চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়। চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন-করা আর্দ্র রজনী। রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কাকে নিয়ে লিখেছিলেন, কে জানে। তবে অ্যালান ডোনাল্ডের সাথে কবির কবিতার দুটি চরণ যেন হুবহু মিলে যায়। বাংলাদেশ দল ছেড়েছেন অনেকগুলো দিন হয়ে গেল। কিন্তু এখনও যেন বাংলাদেশ দলের কথা ভুলতে পারেন না প্রোটিয়া কিংবদন্তি। নাজমুল হোসেন শান্ত, তাসকিন আহমেদরা নতুন আরও এক স্বপ্ন নিয়ে যখন উড়াল দিলেন বিশ্বকাপে, ডোনাল্ড আরও একবার জানান দিলেন তার বাংলাদেশপ্রীতি।
পেস বোলিং ইউনিটের বিচারে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব ক্রিকেটের পরাশক্তি। বাংলাদেশের মাটি বা উইকেট স্পিনারদের জন্য সহায়ক হলেও তাসকিন-শরিফুল-মুস্তাফিজরা কাঁপাচ্ছেন বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটারদেরও। আর এর পেছনে মূল অবদান ডোনাল্ডের। রাসেল ডমিঙ্গোর আমলে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে স্মরণীয় সব সাফল্য এনে দিয়েছিলেন ডোনাল্ড। নিজে যেমন খেলোয়াড়ি জীবনে কিংবদন্তি ছিলেন, বাংলাদেশে যেন তেমনই ক’জন কিংবদন্তিকে শাণিত করে গেছেন। মুস্তাফিজুর রহমান এখন মাতান আইপিএল, তাসকিন-শরিফুলরা জাতীয় দলের জার্সিতে ছুঁড়েন আগুনের গোলা। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেলেও, ডোনাল্ড কি করে ভুলবেন বাংলাদেশিদের কথা?
চলে যাওয়ার এত দিন পরও তাই ক’দিন পরপর বাংলাদেশ দলকে নিয়ে সরব দেখা যায় প্রোটিয়া তারকাকে। এবার সাবেক এই পেসার শুভকামনা জানালেন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলকে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলের অফিসিয়াল ফটোশুটের একটা ছবি যতœ করে নিজের ফোনে ডাউনলোড করেছেন ডোনাল্ড। সেই ছবি আপলোড দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ দলকে অনেক শুভকামনা। আশা করছি বিশ্বকাপটা ভালোই যাবে। সাহস নিয়ে খেলো।’ ডোনাল্ডের দীক্ষা কাজে লাগিয়ে যে ক’জন নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়, তাদের একজন তাসকিন আহমেদ। সেই তাসকিন ডোনাল্ডের ছবিতে কমেন্ট করেছেন লাভ ইমোজি। সাবেক গুরুকে ভালোবাসা জানিয়ে যেন জানান দিলেন, ‘তোমাকেও আমরা ভুলিনি।’