বিন লাদেনকে ঘৃণা করতেন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন
১৭ মার্চ ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম
আগামী ১৯ মার্চ ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের ২০ তম বার্ষিকী ঘনিয়ে আসার প্রাক্কালে ২০০৩-এ সাদ্দাম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা তৎকালীন এফবিআই কর্মকর্তা জর্জ পিরো এক বিশেষ সাক্ষাতকবারে সিএনএনকে বলেছেন যে, দীর্ঘ ৭ মাস ধরে চলা সাদ্দাম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদপর্ব শেষে তিনি বুঝতে পারেন যে, ইরাক আগ্রাসন ছিল ২১ শতকের যুক্তরাষ্ট্রের আসল পাপ।
মঙ্গলবার সিএনএন’র জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং ‘দ্য কস্ট অফ ক্যাওস:দ্য ট্রাম্প এডমিনিস্ট্রেশন এন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড-এর লেখক পিটার বার্জেনকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘এটি এমন একটি যুদ্ধ ছিল, যার ভিত্তিটা ছিল ‘মিথ্যা তথ্য’। এটি প্রায় এমন একটা একতরফা যুদ্ধ ছিল যেখানে, অহেতুক হাজারো মার্কিন সৈন্য এবং কয়েক লাখ ইরাকির মৃত্যু ঘটেছিল। এ যুদ্ধ বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবং মানুষের মনে মার্কিন সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এমনকি, মার্কিন সেনাবাহিনীর নিজস্ব পর্যালোচনা বলেছে যে, ইরাক যুদ্ধের প্রকৃত বিজয়ী যুক্তরাষ্ট্রর নয়। এটি ছিল ইরান।’
দুই দশক আগে, ২০০৩ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডবøু বুশের নেতৃত্বে ইরাকে মার্কিন আক্রমণের নির্দেশ দেন। বুশ ও তার প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা লাগাতারভাবে মার্কিনীদের বলেছেন যে, ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন তার সামরিক বাহিনীকে ব্যাপক গণবিধ্বংসী অস্ত্র দিয়ে সাজিয়েছেন এবং তিনি আল কায়েদার সাথেও যুক্ত ছিলেন। তাদের ক্রমাগত দাবির ফলে বেশিরভাগ আমেরিকান বিশ্বাস করেছিল যে, সাদ্দাম হোসেন যুক্তরাষ্ট্রের ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর সংঘটিত আল কায়েদার হামলায় জড়িত ছিলেন। ওই হামলার এক বছর পর পরিচালিত পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপ অনুসারে, দুই-তৃতীয়াংশ মার্কিনী বিশ্বাস করতেন যে, সাদ্দাম সন্ত্রাসীদের সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু, পিরো’র জিজ্ঞাসাবাদপর্ব যতোই এগিয়েছে, তার কাছে ক্রমেই পরিষ্কার হয়ে উঠেছে যে, সাদ্দামের বাহিনীতে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের কোনও অস্তিত্ব নেই এবং আল কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনের জন্য সাদ্দামের মনে ঘৃণা ছাড়া আর কিছু নেই।
সাদ্দাম পিরোকে বলেছিলেন যে, তিনি ওসামা বিন লাদেনকে পছন্দ করেন না এবং তিনি আল কায়েদার আদর্শে বিশ্বাস করেন না, কারণ এটি সমগ্র আরব বিশ্বে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে ছিল। তিনি সাদ্দাম ওসামা বিন লাদেনকে নিয়ে প্রায়ই রসিকতা করে বলতেন, ‘আপনি সত্যিই এমন দাড়িওয়ালা কাউকে বিশ্বাস করতে পারবেন না।’ তিনি বলেছিলেন যে, আল কায়েদা কীসের দিকে মনোনিবেশ করেছিল, তা খুঁজে বের করা অপরিহার্য। তার এ কথার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়, অন্যান্য ইরাকি বন্দিদের মুখ থেকেও। পৃথক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছিল যে, আল কায়েদার সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
পিরো বলেছেন যে, মার্কিন এবং যুক্তরাজ্যেও যৌথ বাহিনী ক’ সপ্তাহের মধ্যেই সাদ্দামের সৈন্যদের পরাজিত করে এবং ২০০৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর মার্কিন বিশেষ অভিযান বাহিনী উত্তর ইরাকে এক মানুষ সমান গর্তে আশ্রয় নেয়া সাদ্দামকে আটক করে। এরপর এফবিআই সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আরবি জানা লেবানিজ আমেরিকান বিশেষ কর্মকর্তা জর্জ পিরোকে ঠিক করে। সাদ্দামের কাছ থেকে ইরাকের গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং আল কায়েদার সাথে তার সম্পর্ক সম্পর্কে কথিত সত্য জানাতে পিরো প্রচন্ড চাপের মধ্যে ছিলেন। কেননা সাদ্দাম হোসেন সম্পর্কে বুশ প্রশাসনের ভুয়া তথ্য এবং প্রায় ৩ শতাধিক মার্কিন সেনার মৃত্যুর বিষয়ে সাধারন মার্কিনীদের আর বেশিদিন ‘আশ্বস্ত’ রাখা যেতো না, তা তারা বুঝে গিয়েছিল।
সাদ্দামের সাথে পিরোর আলাপ শুরু হয়েছিল সাদ্দামের উপন্যাস ‘জাবিবা অ্যান্ড দ্য কিং’ নিয়ে। এখানে জাবিবা একজন সুন্দরী আরব মহিলা ছিলেন, যার একজন ভয়ঙ্কর বৃদ্ধের সাথে বিয়ে হয়েছিল। এরপর এক সুদর্শন এবং সাহসী রাজা জাবিবাকে তার দুর্দশা থেকে উদ্ধার করেছিলেন এবং তারা সুখে জীবনযাপন করছিলেন। বলাবাহুল্য, উপন্যাসটিতে জাবিবা ইরাকের প্রতিনিধিত্ব করছেন আর বৃদ্ধটি হলো যুক্তরাষ্ট্র। এবং যে কেউ সহজে বুঝে নিতে পারেন রাজাটি কে ছিলেন। সাদ্দাম হোসেনের সাথে প্রথম সাক্ষাতেই জর্জ পিরো মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আবিষ্কার করেছিলেন যে, তিনি যে একজন লেবানিজ খ্রিস্টান, বিচক্ষণ নেতা সাদ্দাম তা ধরে ফেলেন। তবে তিনি পিরোকে বলেন যে, এতে তার কোনও সমস্যা নেই। কথা প্রসঙ্গে সাদ্দাম জানিয়েছিলেন লেবানিজদের প্রতি তার ভালবাসার কথা। ইরাকের বেশিরভাগ লোকই শিয়া হলেও তিনি ছিলেন একজন সুন্নি মুসলিম। তবে, কর্মক্ষেত্রে তার ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রই বেশি ফুটে উঠেছিল। আরব জাতীয়তাবাদী মনোভাব সম্পন্ন সাদ্দাম বলেছিলেন যে, তিনি ইতিহাসের অন্যতম সেরা আরব মুসলিম নেতা হিসেবে বিবেচিত হতে চেয়েছিলেন। তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারিক আজিজ ছিলেন একজন ক্যাথলিক খ্রিস্টান এবং সাদ্দাম কখনই তাকে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করেননি। বস্তুত তার প্রাসাদ এবং প্রশাসনের বেশিরভাগ কর্মীই ছিলেন খ্রিস্টান।
পিরো তার সাক্ষাতকারে বলেন, ‘ইরাকের কাছে গণবিধ্বংসী ছিল না, যা আমরা সন্দেহ করেছিলাম যে তার আছে; সাদ্দাম ২০০০ সালের জুনে একটি স্পর্শকাতর বক্তৃতা দিয়েছিলেন, এটি এমন বক্তৃতা ছিল, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে, ইরাকে গণবিধ্বংসী আছে।’ তিনি বলেন, ‘যখন সে আমাকে সেই বক্তৃতা সম্পর্কে বলেছিল, তখন তার সবচেয়ে বড় শত্রæ যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরাইল ছিল না । তার সবচেয়ে বড় শত্রæ ছিল ইরান। ১৯৮০-এর দশকে ইরাক এবং ইরান প্রায় ৮ বছর দীর্ঘ যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল যেখানে উভয় পক্ষের কয়েক হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও ইরাকের অস্ত্র পরিদর্শনের দাবির মুখে সাদ্দাম হোসেন ইরানীদের বুঝতে দিতে চাননি যে, তিনি প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়েছেন। সাদ্দামের সবচেয়ে বড় ভয় ছিল যে ইরান যদি আবিষ্কার করে যে ইরাক কতটা দুর্বল এবং অরক্ষিত হয়ে উঠেছে, তাহলে দক্ষিণ ইরাকে আক্রমণ করা এবং দখল করা থেকে কিছুই তাদের ঠেকাতে পারবে না।’ পিরো বলেন, ‘কারণ যদি আপনি স্মরণ করেন, প্রাথমিকভাবে, ইরানীরা উল্লেখযোগ্য জয় লাভ করেছিল, তারা যুদ্ধের প্রথম পর্বে প্রাথমিকভাবে কিছু ইরাকি ভ‚মি দখল করতে সক্ষম হয়েছিল এবং তারপরে একটি অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। তাই তার লক্ষ্য ছিল ইরানকে দ‚রে রাখা।’
জর্জ পিরো বলেছেন যে, ২০০২ সালের সেপ্টেম্বরে যখন সাদ্দাম বুঝতে পারলেন যে, প্রেসিডেন্ট বুশ আদতে ইরাক আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সাদ্দাম তার অবস্থান বা ভঙ্গি পরিবর্তন করেন এবং অস্ত্র পরিদর্শকদের ইরাকে এটি প্রতিরোধ করার চেষ্টা করার অনুমতি দেন। যখন তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, যুদ্ধ অনিবার্য তখন নিজেকে এবং তার সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা শুরু করেন। ২০ বছর পর আপনি যদি ইরাকের দিকে তাকান, সেখানে গৃহযুদ্ধ হয়েছে যেখানে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। সাদ্দামের অধীনে ইরাকে আল কায়েদার কোনো উপস্থিতি ছিল না, কিন্তু মার্কিন আগ্রাসনের পর ইরাকে একটি শক্তিশালী আল কায়েদার শাখা গড়ে ওঠে, যা শেষ পর্যন্ত আইএসআইএস-এ রূপান্তরিত হয়। তারপর সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার ঘটেছে, যা সর্বদা মধ্যপ্রাচ্যে বিদ্যমান ছিল, কিন্তু নিঃসন্দেহে ইরাক যুদ্ধের দ্বারা সম্প্রসারিত হয়েছে এবং সিরিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এবং সেই গৃহযুদ্ধের অংশ হয়ে গিয়েছে।
পিরো বলেছেন যে, তিনি ইরাকের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী নন, কারণ প্রাথমিকভাবে ইরাকের এমন একজন নেতা প্রয়োজন, যিনি ইরাককে সর্বাগ্রে রাখেন। এটাই ছিলেন সাদ্দাম হোসেন। সাদ্দাম এক অর্থে ইরাককে সর্বাগ্রে রেখেছিলেন এবং সবাইকে একত্রিত করেছিলেন। পিরো বলেন, ‘আপনি যখন দেখছেন যে এটি কতটা বিভক্ত, যতক্ষণ না কেউ আসে এবং লোকের ধর্মীয় বা জাতিগত পটভ‚মি সম্পর্কে তোয়াক্কা না করে এবং ইরাককে একটি দেশ হিসাবে মনে করে, এর ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।’
বার্জেন পিরোকে প্রশ্ন করেন, ‘অবশেষে, ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে শিয়া-অধ্যুষিত ইরাকি সরকার কর্তৃক সাদ্দামকে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একটি ভিডিও সম্প্রচারিত হয় যাতে দেখা যায় যে সাদ্দামকে ফাঁসি দেওয়ার কিছু মুহ‚র্ত আগে, যে রক্ষীরা তাকে ফাঁসির চেম্বারে নিয়ে এসেছিলেন তারা তাকে উপহাস করেছিলেন, চিৎকার করে একজনের নামে জয়ধ্বণি করছিলেন। বিখ্যাত শিয়া ধর্মগুরু। আপনি কি তা দেখেছিলে? পিরো বলেন, ‘হ্যা। এবং আমি সত্যি বলতে, আমি এটি উপভোগ করিনি, ইরাকি জনগণের বিরুদ্ধে যে অপরাধ করেছিলেন, তার জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ভিত্তিতে সাদ্দামের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছিল, তবুও, আপনি যখন দেখেন যে কিভাবে তাকে মৃত্যুদÐ দেওয়া হয়েছিল, এটি প্রতিশোধের মতো লাগছিল। তার মৃত্যুদÐের সময়, যারা তাকে উপহাস করেছিল, সে তাদের উপহাস করেছিল এবং সে মুনাজাত করেছিল। তাকে দড়ি পড়তে সাহায্য করতে হয়নি এবং মুখ ঢাকার জন্য তিনি মুখোশ পরেননি। তিনি খুব প্রতিবাদী এবং এক অর্থে, খুব শক্তিশালী বা সাহসী হিসাবে প্রমাণিত হয়েছেন। এবং এটিই মানুষ মনে রেখেছে, বিশেষ করে আরব বিশ্বের সুন্নি জনগোষ্ঠী। সূত্র: সিএনএন।
বিভাগ : আজকের পত্রিকা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ছাত্রদের ওপর : ধর্ম উপদেষ্টা
আন্দোলনে শহীদ ওসামার কবর জিয়ারত করলেন ইবি সমন্বয়করা
রেশনের চাল গুদামে দেড় লাখ টাকা জরিমানা
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করাই হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব : ড. মঈন খান
দুই ব্রিটিশ সেনা গ্রেফতার
কুরস্কে একদিনে কিয়েভের ৪৩০ সেনা নিহত
‘আ.লীগকে আর কখনো দেশের জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না বরং বিচার চায়’
"লিয়াম পেইনের মৃত্যু'র নতুন এক সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ"
খুলনায় ইজিবাইক মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুইজনের মৃত্যু, আহত ২
কর্পোরেট প্রভাবমুক্ত সাংবাদিকতা দেখতে চাই, সত্য প্রচারে নির্ভীক হতে হবে: মাহমুদুর রহমান
গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করতে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র চলছে-- এড. আবুল বাসার আকন্দ।
সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাচ্ছে রসুন, আসছে মাদকসহ অবৈধ পন্য আনোয়ারুজ্জামান পালালেও, থামছে না চোরাচালান ব্যবসা
ডেঙ্গুতে চট্টগ্রামে মৃত্যু ১, নতুন আক্রান্ত ২৫
রেশনের চাল গুদামে দেড় লাখ টাকা জরিমানা
অভয়নগরে পানিবন্দি মানুষের চিকিৎসায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
ইসলামবাগ মাদরাসার মুহতামিম মুফতী আব্দুল গনী আল গাজীর ইন্তেকাল
শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করতে ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছে: আবদুস সালাম আজাদ
যশোরে বিএনপি অফিস ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ মামলায় গ্রেপ্তার ৩
বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে ইপিএ স্বাক্ষরে সম্মত বাংলাদেশ-জাপান
যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৩ পদে প্রার্থী ২৮