জামালপুরের ইসলামপুর কামিল মাদরাসার সম্প্রতি নিয়মবর্হিভূতভাবে কমিটি গঠন করায় ক্ষোভ বিরাজ করছে সচেতন অভিভাবক ও সুধী মহলে। তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত চলমান আছে। অভিযোগ উঠেছে, ইসলামপুর কামিল মাদরাসার সম্প্রতি নিয়মবর্হিভূতভাবে গোপনে পকেট কমিটি করা হয়েছে। সরেজমিনে মাদরাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাদরাসার প্রিন্সিপাল তার অনিয়ম দুর্নীতিকে আড়াল করতে গর্ভনিং বডির নির্বাচন বিধি মোতাবেক না করে কয়েকজন শিক্ষককে ম্যানেজ করে কতিপয় অভিভাবকদের বাড়িতে গিয়ে উপবৃত্তির কথা বলে স্বাক্ষর নিয়ে পকেট কমিটি করেছেন। অভিভাবকরা এখনো জানেন না কমিটি কখন হয়েছে। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা ঐতিহ্যবাহী ইসলামপুর কামিল মাদরাসার অবৈধ গর্ভনিং বডির নির্বাচন বিধি মোতাবেক না হওয়ায় উক্ত কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের নিকট। এ ব্যাপারে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রারের নিকট আনিছুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক এলাকার সুধীজন অন্যান্য অভিভাবকদের পক্ষে গত ১ নভেম্ববর আবেদন দিয়েছিলেন।

উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন চেয়েছেন। তদন্তের কার্যক্রমে জন্য ইসলামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের আলোকে অভিযোগকারী ও প্রিন্সিপালকে নির্বাচন সম্পর্কিত অভিযোগের তদন্তের কাজে যথা সময়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, স্বাক্ষী ও প্রমাণাদিসহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু বাদী ও বিবাদী অভিযোগ ও নির্বাচন সংক্রান্ত সঠিক কাগজ পত্র সঠিক তথ্য উপস্থাপন ও দেখাতে না পারায় তদন্ত কার্যক্রম চলমান রেখে উভয় পক্ষের শুনানি অসমাপ্ত হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ইসলামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফা জানান, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রারের চিঠির আলোকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে বাদী ও বিবাদীর কথা ও কাগজপত্র দেখি। সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের স্বার্থে অধিকতর যাচাই-বাছাই ও আরো তদন্ত করতে হবে, তাই তদন্ত আজকের মতো মুলতবি করা হয়েছে।

ইসলামপুর কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে বলেন, কমিটি সঠিকভাবেই করা হয়েছে। অভিযোগের কোন প্রমাণ না থাকায় তার লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
তবে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা মাদরাসার অবৈধ গর্ভনিং বডির নির্বাচন বিধি মোতাবেক না হওয়ায় সঠিক তদন্ত পূর্বক উক্ত কমিটি বাতিল করে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের নিকট।