শাল্লায় হাওরবাসীর স্বস্তি
১২ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৪ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:৫১ এএম
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্রতি বছর আগাম বন্যায় সুনামগঞ্জের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। চলতি মৌসুমে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে জেলার হাওরগুলোতে চলছে কর্মযজ্ঞ। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধ পরিদর্শনে আসেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। তিনি হাওর পরিদর্শনে এসে কাবিটা নীতিমালা-২০১৭ অনুযায়ী কাজ শেষের নির্ধারিত সময় ২৮ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ৭ মার্চ পর্যন্ত বাঁধের কাজের সময়সীমা বর্ধিত করেন। ওই সময়ের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ না হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
এদিকে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় বর্ধিত সময়ের মধ্যে টেকসই ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। যথাসময়ে কাজ শেষ হওয়ায় স্থানীয় কৃষকেরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলছেন, কাজের গুনগত মান ভালো এবং নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হয়েছে। এর আগে এত দ্রুত কাজ শেষ হয়নি কোন সময় বলে জানান স্থানীয়রা।
পাউবো সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ৬টি হাওর রক্ষায় প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য ১৯৭টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। হাওরগুলো হলো কালিকোটা, ছায়ার হাওর, বরাম হাওর, উদগল, ভান্ডাবিল, ভেড়াডহর।
সরেজমিনে উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের কালিকোটা ও ছায়ার হাওর পরিদর্শনে দেখা যায়, ১৯৭, ১৯৬, ১৯৫, ১৯৪, ১৯৩, ১২২, ১২১, ১২০, ১১৯, ১১৮, ১১৭, ১১৬, ১১৫, ১১৪, ১১৩, ১১২, ১১০, ১০৯, ১০৮, ১০৭, ও ১০৬ নং প্রকল্পের সম্পূর্ণ কাজ শেষ। যার ফলে স্থানীদের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস। কালিকোটার ঝুকিপূর্ণ ক্লোজারে ১০৮ নং প্রকল্পে জিও টেক্সটাইল দেয়া হয়েছে। বাকি প্রকল্পগুলোতে দুর্বা ঘাস লাগানো।
এবিষয়ে স্থানীয় কৃষক শামসুল আলম জানান, দ্রুত কাজ শেষ হয়েছে। কাজ তুলনামূলকভাবে ভালো হয়েছে। আল্লাহ যদি রক্ষা করেন আশা করি এ বছর সোনালী ফসল ধান ঘরে উঠবে।
স্থানীয় সমাজকর্মী রনি শেখ বলেন, প্রতি বছর বাঁধের কাজ নিয়ে অনেক টালবাহানা হয়। এবছর শুরুর দিকে অনেক নাটক দেখেছি। তবে ধন্যবাদ জানাই শাল্লা পাউবোকে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে যথাসময়ে এ অঞ্চলের কাজ শেষ করা জন্য।
২০১৭ সালে ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে ও টানা বর্ষণে সুনামগঞ্জসহ হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনার সবগুলো হাওর তলিয়ে যায় ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে। এসময় ফসল রক্ষার বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ করা হয় বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এরপর ঠিকাদারি প্রথা বাতিল করে ২০১৮ সাল থেকে স্থানীয় কৃষকদের দিয়েই ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ কারছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পাউবো শাখা কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম জানান, কালিকোটা ও ছায়ার সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত। বাকি হাওরগুলোর কাজও শেষ। ঘাসের ব্যাপক সংকট রয়েছে হাওরে। হাতগোনা কয়েকটি প্রকল্পে ঘাস লাগানোর কাজ চলমান।
এ বিষয়ে কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, আমারা যথাসময়ে শেষ করতে পেরেছি। আমাদের টার্গেট ছিলো ৩০টি ক্লোজার শেষ করা। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সবগুলো বাঁধে মাটি ফেলা হয়েছে। বর্ধিত সময়ের মধ্যে বাকি কাজগুলো শেষ হয়েছে। তবে হাতেগোনা কয়েকটি বাঁধে দুর্বা ঘাস লাগানো শেষ হয়নি কিন্তু কাজ চলমান।
বিভাগ : আজকের পত্রিকা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
একজনের সুদের টাকার ঘটনায় অন্যজনকে হত্যা
ব্যাংকে ডলারের কোনো সংকট নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বই পায়নি চার লাখ শিক্ষার্থী
‘ফাজলামি পাইছেন, ২ তালায় বলে ৪ তালায় তুলছেন’
১৭ দিন ধরে চিলমারী-রৌমারী নৌ রুটে বন্ধ ফেরি চলাচল
মেসি-সুয়ারেসের সাথে আবার এক হচ্ছেন নেইমার
হাসপাতালের ডিসপ্লেতে আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে
ধামরাইয়ে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ
সংবিধান কারও বাপের না: হাসনাত আবদুল্লাহ
ঝিকরগাছায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে লাখ টাকা জরিমানা
ওয়াকারুর সাথে যুক্ত হলেন আফরান নিশো
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলের তাণ্ডব , জরুরি অবস্থা ঘোষণা
সচিবালয় গেটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, তদন্তে কমিটি
সহদেবপুর এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২৫টি ঘর পুড়ে ছাই
মোবাইলে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ব্যবহার করতে পারবেন ৪৪ টাকা
অস্কার প্রতিযোগিতায় শক্ত অবস্থানে বাংলা ছবি 'পুতুল'
ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করিয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক
মার্কিন কংগ্রেসে অভিবাসন আইন নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্ক, নতুন বিল পাশ
মির্জাগঞ্জে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত
দেশীয় ফ্রিজ এসি-মোটরসাইকেল শিল্পে কর বৃদ্ধি, বাড়তে পারে দাম