ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে নিহত ৮৭৫, গুলিতে মৃত্যু বেশি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৩ এএম | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৩ এএম
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ১৬ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮৭৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুলিতে বেশির ভাগ মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। ১৮ থেকে ২০ জুলাই এবং ৪ থেকে ৭ আগস্ট মাত্র ৭ দিনেই নিহত হয়েছেন ৭৪৮ জন। এ ছাড়া অভ্যুত্থানে আহত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। দেশজুড়ে হতাহতদের বিষয়ে তথ্য বিশ্লেষণ করে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) গতকাল শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এইচআরএসএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ৩২৭ জন এবং ৪ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (অনেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে মারা যান) ৫৪৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ৭৭ শতাংশ গুলিতে মারা গেছেন। ১৯ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা বেশি মারা গেছেন। এ হার ৫৩ শতাংশ। আর ৩০ বছরের মধ্যে বয়স ধরলে, নিহতের হার দাঁড়ায় ৭০ শতাংশে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী, এ হার ৫২ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছেন গুলিতে এবং পুলিশের হামলায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্রলীগকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার জন্য আদেশ দেওয়া হয়। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, আনসার, সোয়াট, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলির বেআইনি ব্যবহার, কাঁদানে গ্যাসের শেল, এ কে ঘরানার অ্যাসল্ট রাইফেলের মতো প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে।
নিহত ৮৭৫ জনের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক ঢাকা বিভাগে ৫৪০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৯১ জন, খুলনায় ৮১ জন, রাজশাহীতে ৬৪ জন, ময়মনসিংহে ৩৮ জন, রংপুরে ২৯ জন, সিলেটে ২০ জন এবং বরিশালে ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
নিহতদের ৭৪৩ জনের নাম জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, সাংবাদিক, পেশাজীবী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, শিশু ও নারীসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থক আছেন। আন্দোলনে কমপক্ষে ১০৭টি শিশু, ৬ জন সাংবাদিক, ৫১ জন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং ১৩ জন নারী ও মেয়েশিশু নিহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ৪ বছরের আহাদ ও ৬ বছরের রিয়া গোপসহ প্রায় সব বয়সী মানুষ রয়েছেন। ৬১৯ জনের মধ্যে ১০৭টি (১৭ শতাংশ) শিশু (১৮ বছরের কম বয়সী) রয়েছে। এ ছাড়া ১৯ থেকে ৩০ বছর বয়সী বা তরুণ ৩২৭ (৫৩ শতাংশ) জন, ৩১ থেকে ৫০ বছর বয়সী বা মধ্যবয়সী ১৫৮ (২৬ শতাংশ) জন, ৫০ বছরের বেশি বয়সী ২৭ জন (৪ শতাংশ) বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ ৬১৯ জনের মধ্যে ৭০ শতাংশেরই বয়স ৩০ বছরের মধ্যে। পেশাভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৩৫২ জনের পেশা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থী ১৮৪ জন (৫২ শতাংশ), শ্রমজীবী ৭০ জন (২০ শতাংশ), আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ৫১ জন (৫ শতাংশ)।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট ৭৭২ জনের মৃত্যুর ধরন সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৯৯ জন বা ৭৭ শতাংশ গুলিতে নিহত হয়েছেন। ৬১ জন (৮ শতাংশ) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছে। ৮৫ জনকে (১১ শতাংশ) পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অন্যান্য কারণে মারা গেছেন ২৭ জন (৪ শতাংশ)।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সালমান এফ রহমানসহ ২৮জনের বিরুদ্ধে সিআইডির ১৭ মামলা
সওদাগার মোস্তাফিজ এখনও বহাল তবিয়াতে, নির্দেশনার পরও পদত্যাগ করে নাই
‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা এখনও যোগ দেননি, তাদের আর যোগ দিতে হবে না’-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে দক্ষ ও পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আবারও ডিএমপির দুই থানার ওসি বদলি
কাশ্মীরের নির্বাচন, যে কারণে জামায়াতের দিকে তাকিয়ে সবাই
সাবেক বিচারপতি মানিক ৬ হত্যা মামলায় গ্রেফতার
আগারগাঁও-মতিঝিল রুটে মেট্রো বন্ধ, দুর্ভোগ চরমে
মার্কিন বিমান পর্যবেক্ষণের জন্য তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান
নিলামে উঠবে স্বৈরাচার আমলের ৪৪ এমপির গাড়ি
ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে মায়ের মৃত্যু
এবার থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে তৈরি হচ্ছে ধাতুর যন্ত্রাংশ
বিক্ষুব্ধ জনতার ভয়ে দীপু মনিকে চাঁদপুর আদালতে আজ হাজির করা হচ্ছে না
আর্জেন্টিনা কোচের দায়িত্ব যে কারণে ছাড়তে চেয়েছিলেন স্কালোনি
৫ বছরের বড় ব্রাজিলিয়ান মডেলকে বিয়ে করলেন এনদ্রিক
ডিএসসিসির সাবেক কাউন্সিলর ফেরদৌস গ্রেফতার
স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করায় বন্ধুকে খুন
১ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত পুলিশের ১৮৭ জন সদস্য কর্মস্থলে অনুপস্থিত
কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক এমপি সেলিম আলতাফ গ্রেফতার
যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক যুবদল নেতার মৃত্যু