বগুড়া, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা জেলার গৃহায়ণ তহবিলের তালিকাভুক্ত এনজিও প্রতিনিধি ও উপকারভোগীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেল বাংলাদেশ ব্যাংকের এ প্রকল্পের ঋণের হার মাত্র দেড় শতাংশ। মতবিনিময় সভায় বগুড়া সদরের গোকুল গ্রামের সীমা খাতুন জানালেন, তিনি অসচ্ছলতার কারণে কুঁড়ে ঘরে বসবাস করতেন। কিন্তু এনজিও সংস্থা টিএমএসএসের সদস্য হিসেবে তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহায়ণ তহবিল প্রকল্পের ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ঋণ পেয়ে টিনের ঘর তৈরি করে এখন স্বস্তি ও স্বছন্দে বসবাস করছেন।

সভায় অন্য সুবিধাভোগীরাও জানালেন, এ গৃহায়ণ ঋণের সুদ মাত্র দেড় শতাংশ হওয়ায় তাদের কিস্তি পরিশোধেও তেমন বেগ পেতে হচ্ছে না।

গতকাল বগুড়ার টিএমএসএস-এর সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, গৃহায়ণ তহবিলের ফান্ড ম্যানেজার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন। প্রধান অতিথি ছিলেন যথাক্রমে গৃহায়ণ তহবিল স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জাকের হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক ড. হোসনে আরা বেগম।

প্রকল্প সম্পর্কে বলতে গিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, ১৯৯৯ সালে ২০ কোটি টাকার ফান্ড নিয়ে প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। এখন ১৬০ কোটি টাকার মূলধন ও মাঠ পর্যায়ের ৩০০ কোটি টাকাসহ এটার আকার ৫শ’ কোটির কাছাকাছি। তিনি আরো জানান, বিভিন্ন এনজিও ও উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে এ তহবিলের আওতায় মোট ১ লাখ ৬ হাজার উপকারভোগী ঘর পেয়েছেন। কিন্ত কোনো ঘরই ধসে পড়েনি বা তহবিল তসরুফের ঘটনা ঘটেনি। এটা একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ড. হোসনে আরাসহ অন্য এনজিও প্রতিনিধির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক জানান, সংগত ও যুক্তিযুক্ত কারণে গৃহায়ণ তহবিলের বরাদ্দের পরিমাণ চলতি অক্টোবর মাস থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার স্থলে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। মতবিনিময় সভায় বগুড়া, জয়পুরহাট ও গাইবান্ধা জেলার দু’শতাধিক এনজিও প্রতিনিধি ও উপকারভোগী উপস্থিত ছিলেন।