৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের রায়
১৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম
ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৩০ অক্টোবর। বিচারপতি সহিদুল করিম নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষে এ তারিখ ধার্য করা হয়েছে। গতকাল শনিবার এ তথ্য জানান বেঞ্চটির সংশ্লিষ্ট ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।
২০১৬ সালের ১ জুলাই হোলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে স্তম্ভিত হয় দেশ। দৃষ্টি আকৃষ্ট হয় গোটা দুনিয়ার। বর্বরোচিত এই মামলায় দেশী-বিদেশী ২০ জন মানুষ নিহত হন। এদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, ১ জন ভারতীয় ও ৩ জন বাংলাদেশী।
ঘটনার সাড়ে ৭ বছর পর ঘোষিত হতে যাচ্ছে হাইকোর্টের আদেশ। এর আগে বিচারিক আদালতে দন্ডিতদের পক্ষে করা আপিল এবং সরকারপক্ষের ডেথ রেফারেন্স শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্তদের রায় বহাল থাকবে মর্মে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে সরকারপক্ষ। দন্ডিতদের আইনজীবীরা প্রত্যাশা করছেন আসামিরা ন্যায় বিচার পাবেন।
এর আগে আলোচিত এ হামলা মামলায় ২০১৯ সালে ৭ ডিসেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ৭ আসামিকে মৃত্যুদ- এবং ১ জনকে বেকসুর খালাস দেন। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন দন্ডিতরা। বিচারিক আদালতে মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন, মোধ রাকিবুল ইসলাম রিগ্যান ওরফে রাফিউল ইসলাম, রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মোহাম্মদ হাদিসুর রহমান সাগর ওরফে সাগর, মামুনুর রশিদ রিপন, শরিফুল ইসলাম খালেদ। খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই হামলা মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। সরকারপক্ষ এই হামলা মামলায় ১১৩ জন সাক্ষী হাজির করে। তাদের মধ্যে ছিলেন নিহত পুলিশ সদস্যদের স্বজন, হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে আহত পুলিশ, হলি আর্টিজান বেকারির মালিক ও কর্মী, জিম্মি হয়ে পড়া অতিথি এবং যে সব বাড়িতে আস্তানা গেড়ে নৃশংস এই হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, সেসব বাড়ির মালিকেরা।
২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে ভয়াবহ ওই হামলার ঘটনা স্তম্ভিত করেছিল পুরো বাংলাদেশকে। আত্মঘাতি হামলাকারীরা হত্যা করেছিলেন ২০ জন দেশী-বিদেশী নাগরিককে। তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, নিষ্ঠুরতম হামলায় জড়িত গোষ্ঠীর নাম নব্য জেএমবি। যারা ঘটনার পর নিজেদের আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস (ইসলামিক স্টেট) বলে দাবি করে। ওই ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একের পর এক অভিযান চালিয়েছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এসব অভিযানে নিহত হয়েছেন হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত তামিম চৌধুরীসহ জড়িত গুরুত্বপূর্ণ আট আসামি। আক্রমণকারী পাঁচজন নিহত হন ঘটনার পরদিন সকালে সেনাদেও কামান্ডো অভিযানে। এ ঘটনায় জড়িত জীবিত থাকা ৮ জন এখন কারাগারে রয়েছেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস
লেবাননে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের
সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন পঞ্চগড়ের নতুন জেলা প্রশাসক
ইনস্টাগ্রামের মতো ফিচার এবার আসছে হোয়াটসঅ্যাপেও!
যুক্তরাষ্ট্রে কোর্টহাউসে বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানা গেল
৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
‘ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে
ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার
সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়
হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড
পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে
বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে