’৯০ ন্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের ছাত্রনেতা, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের অন্যতম নেতা ও ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি আর নেই। গতকাল শুক্রবার ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। ব্যক্তিগত জীবনে সাইফুদ্দিন মনি অবিবাহিত ছিলেন। গতকাল ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের নিজগ্রাম মহেশপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন করা হয়। সাইফুদ্দিন আহমদ মনির মৃত্যুর সংবাদে দেশের জাতীয়তাবাদী ধারার রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুর সংবাদ শুনেই হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, ঢাকা বারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, এনডিপির চেয়ারম্যান কারী আবু তাহের, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক, ডিএলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস, দলের নেতা এহসান কবির দুলাল, নাসিম আমহম মনি প্রমুখ। এ সময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

সাইফুদ্দিন মনির পারিবারিক সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে তিনি ময়মনসিংহ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এক সময় তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়। অতপর চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার বারডেম হাসপাতালে (মিরপুর) ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে গতকালই লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে তার লাশ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। অতপর বাদ মাগরিব ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের নিজগ্রাম মহেশপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনকরা সাইফুদ্দিন মনি বেশ কয়েকবার কারাবরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে ছিলেন। তার মৃত্যুতে বিএনপির, এনপিপি, গণদল, জাগপা (লুৎফর), ন্যাপসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গভীর শোক প্রকাশ করেছে। শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, সাইফুদ্দিন মনির মৃত্যুতে দেশ এক সাহসী সন্তানকে হারালো। বর্তমানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা রাজপথের আন্দোলনে তার খুবই প্রয়োজন ছিল।