প্রতারণার জাল সর্বত্র
৩১ মার্চ ২০২৩, ০৯:১২ পিএম | আপডেট: ০১ মে ২০২৩, ১২:০৮ এএম
প্রতারণার জাল ছড়িয়ে আছে সর্বত্র। রাজধানী ঢাকা, বাণিজ্য রাজধানী চট্টগ্রাম ও আধ্যাত্মিক রাজধানী সিলেটেই নয় প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতে দেশজুড়েই তৎপর প্রতারক চক্র। নিত্য নতুন কৌশল ও অভিনয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, তারা সবসময় সক্রিয় এদের বিরুদ্ধে। কিন্তু কাজের কাজ খুব একটা হচ্ছে, এমন বলা যাবে না। তারা এও বলছেন, অভিযানে ধরাও পড়ছে আসামীরা কিন্তু তাদের শাস্তি নিশ্চিত হচ্ছে না অজ্ঞাত কারণে। কোনো কোনো মামলার জেল জরিমানা হলেও অপরাধের মাত্রায় নেহায়েত কম। জেল হলেও আসামীরা জেল থেকে বেরিয়ে আবার শুরু করে দেয় তাদের অপকর্ম। অভিযোগ রয়েছে, প্রতারকদের ধরার পরও মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বা রাজনৈতিক প্রভাবের জন্য অনেকে ছাড়া পেয়ে যায়। এ জাতীয় ঘটনা ঘটছে দেশের প্রায় সর্বত্রই।
আধুনিক বিশ্বের খোলস পাল্টে যাচ্ছে একটু একটু করে। একইভাবে প্রতারণার মাঝেও আসছে পরিবর্তন। কখনো মানুষের সরলতাকে পুঁজি করে, কখনো দরিদ্রতা থেকে মুক্তির স্বপ্নকে জিম্মি করে প্রতারক চক্র তাদের থাবা বিস্তার করে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। ঘর থেকে বেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে রিকশা অথবা সিএনজি অটোরিক্সার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ভাড়া হাঁকে তারা মর্জি মাফিক। কখনো রোদের উত্তাপ, কখনো শীত কিংবা বৃষ্টি, কখনো মালিককে জমা বেশি দেয়া, কখনো বা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিÑ নানা অজুহাতে তাদের দাবিকৃত ভাড়াতেই পৌঁছাতে হয় অফিসে, বাজারে, ব্যবসা কেন্দ্রে বা নির্ধারিত গন্তব্যস্থলে। প্রতারণার একটি বড়ো ক্ষেত্র বাজার বা মার্কেট। যা-ই কিনুন একেবারে টাটকা, তরতাজা। মনে হয়, এক্ষণি বাজারে এলো মাত্র। ভেজাল আর নকল পণ্যের দাপট এতোটাই, কোনটা আসল, কোনটা নকল চেনাই মুশকিল। অত্যন্ত কৌশলে নামিদামি কোম্পানির মোড়ক ও লগো হুবহু নকল করে ভেজাল পণ্য বাজারজাত করায় ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ। বিভিন্ন থানায় লিপিবদ্ধ মামলা-জিডি ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতারণার খবরা-খবরের সূত্র ধরে দেখা গেছে, মানুষের মৌলিক যে চাহিদাগুলো রয়েছে তার প্রতিটিতেই প্রতারকচক্র থাবা বিস্তার তো করছেই, পাশাপাশি মানুষের প্রতি মানুষের আস্থা, বিশ্বাস, ধর্মীয় অনুভূতি কিছুই বাদ যায়নি তাদের প্রতারণার ক্ষেত্র থেকে। প্রতারক চক্রের অভিনব সব কৌশলের কাছে অনেক সময় অসহায় হয়ে পড়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরাও। আবার তাদের বিরুদ্ধেও উৎকোচ গ্রহণ করে দেখেও না দেখার ভানের অভিযোগও রয়েছে।
ভেজাল শুধু বাজারে কিংবা রাস্তার পাশের ফুটপাতের দোকানে নয়, নামিদামি দোকানেও ভেজাল পণ্যের পসরা সাজানো আছে। মাছে-দুধে দেওয়া হচ্ছে ফরমালিন, মুরগী কিনতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে ওজনে বেশি করার জন্য আগে থেকেই তার পেটে পাথর চালান করে দেয়া হয়েছে। শাক সবজিতে মেশানো হচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক। ফলে মেশানো হচ্ছে ক্ষতিকর কার্বাইড। কাঠের গুঁড়া আর কাপড়ের রঙ মিশিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে গুঁড়া মসলা। ঘাসের গুঁড়ার সঙ্গে রঙ মিশিয়ে নামিদামি ব্র্যান্ডের মসলা তৈরি করছে একটি চক্র। ছোলা ও মুড়ি সাদা করতে মেশানো হচ্ছে হাইড্রোজ। মোটা চালকে চিকন করে নাম বদলিয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। জানা গেছে, বর্ষায় অতিবৃষ্টি ও শীতকালে ঘন কুয়াশায় মিল বন্ধ থাকে। রোদের অভাবে কখনও কখনও এক বা দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ধান শুকানো যায় না। ওই সময় মিলে মজুদ থাকা ধানে দুর্গন্ধ ও শেওলা জমে। চালকে গন্ধমুক্ত ও পরিষ্কার করতে সোডিয়াম হাইড্রোজ ব্যবহার করা হয়। ধান সংরক্ষণে দিন বেশি লাগলে রাসায়নিকের পরিমাণ বাড়ানো হয়। ভেজাল খাদ্য খেয়ে পেটের পীড়া, গ্যাস্ট্রিক, ক্যান্সার, চর্মরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। ভেজাল বিরোধী অভিযান চলছে। ভেজাল কিংবা নষ্ট কিছু পাওয়া গেলে জরিমানা হচ্ছে। কিন্তু খাদ্যে ভেজালকারীদের তৎপরতা বন্ধ হচ্ছে না কিছুতেই। এদিকে প্রায় প্রতিটি সিএনজি স্টেশনে হয় মাপে কম দেয়া হয়, না হয় ভাংতি নেই বলে ২/৩ টাকা কম দিয়ে গ্রাহকদের ঠকানো হয়। এ নিয়ে গ্রাহকদের সাথে সিএনজিতে কর্মরত কর্মচারীদের বাক বিতন্ডা ও ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হয়। কোনো কোনো সিএনজি স্টেশনে এসব নিয়ে হাতাহাতিও হয়।
তথ্য প্রযুক্তির অবাধ সুযোগে প্রতারকচক্রও নিজেদের সাজিয়ে নিয়েছে আধুনিক করে। তার উজ্জ্বল প্রমাণ সাম্প্রতিক সময়ে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির ঘটনা বেড়ে যাওয়া। প্রতারণার কৌশল হিসেবে ক্রেডিটকার্ড জালিয়াত চক্রের সদস্যরা অনেক সময় নিজেরাই বিভিন্ন প্রতারণার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। কখনও বা নিজেদের গোয়েন্দা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে কার্ডধারীর তথ্য নিয়ে থাকে। এরপর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কার্ডের সব তথ্য সংগ্রহ করে হুবহু নকল কার্ড তৈরি করে। কার্ড প্রতারকরা জালিয়াতি করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে জাতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে ব্যবহার করে থাকে। এতে করে এদের ধরার কোনো উপায় থাকে না।
রাজধানীসহ সারাদেশে কখনো কখনো জাল নোটের ছড়াছড়ি লক্ষ করা যায়। ব্যাংক-বীমা থেকে শুরু করে বিভিন্নস্থানে এক হাজার, ৫শ ও ১শ টাকার জাল নোট খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সুকৌশলে ছড়িয়ে দেয় সংঘবদ্ধ চক্র। এ জাল টাকা কোনো না কোনভাবে জনসাধারণের হাতে পড়ে। মানি চেকার মেশিনের সাহায্যে পূর্বে জাল টাকা শনাক্ত করা সম্ভব হলেও বর্তমানে কিছু কিছু টাকা ঐ মেশিনেও শনাক্ত করা সম্ভব হয় না, এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
এমএলএম (মাল্টি লেভেল মার্কেটিং) কোম্পানিগুলোর প্রতারণার ফাঁদ থেকে সাধারণ মানুষের মুক্তি মিলছে না। ১৯৯৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত শত শত এমএলএম কোম্পানি সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দিয়েছে। প্রতিটি সরকারের আমলেই এরা দাপটের সঙ্গে মানুষ ঠকানোর কার্যক্রম চালিয়েছে এখনও চলছে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন সরকারের মন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এসব কোম্পানির নানা কার্যক্রমে, পণ্যের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। কখনো সংবাদ মাধ্যমে এদের প্রতারণা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে খানিকটা হই চই হয়। তৎপর হয় সরকার। অতঃপর সময় গড়ালে অবস্থা যেই সেই। ভাগ বাটোয়ারায় সব ফয়সালা হয়ে যায়, প্রতারিত হয় সাধারণ মানুষ।
প্রতারণায় সবচেয়ে সহজ ও নির্ভরযোগ্য একটি অস্ত্র হলো মোবাইল ফোন। ফোনেই তারা সাজে কখনো জ্বিনের বাদশা, কখনো অমুক-তমুক ভাইয়ের সাথী, কখনো বা লটারির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রদানকারী। কখনো শীর্ষ সন্ত্রাসীর সেকেন্ড ইন কমান্ড, কখনো আবার মোবাইল কোম্পানির হেড অব মার্কেটিং। অস্ত্র তাদের একটাই মোবাইল ফোন। কৌশলও প্রায় একই শুধু গল্পের চরিত্র, স্থান পরিবর্তিত হয়। সারা বছরই এদের দৌরাত্ম্য চলতে থাকে। ঈদের আগে বেড়ে যায়।
ধর্মকে ব্যবহার করে বাণিজ্য করার প্রবণতা প্রাচীনকাল থেকে। একদল ধর্মব্যবসায়ী ধর্মের ব্যানারে মানুষের অসহায়ত্ব ও দুর্বলতা পুঁজি করে ধান্ধাবাজি করে। ভন্ড পীর-ফকিরের ব্যানারে তারা নিয়মিত প্রতারণা করে চলেছে। গ্রামগঞ্জেও এই টাউট-বাটপারদের অবাধ বাণিজ্য। এই টাউট-বাটপাররা ক্রমেই গ্রাম ছেড়ে শহরে আস্তানা গড়ে তুলছে। ‘মনের কষ্ট আর নয় বনে বনে’ অথবা হতাশ জীবনে অমাবস্যার আঁধারের মাঝে স্নিগ্ধ জোৎস্নাময় পূর্ণিমায় যেন হয় আপনার দর্শন কিংবা ‘জীবনের শেষ দর্শন’ এ রকম বিচিত্র স্লোগান দিয়েই ফাঁদ পাতা হচ্ছে প্রতারণার।
ভুয়া র্যাব কিংবা ডিবি কর্মকর্তা সেজে টাকা ছিনতাই আরেকটি অভিনব কৌশল। তাদের মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে লাগানো থাকছে পুলিশ, ডিবি লেখা স্টিকার। দু-একজনের হাতে ওয়াকিটকিও থাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতো কথাবার্তা, আচরণও করে তারা। টার্গেট ব্যক্তিকে শত শত মানুষের সামনে থেকে জোরপূর্বক মাইক্রোতে তুলে নেয়। সঙ্গে সঙ্গে লাগিয়ে দেওয়া হয় হ্যান্ডকাফ, চোখ বেঁধে ফেলা হয় কালো কাপড়ে। চলন্ত মাইক্রোবাসের মধ্যেই দুর্বৃত্তরা শুরু করে মারধর। ভয় দেখায় ক্রসফায়ারের। জাল টাকার কারবারি, হুন্ডি ব্যবসায়ী, চোরাকারবারী নানা অভিযোগ তুলে আটক ব্যক্তির টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোনসেট, সোনার চেনসহ মূল্যবান সবকিছু হাতিয়ে নেয়।
মানবাধিকার সংগঠনের নামে দেশের বিভিন্ন শহরে বন্দরে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণার ঘটনা লাগাম টানতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ব্যাঙের ছাতার মতো পাড়ায় পাড়ায় অলিগলিতে গড়ে উঠছে মানবাধিকার সংগঠন। অভিযোগ উঠেছে, সাইনবোর্ড ও প্যাডসর্বস্ব ভুঁইফোঁড় এসব সংগঠনের কর্মকান্ডে বিতর্কিত হচ্ছে মানবাধিকার আন্দোলন। দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপপ্রচার চালানোর মাধ্যমে বিদেশি অর্থ আদায় থেকে শুরু করে থানা তদ্বিরের মাধ্যমে অপরাধী ছাড়ানোর চেষ্টা পর্যন্ত নানা স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মানবাধিকার নামধারী কিছু সংগঠন ব্যবহৃত হচ্ছে।
দেশের শহরগুলোর ব্যস্ততম ও অভিজাত এলাকায় ভুয়া চিকিৎসকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। সিভিল সার্জনের দপ্তরের তথ্যমতে, শহরগুলোতে শত শত ভুয়া চিকিৎসক আছেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়গুলো এ ধরনের চিকিৎসকদের খুঁজে বের করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। পাশাপাশি পুলিশ-র্যাবও অভিযান চালাচ্ছে। এছাড়া মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে হারবাল চিকিৎসার নামে চলছে প্রতারণা। নামে বেনামে বিভিন্ন স্পটে গড়ে উঠেছে চিকিৎসা কেন্দ্র। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা নার্সিং হোম লেবরেটরি ও হারবাল ওষুধের ইউনানি দাওয়াখানার নেই ট্রেড লাইসেন্স। অধিকাংশ রোগী চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে এসে প্রতারণার শিকার হচ্ছে। এসব চিকিৎসা কেন্দ্রে যৌনরোগ, পাইলস, অ্যাজমা, গ্যাস্ট্রিক ও ক্যান্সারসহ অনেক রোগের চিকিৎসার কথা বলে প্রতারিত করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অথচ, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
শহরগুলোর সর্বত্রই অবাধে বিক্রী হচ্ছে মাদক দ্রব্য ফেনসিডিলসহ নানা নেশাজাতীয় দ্রব্য। জানা যায়, তাদের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে যারা এদের প্রতিরোধ করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সেই পুলিশের। পর্নো ছবি এখন মুঠোফোনের পর্দায়। মুঠোফোনের সুবাদে এখন জমজমাট পর্নো ছবির বাজার। এ ধরনের ভিডিও ক্লিপস বাজারে ফাঁস করে দেয়ার নামে জিম্মি করে এক শ্রেণির সংঘবদ্ধ প্রতারক হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। সাম্প্রতিক সময়ে কোনো কোনো শহরে এ ধরনের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কিত অভিভাবকমন্ডলী।
চাকরির বাজারে কিংবা বিয়ের বাজারে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করতে অহরহ জাল হচ্ছে জাতীয় সনদ থেকে শিক্ষা সনদ পর্যন্ত। ভুক্তভোগীদের মতে, জাল টাকার বিরুদ্ধে কিছু অভিযান চলছে দেশে, কিন্তু জীবনের নানা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার চেষ্টায় ব্যবহৃত কাগজপত্র প্রতিনিয়ত জাল করছে যারা তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে গতি নেই। জাল সনদের বিস্তৃতি এতটাই বেড়েছে যে, চাইলেই হাতের নাগালে পাওয়া যায়। জাতীয় আইডি কার্ড কিংবা ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স, মাস্টার্স, উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাধ্যমিক সনদ অহরহ জাল হচ্ছে এমন খবর প্রায়ই পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
একই ধরনের প্রতারণা চলছে চাকরি দেবার নামেও। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকরি দেয়ার নামে সংঘবদ্ধচক্র চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দেশের বিভিন্ন শহরের রাস্তার পাশে দেয়ালে, বাসে লোভনীয় চাকরির পোস্টার সেঁটে অথবা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রতারক চক্র আকৃষ্ট করছে বেকার তরুণ-তরুণীদের। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চাকরি দেয়ার নাম করে শুধু প্রতারণাই নয়, সেই সাথে ফাঁদে ফেলে মেয়েদের ব্যবহার করছে নানা আপত্তিকর কাজে। আইনের কঠোর প্রয়োগ ও শাস্তির ব্যবস্থা না করলে আর ধর্মীয় ভয় ছাড়া এ জাতীয় অপরাধ থেকে জাতিকে মুক্ত করা যাবে না, এমন ধারণা বিজ্ঞজনদের।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
বিভাগ : আজকের পত্রিকা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি নানা অনিয়মে জড়িত থাকায় শোকজ
'খুনিদের হাস্যোজ্জ্বল ছবি কি বার্তা পৌঁছায়’ নেটিজেনদের আহাজারি!
রাউজান প্রেসক্লাব কমিটির সাথে ইউএনওর মত বিনিময়
দুর্নীতিসহ সব ধরনের অপকর্মে জড়িত কামরুল : ডিবি পুলিশ
তিতুমীর কলেজে পুলিশ মোতায়েন, জড়ো হচ্ছে শিক্ষার্থীরাও
হাজার বিঘা জমি, তিন দেশে বাড়ি আছে দুর্নীতির ‘মহারাজ’ নিক্সনের
"দুর্দান্ত লুকে মুক্তি পেল 'পুষ্পা ২: দ্য রুল', ভক্তদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ"
স্কুলের বাইরে গাড়ি দুর্ঘটনায় চীনে অনেক শিশু আহত
আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে ভারতীয় সাংবাদিকের হঠকারী প্রশ্নে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
ফুলপুরে ভাইটকান্দি বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, ৭ মামলা ও জরিমানা
বন্ধ ইবির ক্যাফেটেরিয়া, বিপাকে শিক্ষার্থীরা!
ট্রাম্প প্রশাসন পরিবহন মন্ত্রী হিসেবে শন ডাফিকে বেছে নিলেন
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে স্পেনের নাটকীয় জয়
পর্তুগালের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের রাউন্ডে ক্রোয়েশিয়া
মধ্যপ্রদেশে মেলা থেকে মুসলিম ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ
ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করা পুলিশ সদস্যের তালিকা হচ্ছে
আয়ারল্যান্ড সিরিজে অভিজ্ঞদের দলে ফেরাল বাংলাদেশ
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী শীর্ষ নেতাদের কারাদণ্ড
হেমন্তের শেষভাগেও বরিশালে তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের ওপরে : কৃষি ও জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব অব্যাহত
কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে