মূল্যস্ফীতির প্রভাবে বাজারে আগুন
১২ মার্চ ২০২৩, ০৭:০০ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৪৭ এএম
মূল্যস্ফীতি বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। সকল ধরনের পণ্যের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলার কারণে বিপাকে পড়ছে সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষ। বিশেষ করে, মধ্যবিত্ত, নি¤œমধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের ভোগান্তি বেশি হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি বলতে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশের দ্রব্য বা সেবার মূল্যের স্থায়ী একটা ঊর্ধ্বগতি বোঝায়। সাধারণভাবেই মানুষ নিত্যদিন যে দ্রব্যের প্রয়োজন বোধ করে তার দাম নিয়েই তার চিন্তা থাকে। আর তাই মূল্যস্ফীতি মানে অর্থনীতির সব দ্রব্যের দামের পরিবর্তনকেই বোঝায় না, বরং জনগণের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের একটি ‘বাস্কেট’ বা গুচ্ছের (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২৬৪টির মতো পণ্যের একটা বাস্কেট আছে) গড় দাম একটি নির্দিষ্ট সময়ে কতটুকু পরিবর্তিত হলো তাই নির্দেশ করে। বর্তমানে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, যা ক্রমাগত বেড়ে চলছে। এতে দুশ্চিন্তার বাজ পড়েছে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কপালে। বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরেই খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অনেকবার অসন্তোষ দেখা গেছে। আর সাম্প্রতিক কয়েক মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে খরচ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষ। সাধারণত দুটি কারণে মুদ্রাস্ফীতি ঘটে। প্রথমত, চাহিদা বৃদ্ধিজনিত কারণে বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে যদি কোনো দেশে পণ্য ও পরিষেবার সুবিধা নেয়ার চাহিদা বৃদ্ধি পায় অথচ সেই অনুপাতে পণ্যের উৎপাদন বা পরিষেবা সরবরাহ না থাকে, তাহলে যেটুকু পণ্য ও পরিষেবা পর্যাপ্ত আছে, তার মূল্য বৃদ্ধি হয় এবং মুদ্রাস্ফীতির অবস্থা তৈরি হয় দ্বিতীয়ত, মূল্যবৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতি। এ ক্ষেত্রে যদি কাঁচামাল অথবা সেই সব পণ্য বা পরিষেবা, যার ওপর কোনো দেশের অর্থনীতি প্রবলভাবে নির্ভরশীল তার মূল্য বৃদ্ধি হয়, তবে মুদ্রাস্ফীতির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। মহামারি মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউনের ফলে আঘাত আসে প্রবৃদ্ধির গতিতে। যে কারণে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ২ শতাংশ থেকে নামিয়ে ৬ দশমিক ১ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অর্জন হয়েছে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। তবে চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে বলে আশা করছে অর্থ বিভাগ। আগামী অর্থবছরে আশা করছি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়াবে। সে ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। তাই এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
মিজানুর রহমান মিজান
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
বিভাগ : আজকের পত্রিকা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের কাছে ক্ষমা না চাইলে ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
বগুড়ায় মেয়েকে হত্যা করে মায়ের আত্মহত্যা, চিরকুট উদ্ধার
বিবাহ বিভ্রাটে তৌহিদ আফ্রিদি, স্যোশ্যাল মিডিয়ায় শালিকা নিয়েছে বউয়ের অবস্থান
বিদেশি হস্তক্ষেপে বিগত সরকার ফ্যাসিস্টে পরিণত হয়েছিলো : আসিফ নজরুল
মাদক নির্মূলে কঠোর অবস্থানের ঘোষনা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
নারায়ণ চন্দ্রকে আদালত চত্বরে ডিম নিক্ষেপ
সেই কবি এবার ৬৯ বছর বয়সে এইচএসসি পাস করলেন
ফিলিপাইনে টাইফুন উসাগির আঘাত
যশোরে ছুরিকাঘাত করে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা
চুয়াডাঙ্গার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হলেন যশোরের বিচারক শিমুল
জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে ছাত্র-জনতার অন্যতম লক্ষ্য ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন : ভূমি উপদেষ্টা
২০ হাজার ওমরাযাত্রী অনিশ্চয়তায়, ওমরাহ টিকিটে এক লাফেই ১৭ হাজার টাকা বৃদ্ধি
সংষ্কার কাজ দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন -মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম
কটিয়াদীতে যুবকের লাশ উদ্ধার, স্ত্রী আটক
বেনাপোল বন্দরে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল উদ্বোধন করলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন, কমবে ভোগান্তি, বাড়বে বাণিজ্য
যশোর বোর্ডে এইচএসসিতে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন ৬৬ হাজার, পরিবর্তন ৭১ জনের
আইএইচএফ ট্রফির বাছাইপর্বে অংশ নিবে ইয়ুথ ও জুনিয়র হ্যান্ডবল দল
ফের কমলো সোনার দাম
সাফজয়ী দলকে আর্থিক পুরস্কার দিল সাউথ ইস্ট ব্যাংক
২৪২ সদস্যবিশিষ্ট ঢাবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ