হতাশায় কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা
২০ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০২ এএম
বিগত ৩ মাস ধরে বেতন পাচ্ছে না জেলার ৪৯৫ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) স্বাস্থ্যকর্মীরা। এনিয়ে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে স্বাস্থ্য কর্মীদের মাঝে। তবে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্মকর্তাসহ দায়িত্বশীলরা মুখ না খোলায় দুঃশ্চিন্তা আরো বাড়ছে তাদের। একই অবস্থা জেলার ১৩টি উপজেলার ৪৯৫ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের। বিষয়টি জানান জেলার নান্দাইল, ঈশ^রগঞ্জ, গৌরীপুর ও সদর উপজেলার প্রোভাইডাররা।
গতকাল দুপুরে জেলার গৌরীপুর উপজেলার মহিশ^রণ কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মো. জহিরুল ইসলাম জানান, স্বল্প বেতনে নিয়মিত কাজ করেও মাস শেষে বেতন পাচ্ছি না। আমাদের বেতন কেন হচ্ছে না তাও জানি না। উপজেলা কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চেয়েও কোন উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। সদর উপজেলার মধ্য বাড়েরা কমিউনিটি মডেল ক্লিনিকের প্রোভাইডার মো. খুশবুন্নাহার জানান, চলতি বছরের জুন মাসে সর্বশেষ বেতন পেয়েছিলাম। বিগত ৩ মাস আমরা বেতন পাচ্ছি না। তবে কেন বা কি কারণে বেতন হচ্ছে না, এবিষয়ে জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষও কিছু বলছে না। এই অবস্থায় বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে দিনযাপন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। একই উপজেলার তারাগাই কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রোভাইডার মো. মাঈন উদ্দিন জানান, বিগত ১২ বছর ধরে আমার মত জেলায় ৪৯৫ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার কাজ করছে। অতীতে প্রতি মাসে নিয়মিত বেতন হলেও বিগত ৩ মাস ধরে বেতন হচ্ছে না। কথা ছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে আমাদের সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা দিবেন। কিন্তু এখন আমরা বেতনই পাচ্ছি না। স্বাস্থ্যকর্মীরা আরো জানায়, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে। এতে দেশের লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হচ্ছে। কর্মসংস্থান হয়েছে ১৪ হাজারের অধিক মানুষের। এই অবস্থায় স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন বন্ধের বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ আশা করছি।
এদিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বেতন ছাড় না হলে স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে কাজের আগ্রহ ও মনযোগ নষ্ট হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। ফলে বিষয়টি নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা। বেতন বন্ধ রয়েছে কি না, জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাজাহান কবীর বেতন না পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, শুরু থেকেই ৩ মাস পর পর কমিউনিটি ক্লিনিক কর্মীদের বেতনের বরাদ্ধ ছাড় হয়। তাহলে বেতন বন্ধ হবে কেন?
নান্দাইল উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদ জানান, সারাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো একটি প্রকল্পের অধিনে চলছে। মূলত ওই প্রকল্পই কমিউনিটি ক্লিনিকের বেতন ছাড় দেয়। তবে বিগত জুলাই মাস থেকে অর্থ ছাড় না হওয়ায় আপাদত বেতন আটকে আছে। আশা করছি অর্থপ্রাপ্তি হলেই বেতন পাবে কর্মীরা। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. নজরুল ইসলাম জানান, বেতন বন্ধের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যারা নিয়মিত কাজে আছে, তাদের বেতন বন্ধ নেই। কিন্তু কেউ যদি নিয়মিত অফিস না করে বা কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তার বেতন বন্ধ থাকতে পারে। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. শফিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গণপিটুনিতে দুই মাসে ৩৩ জনের মৃত্যু
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন জয়
মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন খুলছে আজ
বিচিত্রার সম্পাদক দেওয়ান হাবিব আর নেই
জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা : ৮ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
তোফাজ্জলকে হত্যার আগে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা চাওয়া হয় পরিবারের কাছে
বিশ্বের কাছে ১২টি পরমাণু গবেষণার ও স্থাপনা উন্মুক্ত করবে চীন
এবার রাবির শেরে-বাংলা হল থেকে লাঠিসোঁটা-হকিস্টিক উদ্ধার
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস
লেবাননে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের
সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেন পঞ্চগড়ের নতুন জেলা প্রশাসক
ইনস্টাগ্রামের মতো ফিচার এবার আসছে হোয়াটসঅ্যাপেও!
যুক্তরাষ্ট্রে কোর্টহাউসে বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
তাপপ্রবাহ নিয়ে যা জানা গেল
৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
‘ভারতীয় খাবার জঘন্য’, অস্ট্রেলিয়ান ইউটিউবারের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে
ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার
সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়