আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩০ এএম
নতুন বছরে ফুটবলের আন্তর্জাতিক আসরের বেশ কিছু টুর্নামেন্টে ভাল করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ জাতীয় নারী দল। যার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ টুর্নামেন্ট সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নেপালের কাঠমান্ডুতে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের সর্বশেষ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছিলেন সাবিনা খাতুনরা। এবার তাদের লক্ষ্য শিরোপা ধরে রাখা। আর শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মিশনে এ বছরই সাফে খেলবেন তারা। সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) আগামী অক্টোবরে নারী সাফ আয়োজনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করলেও ভেন্যুর বেড়াজালে পড়েছেন কর্তারা। আসন্ন সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা কোথায় হবে? তা এখনো ঠিক করতে পারেননি সাফের দায়িত্বশীলরা। ইতোমধ্যে আয়োজক হওয়ার জন্য আবেদন করেছে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান। তবে এবারের সাফ বাংলাদেশে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আয়োজক হলে দেশের কোন ভেন্যুতে খেলা হবে তা সাফকে জানাতে পারেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। নারী সাফের ভেন্যু নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি। কারণ ভেন্যু জটিলতায় ভুগছে তারা।
দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক ফুটবল ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গত আড়াই বছর ধরে সংস্কার কাজ চলছে। ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা আবাহনী লিমিটেড ও বসুন্ধরা কিংসের মধ্যকার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ম্যাচের পর এখানে ঘরোয়া ফুটবলের আর কোনো খেলা হয়নি। এখানে শেষবার আন্তর্জাতিক ফুটবল হয়েছে ২০২১ সালের ২৭ ও ২৯ মার্চ নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই ম্যাচের প্রীতি সিরিজ। অন্যদিকে কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের টার্ফ বর্তমানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের মতো অবস্থায় নেই। আগেও অনেক বিদেশি খেলোয়াড় এই টার্ফে খেলে ইনজুরিতে পড়েছেন। তাই সাফ এরই মধ্যে এই ভেন্যুর বিষয়ে নিজেদের অনিহার কথা বাফুফেকে জানিয়ে দিয়েছে। মেয়েদের সাফের ভেন্যু হিসেবে সিলেটের কথা ভেবেছিল বাফুফে। কিন্তু সাফের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান সেখানে টুর্নামেন্ট আয়োজনে রাজি নয়। এখন বাফুফের হাতে দুটি পথ খোলা আছে। যার একটি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, অন্যটি বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা। এ দু’টি ছাড়া আপাতত নারী সাফ আয়োজনের বিকল্প ভেন্যু নেই দেশে!
টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল রোববার বলেন, ‘আয়োজক এখনো ঠিক হয়নি। আমাদের মার্কেটিং এজেন্ট ঠিক করবে কোথায় হবে খেলা। বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান আয়োজক হওয়ার দাবিদার। বাংলাদেশ আয়োজক হতে চাইলেও খেলা কোথায় হবে তা বলতে পারছে না বাফুফে। আমরা সহসাই তিন দেশের কাছে তাদের প্রস্তাবিত ভেন্যুর নাম চাইবো। তারপর সিদ্ধান্ত নেব। বাফুফে যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম খেলার উপযোগী করে তোলার ব্যবস্থা করতে পারে তাহলে আয়োজক হতে পারবে। কমলাপুর বা সিলেটে ভেন্যু হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।’
কিছুদিন আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বাফুফের কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছিলেন। এই ভেন্যুতে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখানকার সংস্কার কাজের অগ্রগতি খুব একটা হয়নি। আমরা এখন সংশ্লিষ্টদের কাছে চাইবো যাতে তারা ড্রেসিং রুম ও প্রেসবক্স ঠিকঠাক করে দেয়। গ্যালারির পুরনো চেয়ার সরিয়ে পরিষ্কার করে দিলেই হবে। আর মাঠের চারিদিকে অ্যাথলেটিক ট্র্যাকের কংক্রিট রাবার দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এসব করে দিলেই আমরা এখানে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করতে পারবো।’
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি : দোয়া চাইলেন তারেক রহমান
মাঘের শুরুতে আবার আসছে শৈত্যপ্রবাহ
আজহারীর মাহফিলের আগের রাতেই মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ
আজ ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে করাচিতে
পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইকালে বিদেশি অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ নেতা আটক
ফ্যাসিস্টের দোসর সোহানা সাবা পেল ভারতে বড় দায়িত্ব
সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে অসন্তোষ বিএনপির
মাগুরার শ্রীপুরে কৃষক দলের বিশাল কৃষক সমাবেশ
ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী?
টানা তৃতীয় বছরের মতো চীনের জনসংখ্যা কমল
নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় ড্রেজারসহ ৬ জন গ্রেফতার
টিউলিপের পতন, এক রাজনৈতিক অধ্যায়ের অবসান
অভিষেকের আগে শি জিনপিংকে ট্রাম্পের ফোন
সিরিয়ায় আটক নাগরিকদের দেশে বিচার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ফ্রান্স
বিশ্ব ইজতেমার ৭০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন : ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার
আখাউড়া কালন্দি খালে বইবে জলধারা
টঙ্গীতে ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেফতার ১৩
৩৩ জিম্মির বিনিময়ে ১ হাজার ৯৭৭ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল
যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ বাগিয়ে নেন পুতুল
আল-শারা ও শেখ মোহাম্মদের ঐতিহাসিক টেলি-আলোচনা