রাজবাড়ীতে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় রোগীর কিডনী নষ্ট হওয়ার উপক্রম হওয়ায় জুবাইদা মীরার নামে এক সিজারিয়ান রোগীর গদকাল সকালে রাজধানীর পপুলার হাসপাতালের কিডনী বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলার মূলঘরের মো. সাব্বির মোল্লার স্ত্রী।

নিহতের স্বামী মো. সাব্বির মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর তার স্ত্রীকে সিজার করার জন্য রাজবাড়ী শহরের আদর্শ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শারমীন আক্তার সুমি তার স্ত্রীর সিজার করেন। সিজারের সময় অ্যানেস্থেসিয়া দেন ডা. একরামুল করিম উল্লাস। ওটি শেষ করার ৪৫ মিনিট পর তার স্ত্রীকে বেডে দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর তার স্ত্রীর খিচুঁনি উঠতে শুরু করে এবং জ্বর এসে মুখ ফুলে যায়। সিজারের পর থেকে তার ইউরিন ডিসচার্জ বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি তখনি নার্সকে জানান। তারা গুরুত্ব না দিয়ে বলে সিজার করলে এমনটা হয়ে থাকে। পর দিন সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তার স্ত্রীর প্রস্রাব হয় না। ফলে শরীর ফুলে যায় ও শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। পরে বিকেল ৫টার দিকে ডা. শারমিন আক্তার সুমি চেম্বারে আসলে তাকে বিষয়টি জানানো হয়। সে কিছু ঔষুধ দেন। সেই ঔষুধ খেয়ে কোন কাজ না হলে পরে পাশের ক্লিনিক থেকে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ইকবালকে এনে দেখান। অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাৎক্ষণিক ঢাকার এ্যাপোলো হসপিটালে রেফার্ড করার জন্য ডা. সুমিকে পরামর্শ দেন। এরপর তাৎক্ষণিক তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পরে পপুলার হসপিটালে আনা হয়। এখানে ৪ দিন আইসিইউতে ও ২দিন সিসিইউতে রেখে ৯ বার ডায়ালাইসিসি দেওয়ার পর রোগী কিছুটা স্বাভাবিক হয়।

তিনি বলেন, রোগীর পরীক্ষায় পপুলার হসপিটালের কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেছেন সিজার করতে গিয়ে অবহেলার কারণে কিডনীতে খোঁচা লাগায় কিডনি ড্যামেজ হয়ে অনুগুলো মারা গেছে। তাই ইউরিন ডিসচার্জ হচ্ছিল না। ফলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে তার মৃত্যু হয়। আমি জড়িতদের বিচার দাবি করছি।