তীব্র গরমে ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বাঘ, সিংহ, ভালুক, হরিণসহ সকল প্রাণীকুল। রোদের খরতাপে পাখিদেরও হাঁসফাঁস অবস্থা। তীব্র তাপপ্রবাহ প্রতিদিন বেড়েই চলছে। ঢাকায় গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ সেলসিয়াস। এ ছাড়া দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্র যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কয়েকদিন যাবত অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে মাংসাশী প্রাণীগুলো চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খাঁচার ভেতরে থাকা পানির কুপে বাঘ বা অন্যপ্রাণীরা শরীর ডুবিয়ে, আবার কেউ মুখ ডুবিয়ে গরম থেকে রেহাই পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। হরিণগুলো দল বেধে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছে। মযূর, উটপাখি এগুলো রোদে হাঁসফাঁস করছে। চিয়াখানার সব পশু-পাখির অস্থির হয়ে পড়েছে চৈত্রের তাপদাহে। প্রায় সব প্রাণীর খাবার গ্রহণে কিছুটা অনীহা দেখা দিচ্ছে।
অতিরিক্ত গরমের কারণে চিড়িয়াখানার দর্শনার্থীদের চাপও অনেক কম। ছুটির দিন থাকায় ফ্যামিলি ও বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে যাত্রাবাড়ি থেকে চিড়িয়াখানার পশুপাখি দেখতে এসেছেন মো: আমির হোসেন (৩০)।
তিনি বলেন, চিড়িয়াখানায় এখন মেট্রোরেলে মতিঝিল থেকে খুব সহজেই আসতে পেরেছি। ঈদের পর ছেলে মেয়ের বায়না চিড়িয়াখানায় আসবে তাই এসেছি। প্রচন্ড গরম পড়েছে। এ জন্য পশু পাখি সব খাঁচার ভিতরে ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছে। তারা বের হচ্ছে না। তাই ঠিক মত দেখা যাচ্ছে না।
চিড়িয়াখানার কিউরেটর বলেন, অতিরিক্ত গরমে মাংসাশী ও নানা প্রজাতির পশু পাখির বেশি সমস্যা হয়। তার জন্য আমরা নানা ধরনের ব্যবস্থা আগে থেকেই নিয়ে রেখেছি। খাঁচার হাউসের পাশাপাশি বালতি ও গামলায় করে আমরা বাড়তি পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কিছুক্ষণ পরপর সাধারণ তাপমাত্রার পানি দেওয়া হচ্ছে। এবং ভিটামিন সি ও স্যালাইন দিচ্ছি। এখন পর্যন্ত আমাদের চিড়িয়াখানা কোনো পশুপাখি অসুস্থ হয়নি। কোনো পশুপাখি মারাও যায়নি। অতিরিক্ত গরমে পশুপাখিদের যতেœর প্রতি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, চৈত্র ও বৈশাখ মাসে মাংসাশী প্রাণি ও পাখিদের বেশি সমস্যা হয়। এসময় এসব প্রাণী ও পাখিদের বাড়তি যতœ নিয়ে থাকি।