প্রাণিসম্পদ অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) আওতায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মুরগী উৎপাদনকারী দলের ১৪৬ জন সদস্য পেয়েছে মুরগীর আবহাওয়া সহিঞ্চু ঘর। এতে মুরগীর রোগের প্রাদুর্ভাব কমবে এবং উৎপাদন বাড়বে গোশত ও ডিমের।

জানা গেছে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ক্লাইমেট স্মার্ট শেড নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটির সার্বিক তত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের প্রাণিসম্পদ সেবাদানকারীদের সহযোগিতায় খামারীদের মাধ্যমে শেড নির্মাণ কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কমিটির সদস্যরা গাইডলাইন অনুসারে শেড নির্মাণ কাজ সরেজমিনে পরিদর্শনসহ তদারকি করেন। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে মুরগীর আবহাওয়া সহিঞ্চু শেড নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে তারাপুর ইউনিয়নে ৩০টি, বেলকা ইউনিয়নে ৩০টি, সর্বানন্দ ইউনিয়নে ৩০টি, কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নে ২৮টি ও হরিপুর ইউনিয়নে ২৮টিসহ মোট ১৪৬ টি মুরগীর শেড নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। খামারীরা মুরগীর আবহাওয়া সহিঞ্চু ঘর পেয়ে নতুনভাবে খামার করার উৎসাহ পেয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।

কয়েকজন খামারী বলেন, উৎপাদনকারী দলের সদস্য হিসেবে নিয়মিত কারিগরি প্রশিক্ষণ পেয়ে নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করছেন এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক খামার গড়ার উৎসাহ উদ্দীপনা পেয়ে নতুন স্বপ্নের বীজ বপন করছেন। তারাপুর ইউনিয়নের উৎপাদনকারী দলের সদস্য দুলালী, হাসনা, মঞ্জুরী, নুরিফা ও শরিফা বলেন, আমরা পশু হাসপাতালের ঘর পেয়ে খুব খুশি হয়েছি। নতুন করে মুরগী উৎপাদনের স্বপ্ন দেখছি। অন্যদিকে, সর্বানন্দ ইউনিয়নের উৎপাদনকারী দলের সদস্য জুই, নাজমা, মৌসুমী ও হাবিবুন নাজিরা বলেন, মুরগী যেন কষ্ট না পায় সেজন্য সুন্দর করে ঘর তৈরি করা হয়েছে। সবেমাত্র পাওয়া এ ঘরে অনেকেই মুরগী পালন শুরু করেছেন। অনেকেই নিচ্ছেন প্রস্তুতি।

এব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার ফজলুল করিম জানান, বর্তমান সরকারের উন্নত, সুখী, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে প্রাণিসম্পদ খাতের খামারীরা স্মার্ট খামার গড়ে নিজেরা নিজেদের আত্মকর্মসংস্থান করে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। এ ধরনের স্মার্ট শেডে মুরগী লালন পালন করলে মুরগীর রোগের প্রাদুর্ভাব কমে যাবে এবং ডিম ও গোশতের উৎপাদন অনেকাংশে বেড়ে যাবে।