ফরিদপুর পৌর সদরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে বাল্য বিবাহের এক ঘণ্টা আগে বিয়ে বাড়িতে পৌঁছে বিবাহ বন্ধ করেন উপজেলা প্রশাসন। ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে ১৬ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রী। সে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও শোভারামপুর হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের শোভারামপুর এলাকায় বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করেন ইউএনও লিটন ঢালী। স্থানীয় ও প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে বিয়েটি সম্পন্ন হওয়ার কথা। সে অনুযায়ী আগের দিন গায়ে হলুদও শেষ হয়। সকাল থেকে বিয়ের কয়েকশ’ বরযাত্রীদের জন্য নানা ধরনের খাবারের আয়োজন করা হয়। রঙিন কাপড়ের গেট থেকে শুরু করে সমস্ত আয়োজনই সম্পন্ন করা হয়। আর মাত্র ঘণ্টা খানেক বাকি। এর মধ্যে খবর পেয়ে হঠাৎ হাজির হন প্রশাসন। মেয়ের জন্ম নিবন্ধন, কাগজপত্র অনুযায়ী তার বয়স মাত্র ১৬ বছর। তাৎক্ষণিকভাবে বিয়েটি বন্ধ করে দেন প্রশাসন।

এ সময় কনের বাবার কাছ থেকে বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবার আগে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাফর আহমেদ খান বলেন, ইউএনও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাল্য বিবাহটি বন্ধ করেছেন। তবে এ সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।

ইউএনও লিটন ঢালী বলেন, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে বিয়েটি হওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী সমস্ত আয়োজনও সম্পন্ন করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিয়ের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর বিয়েটি বন্ধ করা হয়।