জলাশয় রক্ষায় সোচ্চার হোন

Daily Inqilab ইনকিলাব

১৩ মার্চ ২০২৩, ০৭:৪৯ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০২:১৩ পিএম

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র্য, কৃষি, পর্যটনসহ নানাক্ষেত্রে জলাশয় একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। পৃথিবীর মোট আহরিত মাছের দুই তৃতীয়াংশ আসে এসব জলাশয় থেকে। জলাশয় বর্ষার সময় অতিরিক্ত পানি ধারণ করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করে, পানির রাসায়নিক উপাদান নিয়ন্ত্রণ করে ও অতিরিক্ত পুষ্টি শোষণ করে পানির গুণাগুণ উন্নতকরণের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও খাদ্য উৎপাদনে, জলজ প্রাণীর বাসস্থান ও অতিথি পাখির আশ্রয়স্থল হিসেবেও জলাশয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। কিন্তু সম্পদের অতিরিক্ত আহরণ, পরিবেশ দূষণ, জনসংখ্যার চাপ, বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনাসহ নানাবিধ কারণে এদেশের জলাশয়গুলোর প্রায় প্রতিটিই কমবেশি বিপদের সম্মুখীন। মূলত আইনের শিথিলতা ও প্রয়োগের অভাবেই রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে জলাশয়ের পরিমাণ ক্রমশ কমছে। ফলস্বরূপ ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কমছে, তাতে ভারসাম্যহীন হচ্ছে পরিবেশ। এর পরিসংখ্যানে জানা যায়, সারাদেশে প্রতিবছর ৪২ হাজার একর জলাশয় ও কৃষিভূমি ভরাট হচ্ছে, দিনদিন এর মাত্রা আরো বাড়ছে। শহরে বৃষ্টির পানি সুষ্ঠু নির্গমনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে সৃষ্টি হয় পানিবদ্ধতা। নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, একটি শহরের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ এলাকা জলাশয় থাকা প্রয়োজন। কিন্তু রাজধানী ঢাকার জলাশয়ের পরিমাণ মাত্র ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ, তাও ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন। প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী কোনো পুকুর, জলাশয়, নদী, খাল ভরাট করা বেআইনি। এই বিধান লঙ্ঘন করলে আইনের ৮ ও ১২ ধারা অনুযায়ী ৫ বছরের কারাদন্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে। কিন্তু আইন লঙ্ঘন করেই চলছে জলাশয় ভরাট। তাই আইন কিংবা পরিকল্পনা থাকলেই হবে না, প্রয়োগের করতে হবে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে জলাভূমি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সোচ্চার হওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

নাসরিন জাহান
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।


বিভাগ : আজকের পত্রিকা


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

অতিরিক্ত মালবাহী গাড়িতে বেহাল দশা
কমলনগরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার
সড়ক সংস্কারের দাবিতে বরগুনাবাসীর মানববন্ধন
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওসি বদল
শিশু শিহাব হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
আরও

আরও পড়ুন

এবার রূপায়ণ সিটির সঙ্গি সাকিব

এবার রূপায়ণ সিটির সঙ্গি সাকিব

পাকিস্তানের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ

পাকিস্তানের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ

শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করলো গণস্বাক্ষরতা অভিযান

শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করলো গণস্বাক্ষরতা অভিযান

নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতেই বিএনপির ভারত বর্জন কর্মসূচি : নাছিম

নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতেই বিএনপির ভারত বর্জন কর্মসূচি : নাছিম

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান

জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান

সরকারের এমপিরা ঘোষণা দিয়ে লুটপাট শুরু করেছে- এবি পার্টি নেতা এড. তাজুল ইসলাম।

সরকারের এমপিরা ঘোষণা দিয়ে লুটপাট শুরু করেছে- এবি পার্টি নেতা এড. তাজুল ইসলাম।

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি : শিল্পমন্ত্রী

স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি : শিল্পমন্ত্রী

আধিপত্যবাদী শক্তিকে সম্মিলিতভাবে  রুখে দিতে হবে

আধিপত্যবাদী শক্তিকে সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে

সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিদেশী প্রভুদের কাছে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে: আমিনুল হক

সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিদেশী প্রভুদের কাছে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে: আমিনুল হক

টাকার বিছানায় ঘুম

টাকার বিছানায় ঘুম

চশমার যাদুঘর

চশমার যাদুঘর

শেরপুরের পৃথক ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু

শেরপুরের পৃথক ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু

বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে

বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে

গ্রেফতার সেই কুমির

গ্রেফতার সেই কুমির

লেভেল ক্রসিং স্থাপন প্রয়োজন

লেভেল ক্রসিং স্থাপন প্রয়োজন

রাজধানীতে বেড়েছে তৃতীয় লিঙ্গের চাঁদাবাজি

রাজধানীতে বেড়েছে তৃতীয় লিঙ্গের চাঁদাবাজি

হাফিজ আহমেদ মজুমদার : যার তুলনা তিনি নিজে

হাফিজ আহমেদ মজুমদার : যার তুলনা তিনি নিজে

গরিব হয়ে যাচ্ছে দেশের মানুষ

গরিব হয়ে যাচ্ছে দেশের মানুষ

সীমান্তে আর কত হত্যা করবে বিএসএফ?

সীমান্তে আর কত হত্যা করবে বিএসএফ?