আগেও দুইবার জাতীয় হকি দলের কোচের দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন জার্মান কোচ গেরহার্ড পিটার রাক। প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাবের কোচ হয়ে দলকে শিরোপাও জিতিয়েছেন তিনি। এবার বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর হিসাবে যুক্ত হলেন এই জার্মান। ইউরোপের বিভিন্ন লিগে খেলানো এবং বয়সভিত্তিক হকি খেলোয়াড়দের পরিপক্ক করে তোলার লক্ষ্য নিয়েই ফের ঢাকায় আগমন পিটারের। যদিও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) সঙ্গে এখনো চুক্তি হয়নি তার। তবে জুন থেকে কাজ শুরু করবেন তিনি। বাহফের সঙ্গে আপাতত চুক্তি হবে এক বছরের। ক’দিন আগেই প্রিমিয়ার হকি লিগের বেশ কটি ক্লাবের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি ও জরিমানা করেছে বাহফে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এ নিয়ে দেশের হকি অঙ্গন যখন উত্তপ্ত ঠিক সেই মুহূর্তে ফের জার্মান কোচ পিটারকে টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর হিসেবে দেশের হকিতে সংযুক্ত করলো হকি ফেডারেশন। গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যটি গণমাধ্যমকে জানায় বাহফে। সম্মেলনে গেরহার্ড পিটার বলেন,‘বছরে পাঁচ মাস এদেশের হকি খেলোয়াড়দের ইউরোপের বিভিন্ন লিগ খেলতে সহায়তা করবো আমি। তাছাড়া বাকি সময় অন্য বয়সভিত্তিক দলগুলোরও দেখাশুনা করবো।’
জার্মান এই কোচ এবার ঢাকায় আসার আগে কেনিয়া হকির টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর ছিলেন। সেখান থেকেই ফের বাংলাদেশের আমন্ত্রণে সাড়া দিলেন পিটার। ইউরোপে গিয়ে অনেক সময় ক্রীড়াবিদরা আর ফেরেন না। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিক ও ফেডারেশনের কর্তাদের মধ্যকার কথা আঁচ করতে পেরে পিটার বলেন,‘খেলোয়াড়রা আগেও ইউরোপে গিয়েছে, এখনো যাচ্ছে। এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই রকম ভাবনাটা খুব সমীচীন নয়।’ পিটারের পরিকল্পনা এপ্রিল থেকে জুন এবং আগস্ট ও সেপ্টেম্বর বছরের এই ক’মাস বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা ইউরোপে সময় কাটাবেন। ইতোমধ্যে নাকি ২১ জন খেলোয়াড় সম্পর্কে কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে তার কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েছে। খেলোয়াড়দের ইউরোপের ব্যয় ও আয়ের বন্টন নিয়ে পিটার বলেন,‘ওখানে খেলোয়াড়দের সকল ব্যয় সংশ্লিষ্ট ক্লাবেরই। ওখানে খেলোয়াড়দের আয়ের কিছু অংশ ফেডারেশন পাবে কিনা সেটা এখনো ভাবা হয়নি। তবে আমি ক্যারিয়ারে কখনো খেলোয়াড়দের কাছ থেকে অর্থ নেইনি। আমার পকেট থেকে খেলোয়াড়দের দিয়েছি, এমনকি আমার বাসায়ও খেলোয়াড়দের রেখেছি।’