ফিফা সনদের একাধীক আইন লঙ্ঘণ করায় ইসরায়েলের জাতীয় ও ক্লাব দলকে ফুটবলের সকল আন্তর্জাতিক আসর থেকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে ফিলিস্তিনি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ)। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে রাজি হয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফাও।

ব্যাংককে শুক্রবার ৭৪তম ফিফা কংগ্রেসে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে বিষয়টি।

পিএফএ’র যুক্তি, আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড অধীগ্রহণ করেছে ইসরায়েল এবং অধীকৃত ভূখণ্ডে অবস্থিত ইসরায়েলি ফুটবল দলগুলোকে স্থানীয় লিগে অংশ নিতে দিচ্ছে। দেশটির জাতীয় দল ও ক্লাব দলগুলোকে তাই শাস্তির আওতায় আনা উচিৎ।

এছাড়া, পিএফএ’র আওতাধীন এলাকায় বর্ণবিদ্বেষ ও বৈষম্য চলতে দিয়ে ইসরায়েলি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন প্রকারান্তর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে সমর্থন জানিয়েছে। যা ফিফার সনদের লঙ্ঘণ। এশীয় ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) ফিলিস্তিনের এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে। 

বৈঠকে ভোটের মাধ্যমে ইসরায়েলের নিষিদ্ধের বিষয়টির সুরাহা হবে বলে আশা করছিল পিএফএ। তবে ইনফান্তিনো বলেন, 'ফিফা ফিলিস্তিনি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের তিন দাবি নিয়ে নিরপেক্ষ আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করবে এবং ফিফার সনদ ও নীতিমালা যেন সঠিকভাবে এ ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়, তা নিশ্চিত করবে।'

এ বছরের ২০ জুলাইর আগেই একটি বিশেষ সভার আয়োজন করা হবে, যেখানে এই আইনি প্রক্রিয়ার ফলাফল নিরীক্ষা করে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নিষিদ্ধের দাবিকে 'বিদ্রুপাত্মক' বলে অভিহিত করেছে ইসরায়েল।

২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর রুশ দলগুলোকে সব আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।

সম্মেলনে ২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক হিসেবে ব্রাজিলের নাম ঘোষণা করা হয়।