ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১

৭ জানুয়ারির ভোট জনগণ রুখে দেবে : গণতন্ত্র মঞ্চ

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, লুটপাট টিকিয়ে রাখতে সরকার যেনতেন নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। তবে লুটেরাদের আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না। আগামী ৭ জানুয়ারির ভোট জনগণ রুখে দেবে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত এক সমাবেশে তারা এ কথা বলেন। সমাবেশের পর গণতন্ত্র মঞ্চ তোপখানা রোডে মিছিল করে।

সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, আপনার-আমার টাকা ব্যাংকে থাকে। দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি বলছে যে, ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা স্রেফ লুটপাট করে ফেলা হয়েছে। এটা কিন্তু খেলাপি ঋণ নয়, খেলাপি ঋণ অন্তুতপক্ষে ৩ থেকে ৪ লক্ষ কোটি টাকা। আর এই ৯২ হাজার কোটি টাকা তো আসার সম্ভাবনা নাই। স্রেফ লুট হয়ে গেছে। এই লুটপাটতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্য তারা (সরকার) এভাবে ক্ষমতা রাখতে চায়। এই লুটপাটতন্ত্রের কারণে দেশের অর্থনীতি সংকটে, জিনিসপত্রে দাম বাড়ে, আমার-আপনার পেটে লাথি পড়ে, প্রতিদিন টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং সেই টাকা পাচার হচ্ছে।

তিনি বলেন, এভাবে চলতে দেবেন? যদি না দেন তাহলে এই যে ভোট ডাকাত-তামাশা সেটাকে রুখে দিতে হবে। ওই নির্বাচন কেন্দ্রে যেতে পারবেন না। আপনার যদি দেশের প্রতি দায় থাকে, জনগণের প্রতি দায় থাকে তাহলে আপনি যেতে পারেন না। ৭ তারিখে কেউ ভোট দিতে যাবেন না। এই আজব তামাশা জনগণ প্রত্যাখানের মধ্য দিয়ে রুখে দেবে।

সাকি বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলছি, এই যে সংকট এর সমাধানের সময় এখনো আছে। এদেশের সংকট সমাধানের এমনকি তাদের ভাষায় সংবিধানের অধীনেও এমনই পরিষ্কার ব্যবস্থা আছে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ ভালো করে পড়লে দেখবেন পার্লামেন্ট ভেঙে দিলে এমনিতেই তারা জনগণের ভোটের ওপর দাঁড়িয়ে নেই, পার্লামেন্ট ভেঙে দেন, রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আলোচনায় বসেন এবং তিন মাসের মধ্যে একটা অংশগ্রহণমূলক সত্যিকারের নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, ৭০ ভাগ মানুষ ভোট দেয়ার জন্য নাকি রেডি। তাহলে মানুষের ওপর ভরসা করে আসেন একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মোকাবিলা করেন। আপনাদের যদি জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচন করে আমরা সালাম দিয়ে আপনাদের সরকার মেনে নেবো। কিন্তু আপনাদের সেই সাহস নাই জনগণকে উনারা ভয় পান। কারণ জনগণ ব্যালটে সিল দেয়ার ক্ষমতা পেলে আওয়ামী লীগের এই সরকার ভেসে যাবে।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সারা দেশে তারা সহিংসতা ছড়িয়ে দিয়েছে। নৌকা মার্কার সঙ্গে ডামি প্রার্থীর সহিংসতা, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে নৌকা প্রার্থীর সহিংসতা। গত কয়েকদিনে দুইজন মারা গেছে। প্রতিদিন অসংখ্য সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। অথচ দায়ী করা হচ্ছে বিরোধী দলকে। আজকে এই সরকার বিরোধী দলকে জব্দ করার জন্য তাদেরকে সন্ত্রাসে নাম দেয়ার জন্য দেশব্যাপী পরিকল্পিত সন্ত্রাস তারা ছড়িয়ে দিয়েছে। বিরোধী দলের হাজার নেতাকর্মী জেলখানায় আর তাদের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি সাজা দিচ্ছে। নিজেদের মধ্যে মারামারি-খুনাখুনি করে তারা দেশব্যাপী ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এসব করে কোনো লাভ হবে না। জনগণ তাদের ফন্দি বুঝে গেছে।

জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারির সঞ্চালনায় সমাবেশে ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, হাবিবুর রহমান রিজু, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ইমরান ইমন ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তোপখানা রোড ও বিজয়নগর সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ছক্কা হাঁকানোর পরের বলেই আউট মুশফিক

ছক্কা হাঁকানোর পরের বলেই আউট মুশফিক

ঝাড়খন্ডে কথিত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অমিত শাহের

ঝাড়খন্ডে কথিত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অমিত শাহের

মুমিনুলকেও হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ

মুমিনুলকেও হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ

রাবির মাদার বখ্শ হলের পানির ট্যাংক থেকে উদ্ধার হলো দেশীয় অস্ত্র

রাবির মাদার বখ্শ হলের পানির ট্যাংক থেকে উদ্ধার হলো দেশীয় অস্ত্র

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ড. ইউনূসের ভাষণ ২৭ সেপ্টেম্বর

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ড. ইউনূসের ভাষণ ২৭ সেপ্টেম্বর

ঢাবির হত্যার ঘটনায় প্রভোস্টকে অব্যাহতি

ঢাবির হত্যার ঘটনায় প্রভোস্টকে অব্যাহতি

আইন-শৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: রাঙামাটিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আইন-শৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: রাঙামাটিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেক্সিকোতে মাদক কারবারিদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই সপ্তাহে নিহত ৫৩

মেক্সিকোতে মাদক কারবারিদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই সপ্তাহে নিহত ৫৩

বিদ্যুৎ সাত-আট ঘণ্টা পর্যন্ত গ্রামে থাকে না

বিদ্যুৎ সাত-আট ঘণ্টা পর্যন্ত গ্রামে থাকে না

দুর্গাপূজায় ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত

দুর্গাপূজায় ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত

জাকিরের পর ফিরলেন সাদমানও

জাকিরের পর ফিরলেন সাদমানও

খুবিতে ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার শীর্ষক সেমিনার

খুবিতে ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার শীর্ষক সেমিনার

জাতিসংঘে যাওয়ার আগে হুঙ্কার দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান

জাতিসংঘে যাওয়ার আগে হুঙ্কার দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান

ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল

ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল

গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প থেকে ভারতীয়দের অপসারণের দাবি গণঅধিকার পরিষদের

গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প থেকে ভারতীয়দের অপসারণের দাবি গণঅধিকার পরিষদের

পঞ্চগড়ে তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস বিপর্যস্ত জনজীবন

পঞ্চগড়ে তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস বিপর্যস্ত জনজীবন

দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে তালতলীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন

দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে তালতলীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন

আমরা ১৫ বছর কথা বলতে পারিনি   - মুশফিকুর রহমান

আমরা ১৫ বছর কথা বলতে পারিনি - মুশফিকুর রহমান

ফিরলেন জাকির, এসেই শান্তর ছক্কা

ফিরলেন জাকির, এসেই শান্তর ছক্কা

মাগুরায় গৃহবধূকে বিষপানে হত্যার অভিযোগ

মাগুরায় গৃহবধূকে বিষপানে হত্যার অভিযোগ