সরকারের খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে ডিলার রাজিবের বিরুদ্ধে। বরাদ্দের সিংহভাগ চাল এই ডিলার কালো বাজারে বিক্রি করছেন। এতে সুবিধাবঞ্চিত হয়েছেন এলাকার কয়েক’শ লোক। বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডিলার রাজিব মৃধার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। তিনি পরিচিত মুখ দেখে দেখে নির্ধারিত ৩০ কেজি চালের পরিমাণের চেয়ে কম দিয়েছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে সুন্দরবন ইউউনিয়নের বাজিকরখন্ড গ্রামে এই চাল বিতরণে অনিয়ম করেন তিনি। রাজিব মৃধা মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতার আপন ভাগ্নে।

এদিকে ওএমএস চাল বিতরণে অনিয়মের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার। জব্দ করেন ওজনে কম দেয়া ১৫/২০ বস্তা সরকারি চাল। তবে এরমধ্যেই ডিলার রাজিব মৃধা গাঁ ঢাকা দেয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না বলেন, এখানে সরকারের খোলাবাজারে ওএমএস চাল বিতরণে ওজনে কম দেয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। ৩০ কেজি চাল দেয়ার কথা থাকলেও ২৬/২৭ কেজি চাল দেয়া হয়েছে। আর মানুষের কাছে যে চটের বস্তায় চাল দেয়ার কথা সেটাও ডিলার দেয়নি। অন্য প্লাষ্টিক বস্তায় এই চাল দিয়েছেন। চাল বিতরণে প্রতারণা, অনিয়ম এবং সরকারি চাল আতœসাতের প্রমাণ পাওয়ায় ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়া সরকারি চাল বিতরণের সময় সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহিনুর রহমান উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান ইউএনও নিশাত তামান্না।

এদিন সুন্দরবন ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রেজাউল করিম বলেন, কয়েক বছর ধরেই ডিলার রাজিব মৃধা এই অনিয়ম করে আসছেন। তাকে নিষেধ করা হলেও কারও কথা শোনেনা। বুধবার অনিয়ম করে ১২ জন অসহায় গরীবদের ৩০ কেজি চালে ওজনে ২-৩ কেজি কম দিয়েছেন। এই চাল আবার গোপনে অন্যত্র বিক্রি করেন ডিলার রাজিব মৃধা।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসী আব্দুল হাকিম মৃধা ও মো. মোস্তফা হাওলাদার বলেন, ডিলার রাজিব মৃধা ৩০ কেজি সরকারি বস্তার পরিবর্তে অন্য প্লাষ্টিক বস্তায় ২৬/ ২৭ কেজি করে চাল দিয়েছে।

এ বিষয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সটকে পড়া ডিলার রাজিব মৃধার কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ওজনে অত কম দেয়া হয়নি, ১০০ গ্রাম কম হতে পারে। আর চাল দেয়ার সময় তার মামার পক্ষে কোন ভোট চাওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।