লেবেল পাল্টে ৮ টাকার ইনজেকশন ৬শ’ টাকার প্যাথিডিন
২০ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪ এএম
জি-ডায়াজিপাম নামের ঘুমের ইনজেকশনের লেবেল পাল্টে চেতনানাশক জি-প্যাথিডিন ইনজেকশনে রূপান্তর করা চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরা হলেন, আলমগীর খান (৪০), মাসুদ রানা (২৯) ও আহসান হাবীব শাওন (৩০)। গত সোমবার মতিঝিল, বাড্ডা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি মতিঝিল বিভাগ। তাদের কাছ থেকে জি-প্যাথিডিন ইনজেকশন ২০০ পিস, ২২০ পিস জি-প্যাথিডিনের অ্যাম্পুল, এক হাজার ১০ পিস জি-ডায়াজিপামের অ্যাম্পুল, ৫২০ পিস জি-প্যাথিডিনের খালি বাক্স, ২০০ পাতা জি-প্যাথিডিন ইনটেক স্টিকার, ৫ কেজি এসিডসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
আলমগীর মিটফোর্ট এলাকা থেকে ঘুমের ইনজেকশন প্রতি পিস জি-ডায়াজিপাম ৮ টাকায় কেনেন। বাসায় এনে অ্যাম্পুলগুলো এসিডে ভিজিয়ে রেখে লেবেলগুলো তুলে ফেলেন। পরে সেগুলোতে ব্যথানাশক জি-প্যাথিডিনের লেবেল লাগিয়ে ফয়েল পেপার দিয়ে প্যাকেটজাত করেন। ৮ টাকায় কেনা জি-ডায়াজিপাম ইনজেকশনের লেবেল পাল্টে প্রতি পিস ৬০০ টাকায় বাজারজাত করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল চক্রটি।
এ বিষয়ে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, প্যাথিডিন ইনজেকশন সাধারণত অপারেশনে চেতনানাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই ভেজাল প্যাথিডিন প্রয়োগে নানা দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। ঘুমের ইনজেকশন কেনা ও লেবেল পাল্টাতে পিস প্রতি ৮-১০ টাকা খরচ করে প্যাথিডিনে রূপান্তর করে ৬০০ টাকায় বিক্রি করতো চক্রটি। এতে প্রতি পিসে তাদের লাভ প্রায় ৫৯০ টাকা।
ডিবিপ্রধান বলে, প্যাথিডিন ইনজেকশন ব্যবহার করতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন নামিদামি হাসপাতালের ফার্মেসিতে এসব ভেজাল প্যাথিডিন ইনজেকশন বিক্রি করা হতো। তথ্যের ভিত্তিতে বারিধারা জেনারেল হাসপাতালের ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে ২০০ পিস ভেজাল প্যাথিডিনসহ সেখান থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ডিবিপ্রধান বলেন, এসব ভেজাল ওষুধ বিক্রি করে একদিকে মুনাফা করে আসছিল, অন্যদিকে রোগীদের ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছে চক্রটি। মিটফোর্ডে কারা কারা এসব ঘুমের ইনজেকশন বিক্রি করতো এবং কোন কোন স্থানে এসব প্যাথিডিন বিক্রি করা হচ্ছে এসব বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই প্যাথিডিন ইনজেকশন প্রয়োগে কেউ মৃত্যুঝুঁকিতে পড়েছে কি-না এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার দখলে থাকা ১১ বিঘা জমি ১৮ বছর পর উদ্ধার
‘ওবায়দুল কাদেরের প্রশ্রয়ে কাদের মির্জা এলাকাকে সন্ত্রাসের জনপদ বানিয়েছিল’
ঝিনাইদহে তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
শেরপুরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত
ভোটার হালনাগাদে রোহিঙ্গা বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ ডিসি : ফৌজিয়া খান
সরাসরি ইলিশ বিক্রি করলে দাম কমানো সম্ভব: মৎস্য উপদেষ্টা
চট্টগ্রামকে উড়িয়ে জয়ের ধারায় বরিশাল
"১৯ বছর পর রাণীনগরে মোসারব হোসেন গোল্ডকাপ ফাইনাল, মাঠে হেলিকপ্টারে খেলোয়াড়দের আগমন"
বরিশালে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন সফল করতে সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা
কুড়িগ্রামে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালন
জেলেদের দিক নির্ণয়ের জন্য বরগুনায় লাইট হাউজ স্থাপন
চুপিসারে বিয়ে করলেন সংগীত তারকা দর্শন রাওয়াল
বিডিআর হত্যাকাণ্ড : বিস্ফোরক মামলায় ২ শতাধিক আসামির জামিন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ইউটার্নে নেই সতর্ক চিহ্ন, বাড়ছে দুর্ঘটনা
ঝিনাইদহে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়ার মাহফিল
একশ’ মিটার ব্রিজ না থাকায় ১৫ কিলোমিটার ঘুরপথ, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীসহ লাখো মানুষ
জাপানি ভাষার লেভেল টেস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
মুন্সীগঞ্জে তারুণ্যের উৎসবে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু
আলফাডাঙ্গায় মধুমতী নদীর আড়াআড়ি বাঁধ অপসারণ করলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত
কাউখালীতে বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও বরের ৭ দিনের কারাদণ্ড