জিরা চাষের অপার সম্ভাবনা
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
বাংলাদেশে জিরার চাহিদা মেটাতে পুরোটাই নির্ভর করতে হয় আমদানির ওপর। বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় এবার দেশেই মাঠ পর্যায়ে শুরু হল জিরার চাষাবাদ। প্রাথমিক সাফল্যের পর আশা করা হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।
কৃষি তথ্য সার্ভিস এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তথ্য অনুযায়ী, গত বছরে ১২ থেকে ১৫ হাজার মেট্রিক টন জিরা আমদানি করতে হয়। ৮০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আমদানি বাবদ খরচ করতে হয়। সম্প্রতি বগুড়ায় একটি সেমিনারে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশিষ সরকার বলেন, ১৯৯৬ সালে মসলা গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর বিজ্ঞানীরা ১০০ এর বেশি মসলার জাত উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে। তার মধ্যে বারি জিরা-১ অন্যতম।
কীটতত্ত্ববিদ ড. জুলফিকার হায়দার প্রধান বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুমুদুল হাসান সুজার নেতৃত্বে একটি গবেষণা টিম ২০০৮ থেকে বিরতিহীন গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশেই চাষপোযোগী বারি জিরা-১ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে। মসলা গবেষণা কেন্দ্রের মাঠে প্রাথমিক পরীক্ষা নীরিক্ষার পর এটি এখন কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ড. মাহমুদুল হাসান সুজা ইনকিলাবকে জানান, ২০২১-২২ অর্থ বছর থেকে এটি মাঠ পর্যায়ে চাষের প্রাথমিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। চলতি বছরে বগুড়া, নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা ও গাইবান্ধা জেলায় ৪০ জন চাষীর মাধ্যমে ৪০০ হেক্টর জমিতে চলতি শীতকালে জিরার চাষ করা হয়েছে। এর চাষ পদ্ধতি বেশ জটিল ও স্পর্শকাতর হওয়ায় ৪০ জন চাষির মধ্যে ১০ থেকে ১২ জন চাষি পরিপূর্ণ সফলতা পেয়েছে। আশাকরা হচ্ছে আগামী বছর ১০০ জন চাষিকে জিরা চাষের আওতায় আনা সম্ভব হবে। বর্তমানে জিরা বীজের একমাত্র উৎস বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্রে প্রতিকেজি বীজের দাম ২০০০ হাজার টাকা।
তিনি জানান, বর্তমানে জিরার দাম ৮০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকা। দেশে জিরার চাহিদা প্রতিবছর ১২ থেকে ১৫ হাজার মেট্রিক টন। এর আমদানি ব্যয় ৮০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকা। মূলত ভারত ও ইরান থেকে জিরা আমদানি হয়। ভারত ছাড়াও বিশ্বে জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, তুরষ্ক ও ইরাকে জিরার চাষাবাদ হয়। বিশে^র চাহিদার ৭০ ভাগই উৎপাদন হয় ভারতের গুজরাট রাজ্যে। জিরা রফতানি খাত থেকে প্রভূত বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে ভারত। সেই হিসেবে আগামীতে বাংলাদেশ জিরায় স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়ে বিদেশে রফতানিকারক হয়ে ওঠা অসম্ভব নয় বলে ধারণা তার। তিনি আরও জানান, শুধু মসলা হিসেবে রন্ধনশালাতেই যে জিরার কদর তা নয় বরং দেশের হার্বাল ওষুধ প্রস্তুতকারক কম্পানিগুলোতেও প্রচুর পরিমাণে জিরার ব্যবহার হয় ।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ব্যাংকিং সেবা খাতে এখনো ভারতীয় আধিপত্য
পরিষ্কার বার্তা চায় জনগণ
অবশেষে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ
কারাগারে এস কে সুর
‘গ্রিনল্যান্ডকে সামরিক এলাকা বানাতে চান ট্রাম্প’
ছাত্রলীগ নেত্রী নিশি দুই দিনের রিমান্ডে
অভি খালাস! তাহলে খুনী কে?
জল্পনা উড়াল চীনা সংস্থা টিকটক কিনছেন না মাস্ক
ধামরাইয়ে খাদ্যদ্রব্য তৈরির কারখানায় ফের আবার ডাকাতির চেষ্টা
রাজউক জোনাল অফিস স্থানান্তর আদেশের প্রতিবাদে মানববন্ধন
দ্বিতীয় দিনের মতো অনশনে অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা
বন্ধ বেক্সিমকো খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
আধুনিক ডেটা ওয়্যারহাউজ স্থাপন করবে বিবিএস
পরিবারসহ জ্যাকব ও ছেলেসহ সাবেক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন শুনানির নতুন তারিখ
সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তনের বিষয় পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান ইউজিসি’র
চুক্তিতে নিয়োগের দৌড়ে নওফেলের জালাল উদ্দিন চৌধুরী
পুলিশের চাকরি হারিয়ে ছিনতাইয়ে নামেন হাকিম
ভোটার তালিকা হালনাগাদে সহায়তা করবে ইউএনডিপি
সাকরাইনে মেতেছে পুরান ঢাকা