শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় বিস্ফোরক আইনে জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলসহ ৬৭ জনের নামে মামলা করেছে থানা পুলিশ। গত দুই দিনে এ মামলায় ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদীতে বিএনপির ১৫ নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুই বিস্ফরোক মামলায়ই আসামি করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলকে।

গ্রেফতারকৃত নেতা কর্মীরা হলো- ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও গৌড়িপুর ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান, মানিককুড়া গ্রামের আ. মমিন, মালিঝিকান্দার মামুন রানা, মাটিয়া পাড়ার সাজল মিয়া, বনকালি গ্রামের রুবেল মিয়া ও মোস্তফা। ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়া জানান, তাদের এজাহারি ও বিস্ফোরক আইনে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে।

অপর দিকে একই নির্বাচনী এলাকা শ্রীবরদী থানা থেকে ৯ বিএপি নেতা- কর্মীকে গ্রেফতার করেছে শ্রীবরদী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীরা হলো- সিঙ্গাবরুনা ইউনিয়ন বিএপি নেতা শাহজাহান চাঁন, রানিশিমূল ইউনিয়ন বিএপি নেতা মিল্লাত হোসেন, কাকিলাকুড়া যুব দল নেতা আনোয়ার হোসেন রানা, যুব দল নেতা ইস্রাফিল, তাতিহাটি ইউনিয়ন যুবদল নেতা মামুন মিয়া, খরিয়ার কাজির চর ইউনিয়ন যুব দল নেতা মনোহর আলী, ইউনিয়ন বিএপির নেতা আমির হামজা ও যুবদল নেতা রতন মিয়া। এসব নেতা-কর্মীদের মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয়। শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক রুবেল নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, উভয় মামলাতে আমাকেও আসামি করা হয়েছে এবং নির্বাচনী এলাকা ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদীতে গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী বাড়ি ছাড়া রয়েছে। মূলত ভীতি ছড়ানোর জন্যই এসব মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদে বিরুদ্ধে এসব মামলা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।