উড়োজাহাজে টিকিট সিন্ডিকেট
১৩ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৫৫ পিএম
টিকিটের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এয়ারলাইন্সগুলো সিন্ডিকেট করে মধ্যপ্রাচ্যগামী টিকিটের মূল্য দেদারসে বাড়াচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিকিট কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন বিদেশগামী কর্মীরা। এতে অভিবাসন ব্যয়ও বাড়ছে। টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রেমিট্যান্স প্রবাহেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে অভিজ্ঞ মহল অভিমত ব্যক্ত করেছেন। চড়া দামে টিকিট কিনতে না পেরে বিদেশগামী অসহায় অনেক কর্মী রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনকি এয়ারলাইন্সগুলোর সিন্ডিকেটের কারণে ওমরা যেতেও লাখ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হচ্ছে।
অতিরিক্ত ভাড়া বহন করে যথাসময়ে কর্মস্থলে যাওয়া অভিবাসী কর্মীদের কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসন্ন রমজানে ওমরাযাত্রীদের ব্যাপক চাহিদা বাড়ায় ওমরাহ টিকিটের মূল্যও আশাকচুম্বি। ৭৫ হাজার টাকার ওমরাযাত্রীদের টিকিট এখন লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেড় লাখ টাকা থেকে দু’লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ওমরাহ টিকিট। পরিস্থিতি এমন দিকে গড়াচ্ছে যে এসব দেখার কেউ নেই। বহির্বিশ্বে এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি কর্মীর রেমিট্যান্সের দেশে অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোপূর্বে বলেছেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা এতো দিন আমাদের দিয়েছেন। এখন তাদের দেয়ার সময় আমাদের। গরিব অসহায় প্রবাসী কর্মীদের বিমান ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
ভ্রাতৃ-প্রতীম মুসলিম দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে। বৈশ্বিক করোনা কিছুটা শিথিল হবার সাথে সাথে সউদী আরব সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্যান্য দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে কর্মী আমদানি অব্যাহত রাখছে। কিন্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর কর্মস্থলে যোগ দিতে অভিবাসী কর্মীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। করোনা-পরবতী টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রবাসী মন্ত্রী ইমরান আহমদ উদ্যোগ নিয়েও টিকিটের মূল্য কমাতে সফল হননি। বিদেশগামী কর্মীদের টিকিটের মূল্য আকাশচুম্বীর ঘটনায় প্রবাসী মন্ত্রী বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যগামী কর্মীদের বিমানের টিকিটের উচ্চ মূল্য সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনতে আমি বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রীকে বলতে বলতে হাঁফিয়ে উঠেছি। তারপরেও কাজ হয়নি। আসলে বিমান ভাড়া সহীয় পর্যায়ে নির্ধারণের দায়িত্ব বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ওপর।
বিএমইটির সূত্র জানায়, করোনা মহামারির পর ২০২২ সালে বিভিন্ন দেশে ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৮৪ জন নারী পুরুষ চাকরি লাভ করেছে। গত জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন দেশে ১ লাখ ৭ হাজার ৭৩ জন এবং গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ১ লাখ ৯ হাজার ৩৬০ জন চাকরি লাভ করেছে। বায়রার সাবেক ইসি সদস্য মোহাম্মদ আলী গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, বিদেশগামী কর্মীদের বিমান টিকিট নিয়ে চলছে হাহাকার। এয়ারলাইন্সগুলো একজোট হয়ে টিকিটের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়াচ্ছে। এতে টিকিটের টাকার জোগাতে অনেকেই চড়া সুদে ঋণ এবং ভিটেমাটি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। বায়ারার সাবেক নেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, কাতার এয়ারওয়েজ আগামী ১৭ মার্চ ঢাকা-আবাহ রুটে ওয়ানওয়ে টিকিটের মূল্য ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭১৮ টাকা শো’ করছে। একই দিনে সাউদিয়া অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স ঢাকা-আবাহ রুটে ওয়ানওয়ে টিকিটের মূল্য শো’ করছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬২৮ টাকা। কাতার এয়ারওয়েজ আগামী ২০ মাচ ঢাকা-আবাহ রুটের ওয়ানওয়ে টিকিটের মূল্য শো’ করছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ১১৯ টাকা। একই দিনে সাউদিয়া এয়ারলাইন্স ঢাকা-আবাহ রুটের ওয়ানওয়ে টিকিটের মূল্য শো’ করছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৪৩ টাকা। ইন্দিগো এয়ারলাইন্স ২০ মার্চ ঢাকা-জেদ্দা রুটের ওয়ানওয়ে টিকিটের ভাড়া শো’ করছে ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা। একইদিনে গালফ এয়ার ঢাকা-জেদ্দা রুটের ওয়ানওয়ে রুটের টিকিটের মূল্য শো’ করছে ১ লাখ ৪ হাজার ৫৯১ টাকা। একই দিনে কাতার এয়ারওয়েজ ঢাকা- জেদ্দা রুটের ওয়ানওয়ে টিকিটের মূল্য শো’ করছে ১ লাখ ২১ হাজার ৬৮৯ টাকা। গালফ এয়ার আগামী ২০ মার্চ ঢাকা-রিয়াদ রুটে ওয়ানওয়ে টিকিটের মূল্য শো’ করছে ৮৩ হাজার ৭৪৪ টাকা। একই দিনে কাতার এয়ারওয়েজ ঢাকা-রিয়াদ রুটে ওয়ানওয়ে টিকিটের মূল্য শো’ করছে ৯০ হাজার ৯৫২ হাজার টাকা।
জানতে চাইলে আটাব কালচারাল সেক্রেটারি মোহাম্মদ তোহা চৌধুরী গতকাল সোমবার ইনকিলাবকে বলেন, এয়ারলাইন্সগুলো সিন্ডিকেট করে মধ্যপ্রাচ্যগামী টিকিটের দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়েছে। বর্তমানে জিডিএস সিস্টেমে সউদী দুবাইগামী টিকিটের উচ্চ মূল্য শো’ করছে। দু’মাস আগেও ঢাকা-রিয়াদ রুটে ওয়ানওয়ে টিকিটের মূল্য ৪৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। বিমান ঢাকা-রিয়াদ রুটে সবনিম্ন ভাড়া ওয়ানওয়ে ৮৪ হাজার টাকা শো’ করছে। আটাব নেতা বলেন, সিন্ডিকেট চক্র গ্রুপ ফেয়ারে মধ্যপ্রাচ্যের টিকিট ৭৫ হাজার, ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনতে বাধ্য হচ্ছে প্রবাসী কর্মীরা। এতে বিদেশগামী কর্মীরা সর্বস্বান্ত হচ্ছে। যে বিদেশগামী কর্মীদের রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে; সেই গরিব অসহায় প্রবাসী কর্মীর প্রতি সুদৃষ্টি দেয়ার কাউকে চোখে পড়ছে না। মধ্যপ্রাচ্যগামী এয়ারলাইন্সগুলোর সিন্ডিকেট করে অনৈতিকভাবে প্রতিযোগিতা মূলকভাবে টিকিটের ভাড়া বৃদ্ধি করছে। আগে ওমরাযাত্রীরা ৭০ হাজার টাকা থেকে ৮৫ হাজার টাকায় ওমরাহ টিকিট কিনতে পারত। আসন্ন রমজানে ওমরাযাত্রীদের টিকিটের মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে বলেও আটাব নেতা উল্লেখ করেন। তিনি বিদেশগামী প্রবাসী কর্মীদের স্বার্থে বিমান ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রবাসী শ্রমিকদের বেশির ভাগই সউদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কাজ করেন। করোনা-পরবর্তী সময়ে টিকিটের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় হঠাৎ যেসব দেশ থেকে রেমিট্যান্স কম আসে; সেই ইউরোপ, কানাডা, আমেরিকাগামী এয়ারলাইন্স ভাড়া বাড়ানো হয়নি। অথচ দুইগুণ ভাড়া বাড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যগামী এয়ারলাইন্সগুলো। মধ্যপ্রাচ্যের কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া ভুক্তোভোগী প্রবাসী শ্রমিকরা বলছেন তারা টিকিটের দাম বেড়ে যাওয়া মহাবিপদে পড়ে গেছেন। মধ্যপ্রাচ্যগামী এয়ারলাইন্সগুলো সিন্ডিকেট করে টিকিটের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতেকরে প্রবাসী শ্রমিকরা পড়ে গেছেন মহাবিপদে।
জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যগামী এয়ারলাইন্সগুলো ৪০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকার ওয়ানওয়ের টিকিট এখন সিন্ডিকেট করে ৮০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করছে। বিমানের টিকিটও কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে চড়া দামে বিক্রির অভিযোগ উঠছে। সউদী, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে অভিবাসী কর্মী গমনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এয়ারলাইন্সগুলো বিমান ভাড়া ইচ্ছামতো বাড়াচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষ কোনো কোনো প্রবাসী কর্মী দেড় লাখ টাকা দিয়ে বিজনেস ক্লাসের টিকিট কিনে কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। টিকিটের দুষ্প্রাপ্যতা ও আশাকচুম্বী ভাড়া পরিশোধ করতে অসহায় গরিব বিদেশগামী কর্মীদের নাভিশ্বাস উঠছে। বিমানের টিকিটের মূল্য ঊর্ধ্বগতি রোধে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় নির্বিকার। অতিরিক্ত ভাড়া বহন করা ও যথাসময়ে কর্মস্থলে যাওয়া অভিবাসীদের জন্য প্রায় অসম্ভব ও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিমানসহ বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর এমন অতিরিক্ত ভাড়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসী শ্রমিকরা। সময়মতো কর্মস্থলে ফিরতে না পেরে চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে পড়ছেন অনেকে।
যথা সময়ে টিকিট না পাওয়ায় এবং টিকিটের অতিরিক্ত টাকা জোগাতে না পেরে এদের অনেকেই কর্মস্থলে যেতে পারছে না। অনেক প্রবাসী কর্মীর ভিসা ও মেডিক্যালের মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে। কর্মীর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার র্কর্মী বিদেশে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। টিকিটের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এয়ারলাইন্সগুলোর বিরুদ্ধে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে প্রবাসী কর্মীরা। যেসব কর্মীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে বা নিয়োগকর্তার তাগিদ রয়েছে সেসব কর্মী মধ্যপ্রাচ্যের ওয়ানওয়ে টিকিট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকা দিয়েও কিনতে বাধ্য হচ্ছে।
চলতি বছর হজ প্যাকেজের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় যাত্রীরা চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। ২০১৭ সালে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ছিল জনপ্রতি ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৩৭ টাকা। ২০২০ সালে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ছিল ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। ২০২২ সালে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। চলতি বছর হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে সউদী আরব ছাড়াও ইয়েমেন এয়ারওয়েজ, কাতারের কাতার এয়ারওয়েজ, গালফ এয়ার, সউদী আরবের ফ্লাইনাস, কুয়েত এয়ারলাইন্স, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ) বাংলাদেশের হজযাত্রী বহন করত। তখন এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে কম ভাড়া নিয়ে প্রতিযোগিতা ছিল। ট্রাভেল এজেন্সিগুলো সুবিধা দিয়ে ইচ্ছেমতো এয়ারলাইন্সের টিকিট কেটে যাত্রীদের হজ প্যাকেজ অফার করত। ২০১২ সালে হজের আগ মুহূর্তে বাংলাদেশ ও সউদী আরবের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। সেই চুক্তিতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সউদী এয়ারলাইন্স ছাড়া তৃতীয় কোনো এয়ারলাইন্স বাংলাদেশি হজযাত্রী বহন করতে পারবে না। এরপর থেকে এই দুই এয়ারলাইন্সের একচেটিয়া ব্যবসা শুরু হয়।
আটাব সভাপতি এস এন মঞ্জুর মোর্শেদ ২০২৩ সালের হজ প্যাকেজে উল্লেখিত বিমান ভাড়াহ্রাসসহ প্যাকেজ মূল্য পুনঃবিবেচনার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত প্রস্তাব পেশ করেছেন। হাবের অর্থ সচিব মুফতি আব্দুল কাদের মোল্লা গতকাল মদিনা থেকে ইনকিলাবকে জানান, এয়ারলাইন্সগুলো সিন্ডিকেট করে ওমরাহ টিকিট ও বিদেশগামী কর্মীদের টিকিটের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করেছে। ওমরাহ টিকিটের টাকা জোগাতে যাত্রীদের নাভিশ্বাস উঠছে। বিমান কর্তৃপক্ষ যদি ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে নিধারণ করতো তা’হলে অন্যান্য এয়ারলাইন্সগুলো ভাড়া কমাতে বাধ্য হতো। হাব নেতা বলেন, ডলার সঙ্কটের মাঝে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো চড়া দামে টিকিট বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, মাহে রমজানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মক্কা-মদিনায় এত্তেকাফ করতে যান। ওমরা টিকিটের সঙ্কটের দরুন হাজার হাজার যাত্রী চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। আবাবিল হজ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবু ইউসুফ আসন্ন রমজানে ওমরাযাত্রীদের টিকিট সঙ্কট চরম আকার ধারণ করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে রমজানে ওমরাযাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতের লক্ষ্যে বিমান ও সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের অতিরিক্ত ফ্লাইট চালুর জোর দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ৭৫ হাজার টাকার ওমরাহ টিকিট এখন ১ লাখ ৫ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। তিনি ওমরাযাত্রী ও বিদেশগামী কমীদের টিকিটের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনার জোর দাবি জানান।
বিভাগ : আজকের পত্রিকা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শাহজাদপুরে তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্থ !
জিম্বাবুয়ে দলে প্রথমবার জোনাথন ক্যাম্ববেল
বিশ^নাথে মেয়র মুহিবসহ ১০জনের বিরুদ্ধে মামলা : গ্রেফতার হয়নি কেউ
ধামরাইয়ে বৃষ্টির জন্য নামাজের পর দাঁড়িয়ে কাঁদলেন মুসুল্লিরা
হেরেও ফাইনালে জুভেন্টাস
পঞ্চগড়ে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত-২
এলএ গ্যালাক্সিতে যোগ দিচ্ছেন জিরুদ
মোংলায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ
ইসতিসকার নামাজের অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে ঝরে গেলো আরও একটি প্রাণ, আহত নয়!
চিলমারীতে ট্রাক্টর উল্টে প্রাণ গেলো চালকের
কর্ণফুলী নদীতে ‘পিলারবিহীন’ দৃষ্টিনন্দন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা
কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে কেন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চায় না?
বিল পাস : যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষকরা এখন থেকে বন্দুক নিয়ে স্কুলে যেতে পারবেন
ইউক্রেনের হক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস, ১০৪৫ সেনা নিহত
ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত
কুষ্টিয়ায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
সাড়া ফেলেছে সামাজিক মাধ্যমে ভারত হটাও আন্দোলনে সংহতি আলোকচিত্রী শহিদুল আলম
গাজা সঙ্কটের সমাধান ইসলামী বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: এরদোগান
সিঙ্গাপুরে রড চাপা পড়ে রাকিব হোসেন নামে বেনাপোলের যুবকের মৃত্যু