চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভায় সড়ক-মহাসড়ক, বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলি গলিতে যত্রতত্র ময়লা আর্বজনা পড়ে থাকার কারণে ড্রেন, নালা, নর্দমা সময়মত পরিষ্কার না করায় পঁচা দুর্গন্ধে দিন দিন পৌরসভার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠছে। পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাহুলী এলাকায় মহাসড়কের পাশে ময়লার ডিপো গড়ে তোলায় এলাকার লোকজন ও যানবাহনের যাত্রীরা চলাচল করতে দুর্গন্ধে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। অনেক সময় ডিপোর আবর্জনায় আগুন লাগিয়ে দেওয়ার কারণে মহাসড়কসহ এলাকার চারপাশে ধোঁয়ায় আছন্ন হয়ে যায়। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহন মুখোমুখী সংঘর্ষে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। এ ময়লার ডিপোর পশ্চিম পাশে কৃষি উদ্যান কেন্দ্র ও খৃস্টানদের উপাসনালয় রয়েছে। সেখানে কৃষি উদ্যানের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও উপসনালয়ের সেবিকারা ময়লার দুর্গন্ধে ও ধোঁয়ার কারণে স্বাভাবিক জীবন যাপনে বিপাকে পড়েছে। বাহুলী এলাকা ছাড়াও পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড সর্দ্দারপাড়া, কবরস্থানের পাশে সড়কে, শেয়ানপাড়া সড়কে, মহাসড়কের পটিয়া থানার মোড়, মুন্সেফ বাজার, ডাক বাংলো এলাকায় সড়কের ওপর ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকায় চারিদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নির্দিষ্ট কোন ডাস্টবিন না থাকায় ও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে ময়লা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হচ্ছে না। ১ম শ্রেণির পটিয়া পৌরসভায় এক সময় তেমন উন্নয়ন হয়নি। আ.লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে পটিয়া পৌরসভা আ.লীগের সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশীদ মেয়র নির্বাচিত হয়। এরপর থেকে পটিয়া পৌরসভায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে। তার সময়ে পৌর ভবন নির্মাণ, কিচেন মার্কেট নির্মাণ, বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, মহাসড়কের ২ পাশে ড্রেন, ফুটপাত ও স্ট্রিট লাইট স্থাপন, সবুর রোড, তালতলা চৌকি, স্টেশন রোড, সাহিত্য বিশারদ সড়কসহ অনেকগুলো স্থানে পানিবদ্ধতা নিরসনে তিনি ড্রেনের ব্যবস্থা করেন। এছাড়া ৯টি ওয়ার্ডে রাস্তাঘাট, ড্রেন, কালভার্ট ও লাইট স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অধ্যাপক হারুনুর রশিদের ২ দফায় মেয়রের দায়িত্বকালে পটিয়া পৌরসভাকে নান্দনিক পৌরসভায় রূপান্তরিত করে। তার সময়ে ভ্যান গাড়ি দিয়ে পৌরসভার আবর্জনা প্রতিদিন পৌরসভার বাইরে ফেলে দেয়া হতো। ২০২১ সালে আ.লীগ থেকে আইয়ুব বাবুল মেয়র নির্বাচিত হয়। বিগত ২ বছরে পৌরসভায় তেমন কোন উন্নয়ন কাজ হয়নি, বর্তমানে পৌরসভার উন্নয়ন কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। আর্বজনা নিয়ন্ত্রনে বর্তমান মেয়র একটি ডাম্পিং স্টেশনের পরিকল্পনা করলেও তা এখনো বাস্তবায়ন করতে পারেনি।

এ ব্যপারে মেয়র আইয়ুব বাবুল থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জায়গা না পাওয়ার কারণে ডাম্পিং স্টেশন করা সম্ভব হচ্ছে না যার কারণে ময়লা আর্বজনা নিয়ন্ত্রণ করতে কষ্ট হচ্ছে।