কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে স্পীডবোট ডুবে এক নারী যাত্রী নিহত হয়েছেন। গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের গভীর সমুদ্র গোলগড়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফিরোজা বেগম সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ডেইলপাড়ার আব্বাস আলীর স্ত্রী এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের (১,২,৩) সাবেক সদস্য।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও স্পীডবোট মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম জানান, টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনদ্বীপের উদ্দেশ্যে স্পীডবোটটি রওনা দেয়। এতে চালক ও সহকারী ছাড়া ২২ জন যাত্রী ছিলো। এর মধ্যে ১৭ জন পর্যটক ও ৫ জন স্থানীয় বাসিন্দা। গভীর সমুদ্রে গোলগড়া নামক এলাকায় আসার পর ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে বোটটির তলা ফেটে ভেতরে পানি ঢুকতে শুরু করে। একপর্যায়ে স্পীডবোটটি ডুবে যায়। এ সময় কোস্টগার্ডের একটি টহলদল ও অপর একটি স্পীডবোট এসে যাত্রীদের উদ্ধার করে। এতে এক যাত্রী নিহত হয়েছে। সেন্টমার্টিনদ্বীপ ২০ শয্যা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক নাঈমুর রহমান জানান, স্পীডবোট ডুবির ঘটনায় আহত ৩ জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। -এর মধ্যে ফিরোজা বেগম নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুজন চিকিৎসাধীন।

সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে দমকা হওয়ার কবলে পড়ে স্পীডবোটটির তলা ফেটে যায়। দ্রুত কোস্টগার্ডের সহযোগিতা পাওয়ার কারণে যাত্রীদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে সাবেক এক নারী ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, স্পীডবোট ডুবিতে এক নারীর মৃত্যুর খবর শুনেছি। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে কোস্টগার্ড সদর দফতরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি জানান, গতকাল ২৪ জন পর্যটক ও স্থানীয় যাত্রী নিয়ে একটি বড় স্পীডবোট টেকনাফের সার্ভিস ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের জেটিঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। বৃষ্টি এবং ঝড়ো বাতাসের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় বোটটি শাহপরীর দ্বীপে অপেক্ষা করে পরবর্তীতে পুনরায় যাত্রা শুরু করলে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট থেকে ৩ কিলোমিটার অদূরে গভীর সমুদ্র গোলগড়া নামক স্থানে পৌঁছালে তলদেশ ছিদ্র হয়ে বোটটি ডুবে যায়। তথ্য পেয়ে তৎক্ষাণাৎ কোস্টগার্ড স্টেশন সেন্টমার্টিন থেকে একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থল থেকে ২৪ জন যাত্রীকেই জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এসময় ফিরোজা বেগম নামে এক যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। সেন্টমার্টিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।