ঢাকা   বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জমিয়াত মহাসচিব

সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনে নীতি-নৈতিকতা সম্পন্ন আদর্শবান নাগরিক প্রয়োজন

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার :

০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : নীতি-নৈতিকতা সম্পন্ন সুনাগরিক গঠন ও শান্তি-শৃঙ্খলাপূর্ণ আদর্শ সমাজ বিনির্মানে দ্বীনি শিক্ষার বিকল্প নেই। নিজ সন্তানকে মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারা সৌভাগ্যের বিষয় বলে মন্তব্য করেন দেশের মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী। গতকাল মঙ্গলবার হাফেজ ছাত্রদের দস্তরবন্দী, নাজেরা সবক প্রদান ও পবিত্র কুরআন সবক উপলক্ষ্যে রহমানিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার উদ্যোগে ড. আল্লামা আব্দুর রাজ্জাক আল আযহারীর সভাপতিত্বে আয়োজিত ১৩তম ওয়াজ ও দেয়া মাহফিলে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত থেকে জমিয়াত মহাসচিব এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আজ সমাজের প্রতিটি কোণে কোণে অনৈতিকতা বিরাজমান। সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনের যেমনি শিক্ষিত নাগরীক প্রয়োজন, তারথেকেও অধিক প্রয়োজন নীতি নৈতিকতা সম্পন্ন আদর্শবান নাগরীক। আর এই দুয়ের সমন্বয়ে গঠিত দ্বীনি শিক্ষা তথা মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা। একজন মাদরাসা শিক্ষার্থী যেমনিভাবে দাপ্তরিক কার্যাবলী সুষ্ঠভাবে আঞ্জাম দিতে সক্ষম, তদ্রুপ সমাজের অন্যায়, অনাচার, অনৈতিকতা, দুর্নীতি, অরাজকতা, জুলুম, অত্যাচারের মত সকল ধরণের অমানবিক সিসটেম পরিবর্তন করে শান্তি-শৃঙ্খলাপূর্ণ আদর্শ সমাজ বিনির্মানেও ভুমিকা রাখতে পারে। কেননা মাদরাসা শিক্ষার্থীরা পার্থিব জ্ঞানের পাশাপাশি কুরআন-সুন্নাহ তথা ইলমে ওহী’র জ্ঞান অর্জন করে থাকে।
মহাসচিব বলেন, আমাদের সমাজের মানুষের মাঝে একটি ভুল ধারণা রয়েছে। তারা মনে করে মাদরাসা শিক্ষা নিতান্তই ক্ষীন শিক্ষা ব্যবস্থা। অনেকেতো মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেই ইতস্তবোধ করেন। কিন্তু কেন? আজ সারাবিশ্ব জয় করছে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা। এমন কোন সেক্টর রয়েছে যেখানে মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিতরা অবদান রাখছে না? নিজ সন্তানকে মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারাটা সৌভাগ্যের বিষয়। আগামীতে এমন সময় অপেক্ষা করছে যে, সন্তানকে মাদরাসায় ভর্তি করানোর জন্য অভিভাবকগণ অপেক্ষায় থাকবেন। সমাজে মূল্যায়নের দিক বিবেচনা করলে মাদরাসা শিক্ষার্থীরাই এগিয়ে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
জমিয়াত মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে অন্যদেশ সমূহের না ভাবলেও চলবে। আমাদের দেশে যথেষ্ট মেধাবী ও চৌকষ অর্থনীতিবীদ, রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক গবেষক রয়েছে। এবিষয়ে প্রতিবেশী দেশের সহযোগিতা আমাদের কাম্য নয়। সম্প্রতি ভারতীয় বিভিন্ন উচ্চপদস্ত রাজনৈতিবীদগণ সে দেশ থেকে আমাদের দেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণের পরামর্শ দিচ্ছেন। যা নিতান্তই অনধিকার চর্চা বলে আমি মনে করি। অতী উৎসাহী হয়ে ভিন্নদেশের প্রতি সহানুভুতি প্রদর্শণের মাধ্যমে তাঁদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার একটি মাধ্যম এটি। তিনি এ বিষয়ে নীতি নির্ধারণী কর্তৃপক্ষকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।
মাওলানা মাহমুদুল হাসান মাহমূদীর সঞ্চালনায় আয়োজিত মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. আল্লামা খলিলুর রহমান মাদানী, প্রধান বক্তা আল্লামা মঞ্জুরুল ইসরাম আফেন্দি, এছাড়াও গুরুত্বপূর্ন নসিহত পেশ করেন, আল্লামা আব্দুল্লাহ ইযাহইয়া, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মুফতি হাসান সিদ্দিকী, আল্লামা জোনাইদ কাসেমী, মুফতি আমানুল্লাহ বসন্তপুরী, মুফতি নেয়ামত উল্লাহ প্রমুখ।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

নাম পরিবর্তনের দাবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের
গলায় ফাঁস দিয়ে বৃদ্ধের আত্মহত্যা
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের মানববন্ধন
মানিকগঞ্জে হাঙ্গার প্রজেক্টের গণতন্ত্র অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত
কিশোরগঞ্জের হাওর-অর্থনীতি বেগবান করতে চলছে কয়েকশ কোটি টাকার প্রকল্প
আরও

আরও পড়ুন

কলকাতায় বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের নিরাপত্তা জোরদার

কলকাতায় বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের নিরাপত্তা জোরদার

‘সাইবার মানডে’ উপলক্ষে ওয়েব হোস্টিংয়ে লিমডা হোস্টে চলছে ৬০% পর্যন্ত ছাড়!

‘সাইবার মানডে’ উপলক্ষে ওয়েব হোস্টিংয়ে লিমডা হোস্টে চলছে ৬০% পর্যন্ত ছাড়!

ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী

ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী

ফ্যাসিস্ট সরকারের ৮ বছরের নিষেধাজ্ঞার পর অবশেষে মঞ্চে আসছে থিয়েট্রিক্যাল বাহাস ও কন্ঠনালীতে সূর্য

ফ্যাসিস্ট সরকারের ৮ বছরের নিষেধাজ্ঞার পর অবশেষে মঞ্চে আসছে থিয়েট্রিক্যাল বাহাস ও কন্ঠনালীতে সূর্য

মিলেছে ‘হারিছ চৌধুরী’র ডিএনএ, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের নির্দেশ

মিলেছে ‘হারিছ চৌধুরী’র ডিএনএ, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের নির্দেশ

নাম পরিবর্তনের দাবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের

নাম পরিবর্তনের দাবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের

গলায় ফাঁস দিয়ে বৃদ্ধের আত্মহত্যা

গলায় ফাঁস দিয়ে বৃদ্ধের আত্মহত্যা

আইএসের নৃশংসতার বিচারে জাতিসংঘ ব্যর্থ : নাদিয়া মুরাদ

আইএসের নৃশংসতার বিচারে জাতিসংঘ ব্যর্থ : নাদিয়া মুরাদ

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের মানববন্ধন

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের মানববন্ধন

মানিকগঞ্জে হাঙ্গার প্রজেক্টের গণতন্ত্র অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত

মানিকগঞ্জে হাঙ্গার প্রজেক্টের গণতন্ত্র অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত

এবার ভারতের মালদহে বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল ভাড়া বন্ধ ঘোষণা

এবার ভারতের মালদহে বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল ভাড়া বন্ধ ঘোষণা

কিশোরগঞ্জের হাওর-অর্থনীতি বেগবান করতে চলছে কয়েকশ কোটি টাকার প্রকল্প

কিশোরগঞ্জের হাওর-অর্থনীতি বেগবান করতে চলছে কয়েকশ কোটি টাকার প্রকল্প

প্লাস্টিক ব্যবহার রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম

প্লাস্টিক ব্যবহার রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম

দেশের ৬৯ কারাগারের ১৯টি ঝুঁকিপূর্ণ, ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি এখনো পলাতক

দেশের ৬৯ কারাগারের ১৯টি ঝুঁকিপূর্ণ, ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি এখনো পলাতক

পায়রার রাজস্ব আয় বাড়বে তিনগুণ, দেশের অর্থনীতিতে রাখবে বড় ভূমিকা

পায়রার রাজস্ব আয় বাড়বে তিনগুণ, দেশের অর্থনীতিতে রাখবে বড় ভূমিকা

মমতা ব্যানার্জির মনে গভীর কট্টরপন্থি হিন্দুত্ববাদ : রিজভী

মমতা ব্যানার্জির মনে গভীর কট্টরপন্থি হিন্দুত্ববাদ : রিজভী

কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ : প্রধান উপদেষ্টা

কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ : প্রধান উপদেষ্টা

কুড়িগ্রামে সাবেক এমপি পুত্র সবুজ গ্রেফতার

কুড়িগ্রামে সাবেক এমপি পুত্র সবুজ গ্রেফতার

ভারতে ৫.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

ভারতে ৫.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

অমৃতসরে স্বর্ণ মন্দিরে পাঞ্জাবের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিং বাদালের ওপর গুলিবর্ষণ

অমৃতসরে স্বর্ণ মন্দিরে পাঞ্জাবের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিং বাদালের ওপর গুলিবর্ষণ