জমজমাট ভ্রাম্যমাণ নতুন টাকার বাজার
২৪ জুন ২০২৩, ১০:১৪ পিএম | আপডেট: ২৫ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
নতুন টাকা মানেই বাড়তি আনন্দ। আর ঈদে এ টাকা আনন্দের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। ছোট-বড় সবারই পছন্দ নতুন টাকা। সালামি, বকশিশ, দান-খয়রাতে অনেকেই নতুন টাকা দিয়ে থাকেন। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে নতুন টাকার প্রতি আকর্ষণ একটু বেশি। একইসঙ্গে বকশিশ বা দান-খয়রাতেও অনেকে নতুন টাকা বিতরণ করেন। অনেকেই ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করছেন নতুন টাকা। কেউ কেউ নিচ্ছেন ফুটপাত বা খোলাবাজার থেকে। ঈদকে সামনে রেখে নতুন টাকার পসরা বসিয়েছেন খোলাবাজারের বিক্রেতারা। তাদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে ২ থেকে ২০০ টাকার নোট। প্রতি বান্ডিল টাকায় বাড়তি ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি নেয়া হচ্ছে। গুলিস্তান বা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অস্থায়ী বাজারে এ নতুন টাকা বিক্রি বেড়েছে। ক্রেতাদের অভিযোগ- ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত অর্থ রাখছেন নতুন টাকার বিনিময়ে।
গতকাল রাজধানীর গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অস্থায়ী ভ্রাম্যমাণ টাকা বিক্রেতারা ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০ ও ২০০ টাকার নতুন নোট বিক্রি করছেন। প্রতি এক বান্ডিল টাকা কিনতে হলে ক্রেতাকে অতিরিক্ত ১০০-১৭০ টাকা পর্যন্ত বেশি গুনতে হচ্ছে। এসব বাজারে ২ টাকার এক বান্ডেলে বাড়তি ২০০ টাকা, আর ৫ টাকার এক বান্ডিলের জন্য ১৫০-১৭০ টাকা, ১০ টাকার এক বান্ডিল ১০০-১২০ টাকা, ২০ টাকার এক বান্ডিলে ১২০-১৪০ টাকা, ৫০ টাকার এক বান্ডিলে ১৭০ টাকা, ১০০ টাকার এক বান্ডিলে ১৫০ টাকা এবং ২০০ টাকার এক বান্ডিলের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা দিতে হচ্ছে।
নতুন টাকার দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে। বিক্রেতারা বলছেন, বছরব্যাপী কোনো টাকা বিক্রি হয় না। প্রতিবারেই শেষ সময়ে একটু বেশি রাখা হয়।
এ দাম আহামরি কিছু না। সচরাচর দামেই বিক্রি হচ্ছে। গত বারের চেয়ে এবার বিক্রি কম এমনটাও জানান তারা।
তবে ক্রেতারা বলছেন, বছরের অন্য সময়ে এক বান্ডিল নতুন টাকা নিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন ২০০ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে।
গুলিস্তানে ভ্রাম্যমাণ টাকা বিক্রেতা হাসান মিয়া বলেন, বছরের অন্যান্য সময় অনেকটা অলস সময় পার করতে হয়। কোনো বেচা-বিক্রি থাকে না। ছেড়া-ফাটা টাকার ব্যবসা হয়। ঈদ এলে সবাই আনন্দে থাকেন। খুশি মনেই ক্রেতারা বাড়তি টাকা দেন।
গুলিস্তানে নতুন টাকা কিনতে আসা মিলন খান বলেন, গত ঈদে আমি বাড়িতে যেতে পারিনি, এবার যেতে চাই। গ্রামে গেলে ছোটরা নতুন টাকা চেয়ে বসেন। এ কারণে নতুন টাকা নিতে এসেছি, ব্যাংকে অনেক ভিড়। তাই ফুটপাতই আমার ভরসা। এখানে বাড়তি ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি চাওয়া হচ্ছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কোন শ্রমিক তার কারখানার ক্ষতি করবে না: শ্রম সচিব
নাঙ্গলকোটে প্রাথমিক শিক্ষা পদকে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন যারা
সিলেটে বজ্রপাতে পৃথক স্থানে নিহত ২
আ'লীগের চিহ্নিত সুবিধাভোগী সিলেট করিমউল্লাহ মার্কেট মালিকপক্ষের প্রতারণার শিকার এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর আর্তনাদ !
জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে শহিদ ছাত্র-জনতা চোখে আঙুল দিয়ে অনেক কিছু দেখিয়ে গেছেন-বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি
লৌহজংয়ে বিএনপির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত
শান্তর ফিফটির পর দিনের খেলার ইতি
নিউইয়র্কে বৈঠকে বসছেন তৌহিদ-জয়শঙ্কর
ছক্কা হাঁকানোর পরের বলেই আউট মুশফিক
ঝাড়খন্ডে কথিত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অমিত শাহের
মুমিনুলকেও হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ
রাবির মাদার বখ্শ হলের পানির ট্যাংক থেকে উদ্ধার হলো দেশীয় অস্ত্র
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ড. ইউনূসের ভাষণ ২৭ সেপ্টেম্বর
ঢাবির হত্যার ঘটনায় প্রভোস্টকে অব্যাহতি
আইন-শৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: রাঙামাটিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মেক্সিকোতে মাদক কারবারিদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই সপ্তাহে নিহত ৫৩
বিদ্যুৎ সাত-আট ঘণ্টা পর্যন্ত গ্রামে থাকে না
দুর্গাপূজায় ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত
জাকিরের পর ফিরলেন সাদমানও
খুবিতে ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার শীর্ষক সেমিনার