দুর্ঘটনার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে
০৩ জুন ২০২৩, ০৯:৪০ পিএম | আপডেট: ০৪ জুন ২০২৩, ০১:০২ এএম
চট্টগ্রামের সীতাকু-ে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকা-ে ভয়াবহ বিস্ফোরণের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ রোববার। গত বছরের ৪ জুন রাতে ডিপোতে বিস্ফোরণে ১২জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ৫১জন মানুষের প্রাণহানি হয়। আহত হন আরও চার শতাধিক মানুষ। আহতদের অনেকে পঙ্গু হয়ে গেছেন। অনেকে এখনও দুর্ঘটনার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারও পায়নি উপর্যুক্ত ক্ষতিপূরণ। পরিবারের কর্মক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পথে বসেছে অনেকে পরিবার। যদিও ডিপো কর্তৃপক্ষের দাবি, হতাহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিয়েছে তারা।
অগ্নিকা- থেকে সিরিজ বিস্ফোরণ ঘটে বিএম ডিপোতে। তখন বলা হয়েছিল, রফতানিমুখি পণ্যের পাশাপাশি ডিপোতে অনিরাপদভাবে রাখা হয়েছিল বিভিন্ন কেমিক্যাল। আর এ কারণেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। টানা প্রায় ৯৬ ঘণ্টা সেখানে আগুন জ্বলে। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় ডিপোর একাংশ। বিনষ্ট হয় শত কোটি টাকার সম্পদ। স্মরণকালের ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় সেখানে কর্মরতদের অনেকের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। লাশও পাওয়া যায়নি নিহতদের কারো কারো। শরীরে খ-িত অংশ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় সনাক্ত করতে হয়েছে। আহতদের অনেকে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, হয়েছেন পঙ্গু।
এ ঘটনায় সীতাকু- থানায় ডিপোর আট কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা হয়। সে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ডিপোর আট কর্মকর্তা। পুলিশের দাবি, দুর্ঘটনার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের কোন দায় পাওয়া যায়নি। মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, ডিপো কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ না নিয়ে ডিপোতে বিপদজনক রাসায়নিক পদার্থ সংরক্ষণ করেছিল। এতে অগ্নিকা- ও বিস্ফোরণের কারণে মৃত্যু ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তদের অবহেলায় জান, মাল ও সম্পত্তির ক্ষতি হয়। দুর্ঘটনার পর চট্টগ্রামে তৎকালীন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত সরকারি তদন্ত কমিটি একটি প্রতিবেদন দেয়। এ জাতীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে তাতে ২০টি সুপারিশ করা হয়। তদন্ত কমিটি সরকারের বিভিন্ন পক্ষের অবহেলা এবং মালিক পক্ষের অবহেলাকেও এ ঘটনার জন্য দায়ী করে। তবে এসব সুপারিশের কোনটাই বাস্তবায়ন হয়নি। দুর্ঘটনার পর ডিপোর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে ধীরে ধীরে সেটি ফের চালু করা হয়।
নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা : গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। এতে বলা হয়, এ পর্যন্ত ডিপোর নিজস্ব খরচে আহতদের মধ্যে ১১জনকে বিদেশে সুচিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। ডিপো বন্ধ থাকা অবস্থায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুরো বেতন-বোনাস দেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনা পরবর্তী ডিপোকে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ডিপো হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
শিক্ষক ভিন্ন ধর্মালম্বি হলেও তার সাথে ভদ্রতা, সৌজন্যবোধ ও সম্মান করতে হবে -ছারছীনার পীর ছাহেব
আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা: পুলিশ সদরদপ্তর
আখাউড়ায় ১১৫০ কেজি ভারতীয় কফিসহ গ্রেপ্তার ৩
কোটালীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা, ঘরবাড়ি ভাংচুর লুটপাট করেছে সন্ত্রাসীরা
সাকিব-লিটনের ব্যাটে ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা
মণিপুর সংঘাত ইস্যুতে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত সরকার
বাংলাদেশ বেতারে উর্দু সার্ভিস চালু করতে পর্যালোচনা সভা
তোফাজ্জলের জানাজায় মানুষের ঢল, দাফন হলো বাবা-মা ও ভাইয়ের কবরের পাশে
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
গণপিটুনিতে হত্যা: ঢালাওভাবে ছাত্রদের বিজয়কে খাটো করতে আওয়ামী মিডিয়ার আস্ফালন, সমালোচনার ঝড়
সাবেক এমপি ইয়াকুবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে
ভারতকে ৩৭৬ রানে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ, হাসানের ৫
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরো ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
দোয়ারাবাজার সীমান্তে মহিষসহ মাছের চালান জব্ধ
সিলেটে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার, নারী গ্রেফতার
আশ্বিনকেও ফেরালেন তাসকিন
কক্সবাজার পাহাড়তলীতে অনৈতিক কাজে অতিষ্ঠ মানুষ, বাধা দেয়ায় বাসার মালিকের উপর হামলা
অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির খসড়া পাঠিয়েছে ইইউ
তাসকিনের জোড়া আঘাত, লিটনের রেকর্ড