কলকাতায় মমতার সাথে কেজরিওয়ালের বৈঠক
২৪ মে ২০২৩, ০৯:৪৬ পিএম | আপডেট: ২৫ মে ২০২৩, ১২:০৩ এএম
মমতা ব্যানার্জি ও অরভিন্দ কেজরিওয়াল দু’জনেই মঙ্গলবার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ ছুঁয়ে গেলেও বিস্তারিত মন্তব্য করেননি। অন্যদিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ২০২৪ সালের বিজেপিবিরোধী জোট গড়ার লক্ষ্যে সব বিরোধী দলের সাথে ব্যক্তিগত বৈঠক করেছেন। তিনি একদিকে যেমন মমতা ব্যানার্জি, তামিলনাডুর এমকে স্তালিন বা ঝাড়খ-ের হেমন্ত সরেন, উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের সাথে আলোচনা চালাচ্ছেন, তেমনই নিয়মিত বৈঠক করছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সাথেও। কর্ণাটকের নবনির্বাচিত কংগ্রেস সরকারের শপথ গ্রহণে যোগদান করার পরেই কুমার রবি এবং সোমবার দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সাথেও কথা বলেছেন। অরভিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন দিল্লি সরকারের প্রশাসনিক অধিকার কেড়ে নিতে কেন্দ্রীয় সরকার যে অধ্যাদেশ জারি করেছে, তা নিয়ে ভোটাভুটির সময়ে সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রীয় সরকারের বিপক্ষে ভোট দেবে বলে মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার কেজরিওয়ালের সাথে বৈঠকের পরে ব্যানার্জি এ ঘোষণা করেন। আপাতত দিল্লি সরকারের অধিকার কেড়ে নেয়ার অধ্যাদেশ নিয়ে সংসদে ভোটাভুটির বিষয়টি গুরুত্ব পেলেও, দুই মুখ্যমন্ত্রীই বলছেন অধ্যাদেশ পাশ করানোর ওই ভোটে বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারকে পরাজিত করতে পারলে তা আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাইলেজ দেবে বিজেপিবিরোধী দলগুলিকে। অরভিন্দ কেজরিওয়ালের সাথে বৈঠকের পরে মমতা ব্যানার্জি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই অধ্যাদেশের বিরুদ্ধেই আমরা ভোট দেব। আমি সব দলকে আপিল করব সবাই যদি একসাথে মিলতে পারি তাহলে রাজ্যসভায় আমরা বিজেপিকে হারাতে পারব, তাহলে অধ্যাদেশটিও নাকচ হয়ে যাবে। এটা আমাদের সামনে একটা বড় সুযোগ ২০২৪ সালের আগে।’ কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে অ-বিজেপি রাজ্য সরকারগুলির সমর্থন আদায়ের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরভিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির সরকার তার অধীনস্থ কর্মী এবং অফিসারদের বদলি, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয় নিজেদের অধীনে রাখতে চেয়ে মামলা করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি সরকারের পক্ষেই রায় দিয়েছিল। কিন্তু গত শনিবার রাতে এক অধ্যাদেশ জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার কর্মী ও অফিসারদের বদলি, শাস্তিদান সবকিছুই নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। যেহেতু এটি একটি অধ্যাদেশ, তাই সংসদের দুই কক্ষেই এটিকে বিল আকারে পেশ করে পাশ করাতে হবে। সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিরোধীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। কেজরিওয়াল আবেদন করছেন বিজেপিবিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে যদি ওই অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে ভোট দেয়, তাহলে সেটা রাজ্যসভায় পাস করানো যাবে না এবং তাতে তার নিজের সরকারের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। বিবিসি।
বিভাগ : আজকের পত্রিকা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ফের মৃত্যুর খেলা! ‘স্কুইড গেম সিজন ২’র টিজারে বিপদের বার্তা
অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি কচুয়ায় যুবলীগ নেতার ৪টি দোকান পুড়েছে দুর্বৃত্তরা
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
লেবানের বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪
রাঙামাটিতে সেনা, বিজিবি ও পুলিশের টহল, পরিস্থিতি শান্ত
পরমাণু দূষিত পানি নিয়ে চীন ও জাপানের কিছু ঐকমত্য
ঝিকরগাছায় বিএনপি নেতা খায়রুজ্জামান মিনুসহ ২১ নেতাকর্মী বহিষ্কার
হিজবুল্লাহর ভয়ে ইসরাইলিদের আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে থাকার নির্দেশ
ভারতের ঘুম হারাম করে পাকিস্তানকে ভয়ঙ্কর হেলিকপ্টার দিচ্ছে চীন
পাকিস্তানে সেনানিবাসে আত্মঘাতি হামলা, সেনাসহ নিহত ১৮
জুলাই বিপ্লবে শহিদের সংখ্যা ১৪২৩, আহত ২২ হাজার
নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জুয়েল গ্রেফতার
বিচারবিভাগ নিয়ে আজ রোডম্যাপ দেবেন প্রধান বিচারপতি
নেছারাবাদে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার নিহতদের স্মরণে বিএনপির আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল
নেপালের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চায় চীন: শি জিনপিং
পতিত স্বৈরাচারের দোষর মিডিয়া আর স্বার্থান্বেষী মহল পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে
পাকিস্তান-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টও মুলতানে
৭০টির বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা সিআইআইই-তে অংশ নেবে
সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে আজ প্রতিনিধিদল যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে