শালিখার ফটকি নদীতে আড়বাঁধ দিয়ে মা মাছ নিধনের অভিযোগ

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে

০২ জুন ২০২৩, ০৮:৩৯ পিএম | আপডেট: ০৩ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম

মাগুরার শালিখার সানি আড়পাড়া গ্রামে ফটকি নদীতে আড়বাধ দিয়ে মাছ নিধন করছে বলে জানা গেছে। ঐ গ্রামের বাবলু নামের প্রভাবশালী ইউপি সদস্য নদীতে একটি নয় তিনটি আড়বাঁধ দিয়ে ছোটবড় সকল প্রকার মাছ নিধনে ব্যস্ত রয়েছে।

ঘটনাস্থলে গেলে দেখা যাবে তার বাস্তব চিত্র। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সে প্রভাব দেখিয়ে বাশ দিয়ে নদীর দুই পাড় পর্যন্ত আড়বাধ তৈরি করে লাখ লাখ টাকার মাছ বিক্রির পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে এই আড়বাধের কারনে এলাকার শতশত একর জমির পানি নিচে নামতে না পারায় অনেকেই জমিতে ধান ও পাটের চাষ করতে পারে নাই । প্রতিনিয়ত ডিমওয়ালা মা মাছ ও ছোট ছোট মাছ ধংস হচ্ছে।

জানা যায়, কালীবাড়ী ভূমি অফিসের পশ্চিম পাশে প্রায় ২০০-৩০০গজ দুরে ফটকি নদীতে এ পাশ থেকে ঐ পাশ পর্যন্ত বাশ দিয়ে আড়বাধ দিয়েছে। নদীর মাঝখানে সুতে জাল পাতা আছে বলে এলাকা বাসী জানিয়েছে । সমস্ত মা মাছ ও ছোট ছোট মাছের রেনু প্রতিনিয়ত ধরা খাচ্ছে। নদীর দুই পাড় কেটে মাটি ভর্তি ৬-৭ হাজার বস্তা এবং বাশ দিয়ে চাঁনের সাথে পলিথিন ও পলেসটারের কাপড় দিয়ে বাধ তৈরি করা হয়েছে। ফাকা মাঠের মধ্যে ঐ বাধটি চৈত্র মাসের শুরুতে এই সুতে বাধে বা আড়বাধ তৈরি করে সারা বছরে পানি আটকিয়ে মাছ ধরে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করে ঐ মেম্বর সহ কতিপয় ব্যক্তি। সানি আড়পাড়া, কালিবাড়ী, গজদূর্বা, সর্বসাংদা, খিলগাতী, লক্ষীপুর, ধনেশ্বরগাতী, থৈপাড়া, দেবিলা, ও আশেপাশের সমস্ত গ্রামের মানুষ এই বাধ উচ্ছেদের জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃ দ্বীন ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছেনা। এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


বিভাগ : আজকের পত্রিকা


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইরানে সরাসরি হামলা চালাবে না ইসরায়েল : যুক্তরাষ্ট্র

ইরানে সরাসরি হামলা চালাবে না ইসরায়েল : যুক্তরাষ্ট্র

স্থায়ী জামিন পাননি ড. ইউনূস, মেয়াদ বাড়ল ২৩ মে পর্যন্ত

স্থায়ী জামিন পাননি ড. ইউনূস, মেয়াদ বাড়ল ২৩ মে পর্যন্ত

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে

হুমকির মুখে পদত্যাগ করতে চাইছেন জার্মানির মেয়ররা

হুমকির মুখে পদত্যাগ করতে চাইছেন জার্মানির মেয়ররা

চাষাবাদ ব্যহত, খাওয়ার পানির সংকট প্রকট

চাষাবাদ ব্যহত, খাওয়ার পানির সংকট প্রকট

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায়ও থেমে নেই গাজায় আগ্রাসন

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায়ও থেমে নেই গাজায় আগ্রাসন

স্মার্টফোন কিনে না দেয়ায় গলায় ফাঁস নিল কিশোর

স্মার্টফোন কিনে না দেয়ায় গলায় ফাঁস নিল কিশোর

কাশ্মীরের ঝিলাম নদী পার হতে গিয়ে নৌকাডুবে নিহত ৪, নিখোঁজ ১৫

কাশ্মীরের ঝিলাম নদী পার হতে গিয়ে নৌকাডুবে নিহত ৪, নিখোঁজ ১৫

উইজডেনের চোখেও সেরা কামিন্স

উইজডেনের চোখেও সেরা কামিন্স

উইজডেনের চোখেও সেরা কামিন্স

উইজডেনের চোখেও সেরা কামিন্স

৪ গোল করে হল্যান্ডকে ছুঁয়ে আরও যত রেকর্ড গড়লেন পালমার

৪ গোল করে হল্যান্ডকে ছুঁয়ে আরও যত রেকর্ড গড়লেন পালমার

এক মুসলিমকে বাঁচাতে কেরালায় ৩৪ কোটি রুপির তহবিল

এক মুসলিমকে বাঁচাতে কেরালায় ৩৪ কোটি রুপির তহবিল

ইরানের হামলার জবাব দেয়া হবে: ইসরাইলের সেনাপ্রধান

ইরানের হামলার জবাব দেয়া হবে: ইসরাইলের সেনাপ্রধান

এবার হোয়াটসঅ্যাপেও এআই চ্যাটবোট! ব্যাপারটা কী?

এবার হোয়াটসঅ্যাপেও এআই চ্যাটবোট! ব্যাপারটা কী?

ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আজ স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস

ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আজ স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস

ঐতিহ্যবাহী অষ্টমীর স্নানে উৎসবে পূন্যার্থীর ঢল

ঐতিহ্যবাহী অষ্টমীর স্নানে উৎসবে পূন্যার্থীর ঢল

বঙ্গবাজারে চলছে দ্বিতীয় দিনের উচ্ছেদ অভিযান

বঙ্গবাজারে চলছে দ্বিতীয় দিনের উচ্ছেদ অভিযান

পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই আসছে ভারত

পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই আসছে ভারত

তারাকান্দায় যাত্রীবাহী দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩০

তারাকান্দায় যাত্রীবাহী দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩০

ওমানে বন্যায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ ১৬ জনের মৃত্যু

ওমানে বন্যায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ ১৬ জনের মৃত্যু