সা¤প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে না বায়ার্ন মিউনিখের। লাৎসিওর মাঠ থেকে হার নিয়ে ফিরতে হয়েছিল ছয়বারের চ্যাম্পিয়নদের। তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার বড় শঙ্কায় ছিল তারা। তবে ঘরের মাঠে হ্যারি কেইনের নৈপুণ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাভারিয়ানরা। এই ইংলিশ তারকার জোড়া গোলে লাৎসিওকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কেটেছে দলটি। অন্যদিকে কিলিয়ান এমবাপের জোড়া গোলে রিয়াল সোসিয়েদাদকে হারিয়ে শেষ আর নিশ্চিত করেছে পিএসজি।
গতপরশু রাতে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগের ম্যাচে ইতালিয়ান ক্লাব লাৎসিওকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। প্রথম লেগে ০-১ ব্যবধানে হেরেছিল তারা। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে জিতল টমাস টুখেলের শিষ্যরা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গত কয়েক ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্সও ভালো ছিল না। সেখান থেকে কী দুর্দান্তভাবেই না ঘুরে দাঁড়াল ইউরোপের ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা।
এদিন ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে কাক্সিক্ষত গোলটি পায় বায়ার্ন। রাফায়েল গেরেইরোর কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ হেডে বল জালে পাঠান কেইন। আর বিরতির আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা। কর্নারের উড়ে আসা বল ফাঁকায় পেয়ে ভলি করেন মাটাইস ডি লিখট। গোলমুখে আলতো ছোঁয়ায় গোল নিশ্চিত করেন টমাস মুলার। ৬৬তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন কেইন। লেরয় সানের শট গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকালে আলগা বল পেয়ে অনায়াসে জালে পাঠান এই ফরোয়ার্ড। চলতি আসরে আট ম্যাচে ৬ গোল করে পিএসজির কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা কেইন।
এদিকে, সোসিয়েদাদের মাঠ রিয়ালে অ্যারেনায় শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে দিনের অপর ম্যাচে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। প্রথম লেগে ২-০ গোলের ব্যবধানে জিতেছিল প্যারিসের ক্লাবটি। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল লুইস এনরিকের দল। ম্যাচের ১৫তম মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন এমবাপে। উসমান দেম্বেলের থ্রু বল বক্সের ভেতরে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এক ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। আর ৫৬তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল পেয়ে যান এই ফরোয়ার্ড। লি কাং-ইনের বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। প্রথম লেগেও দলের প্রথম গোলটি করেছিলেন এমবাপে। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চলতি মৌসুমে ৪০ গোলে সম্পৃক্ত থাকলেন তিনি (৩৩ গোল, ৭ অ্যাসিস্ট)। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৬৯ ম্যাচে এমবাপের গোল হলো ৪৬টি। চলতি মৌসুমে ৬ গোল করে যৌথভাবে সর্বোচ্চ স্কোরার তিনি।
নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে সান্ত¡নাসূচক গোলটি পায় সোসিয়েদাদ। লক্ষ্যভেদ করেন মিডফিল্ডার মিকেল মেরিনো।