নারীর প্রতি বিষম আচরণ বাড়ছে
২২ মার্চ ২০২৩, ০৮:২৪ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৪৭ এএম
গত ৭ মার্চ ইউএন উইমেনের এক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা আনতে আরও অন্তত ৩০০ বছর সময় প্রয়োজন। নারী-পুরুষ সমতা আনতে এত দিন যে অগ্রগতি হচ্ছিল, চোখের সামনেই তা নাই হয়ে গেছে। শত শত বছর ধরে বিদ্যমান পিতৃ তন্ত্র, বৈষম্য ও নারীদের নিয়ে একধরনের নেতিবাচক মানসিকতা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মতো খাতগুলোতেও বড় বৈষম্য তৈরি করেছে। নারী ও মেয়ে শিশুর অধিকার নিয়ে বর্তমান যে বৈশ্বিক কাঠামো আছে, তা অচল। এর পরিবর্তন প্রয়োজন। ইউনিসেফ বলেছে, প্রচলিত লিঙ্গ বৈষম্যের কারণে খাদ্য ও পুষ্টি সংকট আরো তীব্র হচ্ছে। নারীদের মধ্যে পুষ্টির অভাব আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে খাদ্য নিরাপত্তায় লিঙ্গ ব্যবধান আরো প্রকট হচ্ছে। ২০২১ সালে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় থাকা নারীর সংখ্যা ছিল পুরুষের চেয়ে ১২.৬০ কোটি বেশি, যেখানে ২০১৯ সালে নারীর সংখ্যা ছিল পুরুষের চেয়ে ৪.৯০ কোটি বেশি। অর্থাৎ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ক্ষেত্রে লিঙ্গ ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। ১০০ কোটির বেশি নারী অপুষ্টি ও রক্তস্বল্পতায় ভুগছে। আর এটি তাদের স্বাস্থ্যসহ জীবনের সামগ্রিক ক্ষেত্রে ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনছে। অপর্যাপ্ত পুষ্টির কারণে নারীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে, পাশাপাশি তাদের মেধার দুর্বল বিকাশ এবং গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন জটিলতাসহ নানান ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় থেকে জরুরি পদক্ষেপ না নেয়া হলে আগামী কয়েক প্রজন্মকে এর পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে। কান্টার পাবলিক কর্তৃক ‘দ্য রিকজাভিক ইনডেস্ক ফর লিডারশীপ’ শীর্ষক গবেষণা জরিপ মতে, সারাবিশ্বে কর্মক্ষেত্রে নারী নেতৃত্বের প্রতি আস্থা কমে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক বলেছে, বিশ্বে সামগ্রিকভাবে আইনি সংস্কারের মাধ্যমে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ প্রতিষ্ঠায় সংস্কারের গতি গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বনি¤œ। ২০২২ সালে মাত্র ১৮টি দেশে জেন্ডার সম্পর্কিত ৩৪টি সংস্কার হয়েছে। উল্লেখযোগ্য সমতা আনতে আরও ১,৫৪৯টি সংস্কার দরকার। বর্তমান ধারা অনুযায়ী এসব সংস্কারের জন্য অন্তত ৫০ বছর লাগবে। বিশ্বব্যাংকের ‘উইমেন, বিজনেস অ্যান্ড দ্য ল ২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদন মতে, বিশ্বের প্রায় ২৪০ কোটি কর্মক্ষম নারী আর্থিক সুযোগের সমতায় পুরুষের চেয়ে পিছিয়ে আছে। তন্মধ্যে ১৭৮টি দেশে নারীদের আর্থিক কর্মকাÐে পুরোপুরি অংশগ্রহণে আইনি বাধা আছে।
ইতোপূর্বে গত ২৩ ফেব্রæয়ারি জাতিসংঘ বলেছে, সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে প্রতি দুই মিনিটে একজন মা’কে প্রাণ দিতে হচ্ছে। মাতৃমৃত্যু ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে নানা পদক্ষেপ নেয়ার পরেও সন্তান জন্ম দেয়ার ঝুঁকি রয়েই গেছে। ১৩ জুলাই প্রকাশিত আইএলও এবং হু’র বার্ষিক প্রতিবেদন মতে, বিশ্বে চিকিৎসাসেবা সেক্টরের নারীরা পুরুষের চেয়ে ২৫% কম মজুরি পাচ্ছে। অর্থনৈতিক সেক্টরের অন্য শাখায়ও একই ধরনের সার্ভিস দেওয়া সত্তে¡ও পুরুষের চেয়ে নারী কম মজুরি পাচ্ছে। গত ২২ নভেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যদের হাতেই খুন হচ্ছে অধিকাংশ নারী। সারাবিশ্বে প্রতি ১১ মিনিটে একজন নারী তার পরিচিতদের হাতে খুন হচ্ছে। গত বছর প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির গবেষণাপত্র মতে, মুক্ত বাজার গিগ ইকোনমি ব্যবস্থায় অনানুষ্ঠানিক খাতে নারীরা পুরুষের চেয়ে ৩৭% কম আয় করে। অতীতে অনেক দেশে কন্যা শিশুকে জীবন্ত কবর দেয়া হতো। আর এখন গর্ভবতী নারীর আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর নারী ভ্রূণ নষ্ট করা হচ্ছে বহু দেশে। ফলে, সেখানে নারীর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এ অবস্থা ভারত ও চীনে বেশি।খবরে প্রকাশ, ভারতে নারী ভ্রুণ হত্যা করায় অনেক গ্রাম নারী শূন্য হয়েছে। অনেক পুরুষ বিয়ের জন্য পাত্রী পাচ্ছে না। ২০৮০ সালে প্রায় চার কোটি ভারতীয় পুরুষ বিয়ের জন্য পাত্রী পাবে না। চীনে ২০১৪ থেকে প্রতি বছর নারীর তুলনায় ১৩ লাখ পুরুষ বেশি জন্ম নিচ্ছে। এমন চলতে থাকবে অন্তত ২০৪১ পর্যন্ত। ফলে প্রান্তিক পুরুষদের আজীবন নারীবিহীন, চিরকুমার জীবন কাটাতে হবে। আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশসহ এশিয়ার আরো বেশ কয়েকটি দেশে এমন সমস্যা প্রকট হবে। এছাড়া, বহু দেশে ও প্রতিষ্ঠানে গর্ভবতী নারীদের চাকরিচ্যুত করা হয়। অনেক দেশের সরকারে নারীর অংশগ্রহণ নেই।কতিপয় দেশের চাকরিতে প্রবেশের সময় নারীদের কুমারিত্বের পরীক্ষা দিতে হয়।
নারীর প্রতি বৈষম্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিত্রও প্রায় তথৈবচ! কোন কোন ক্ষেত্রে বেশি। এ বছরের আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের নারীর সম-অধিকার সূচক ২০২৩-এ বিশ্বের ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৭৫তম স্কোর হিসাবে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে শুধু আফগানিস্তান। বাংলাদেশর স্কোর মাত্র ৪৯.৪, নেপালের স্কোর ৮০.৬। গেøাবাল জেন্ডার গ্যাপ প্রতিবেদন-২০২৩ মতে, ২০২২ সালে বৈশ্বিক জেন্ডার সমতায় বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৭১তম (২০২১ সালে ছিল ৬৫তম ও ২০২০ সালে ছিল ৫০তম)। অর্থনীতিতে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণ, শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ভিত্তিতে এটি প্রণীত হয়েছে। বিলসের জরিপ প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশে গৃহকর্মীরা হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও মানসিক নির্যাতনের নিত্য শিকার। একই সঙ্গে তারা শ্রম শোষণের শিকারও। নারীর এ দুর্গতি অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের সর্বত্রই চলছে! উপরন্তু নারীর সংখ্যাও অনেক কম। প্রাতিষ্ঠানিক খাতেও তাই। তবে, সরকারি খাতে বেতন ও সুবিধাদিতে লিঙ্গ বৈষম্য নেই। তবে, নারীর সংখ্যা মোট সংখ্যার এক তৃতীয়াংশেরও কম। জাতীয় রাজনীতিতেও নারীর অংশগ্রহণ নগণ্য। ইসি ২০২০ সালের মধ্যে সব দলের প্রতিটি কমিটিতে ৩৩% নারী রাখা বাধ্যতামূলক করার পরও তা বাস্তবায়ন হয়নি। বড় ২/৩টি দলের কমিটিতে নারীর অংশগ্রহণ কিছুটা থাকলেও অধিকাংশ দলে তা নেই। সরকার, স্থানীয় সরকার ও জাতীয় সংসদেও নারী প্রতিনিধিত্ব খুব কম। সংরক্ষিত আসনের নারীরাও ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। দেশের প্রধানমন্ত্রী, সংসদের নেতা, উপনেতা, বিরোধী দলের নেতা ছাড়াও অনেক দলের প্রধান নারী হওয়ার পরও এই অবস্থা চলছে! লাইট হাউজের তথ্য মতে, ২০২২ সালে দেশে ৯,৭৬৪ জন নারী সহিংসতার শিকার হয়েছে। তন্মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪,৩৬০ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৪৫০ জনকে। এসবে মামলা হয়েছে ১৭,০২৭টি। বিশ্বব্যাংকের ‘উইমেন, বিজনেস অ্যান্ড দ্য ল ২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদন মতে, বিশ্বের ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৭৪তম, স্কোর ৪৯.৪ (২০২১ সালেও একই ছিল)। হু’র প্রতিবেদন মতে, স্ত্রী নির্যাতনের ক্ষেত্রে বিশ্বের ১৬১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ। পয়েন্ট-৫০%। যৌতুক ও বাল্য বিবাহেরও হারও সর্বাধিক। যুক্তরাষ্ট্রের ‘২০২২ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার জন্য তদন্তের ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে!
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের ১ জুলাই জেনারেশন ইকুয়ালিটি ফোরাম ২০২১ আয়োজিত ‘লিঙ্গ সমতার জন্য প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন’ শীর্ষক অ্যাকশন কোয়ালিশনের ভাষণে বলেন, ১৯৯৫ সালে বেইজিংয়ে নারীদের নিয়ে চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা এখনো পূরণ হয়নি। এখনো নারী সংসদ সদস্যের সংখ্যা ২৫%। কর্মশক্তি হিসেবে নারীর অংশগ্রহণ ৩১ ভাগেরও কম। অপরদিকে, নারী কর্মজীবীদের পরিশ্রম পুরুষ কর্মজীবীদের চেয়ে অনেক বেশি। কারণ, তাদের কর্মস্থলের কাজ ছাড়াও সংসারের কাজ এবং সন্তান লালন-পালন করতে হয়। তবুও তারা সেভাবে মূল্যায়িত হয় না ঘরে-বাইরের কোথাও!
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাদের অবদান অনস্বীকার্য। এটা আজ নতুন নয়, মানুষ সৃষ্টির পর থেকেই। উপরন্তু নারীর জীবনের মূল্য পুরুষের জীবনের মূল্যের চেয়ে কম নয়, সমান। সৃষ্টিকর্তারও কাছে নারী-পুরুষের মর্যাদা সমান। ধর্মীয় বিধান মতেও তাই। সর্বোপরি বর্তমানে নারীরা কর্মের কোন ক্ষেত্রেই পুরুষের চেয়ে পিছিয়ে নেই। যেখানেই নারীরা সুযোগ পাচ্ছে, সেখানেই কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। ক্ষেত্র বিশেষে অনেক নারীর অবদান ও ত্যাগ পুরুষের চেয়ে বেশি। সর্বোপরি বর্তমানে সভ্যতা নির্ণয়ের ভিত্তি হচ্ছে নারীর শিক্ষা, ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তা। এসব যে দেশে যত বেশি, সে তত বেশি সভ্য। তাই নারীদের মৌলিক অধিকারসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে বঞ্চিত করে এবং নির্যাতন ও হত্যা করে বিশ্বের কোথাও কাক্সিক্ষত শান্তি ও উন্নতি সম্ভব নয়। নারী নির্যাতন ও বৈষম্য দূর করতে হবে আইনগতভাবেই। সে লক্ষ্যে অবিলম্বে সব দেশেই প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে শতভাগ। এ ক্ষেত্রে পুরুষদের মানসিকতার পরিবর্তন এবং অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করতে হবে। নারীদের সর্বাধিক সোচ্চার হতে হবে। নারী কর্তৃক কোন নারীর যেন একটুও ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। এটা হলেই নারীর ক্ষতি অর্ধেক কমে যাবে। অন্যদিকে, নারী মুক্তির নামে কিছু নারী চরম উগ্রতা এবং ধর্ম, সমাজ ইত্যাদির নীতি-রীতি বহির্ভূত কাজ করে, যা অনুচিত। কারণ, তাতে নারীর ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
বিভাগ : আজকের পত্রিকা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভেনেজুয়েলায় বিতর্কিত নির্বাচনের পর ১০৭ বন্দীর মুক্তি
অব্যাহত ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেলো আরও ৫২ ফিলিস্তিনির
শি জিনপিং-বাইডেন শেষ বৈঠকে চীন ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মাহিদুর রহমান ১৭ বছর পর দেশে ফিরেন
"পাম স্প্রিংস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ সন্মাননা পেতে যাচ্ছেন নিকোল কিডম্যান"
নাফ নদ থেকে অপহৃত ৫ জেলের একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
ডিএমপিসহ পুলিশের ৩৪ কর্মকর্তার পদায়ন
মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলার চেষ্টা, ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা
রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে জিতল উইন্ডিজ
যে সব কারণে দিল্লি ও ঢাকার সম্পর্ক কিছুতেই সহজ হচ্ছে না
ফের অগ্নিগর্ভ মণিপুর, অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি, বন্ধ ইন্টারনেট
চাল সিন্ডিকেটের মূলহোতা রশিদ গ্রেফতার
যশোরে বিএনপি কার্যালয়ে ভাংচুর ও লুটতরাজ মামলায় একজন গ্রেফতার
ফেল করায় রাগে স্কুলে হামলা, নিহত ৮, আহত ১৭
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ
রাজধানীর পল্টনে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ১
অব্যাহত ইসরাইলি হামলায় আরও ৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত
যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভুয়া বিল ও ভাউচারে ২৩ লাখ ৪৫ হাজার চারশ’ ৪৫ টাকা উত্তোলন
যশোরের চৌগাছা গলায় ফাঁস দিয়ে এক এনজিও কর্মীর আত্মহত্যা
ঢাবিতে জুলাই বিপ্লবের থিমে দেশের সবচেয়ে বড় বিতর্ক প্রতিযোগিতা