চট্টগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা চাইলেন মেয়র ডা. শাহাদাত
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১১ এএম | আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১১ এএম
চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিজ্ঞানসম্মত সমাধান করতে দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ সহায়তা চান মেয়র। সাক্ষাৎকালে মেয়র শাহাদাত বলেন, বন্দরনগরী চট্টগ্রামে প্রতিদিন গড়ে ২০০০ থেকে ২৫০০ টন কঠিন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এ বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্স্থাপনা করা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ বর্জ্যরে কারণে একটু বৃষ্টিতেই পানিবদ্ধতায় ডুবে যায় বন্দরনগরী। এছাড়া, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ পলিথিন ও প্লাস্টিকে ঢেকে গেছে। এতে নাব্য হারানোর পাশাপাশি দূষণের কবলে হুমকির মুখে পড়েছে নদীটি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিভিন্ন দেশের একাধিক প্রস্তাব থাকলেও প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন পরিবেশসম্মত কী না তা নিশ্চিত হতে চাই। প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত দক্ষিণ কোরিয়া চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি সামগ্রিক সমাধান প্রদান করতে পারে যার আওতায় বর্জ্য সংগ্রহ থেকে রিসাইক্লিং এবং বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরের পথরেখা থাকবে। আমার স্বপ্ন আমি জনগণকে সাথে নিয়ে ক্লিন, গ্রীন, হেলদি চট্টগ্রাম গড়ব। চট্টগ্রামকে ঠিকভাবে ঢেলে সাজালে নদী-সমুদ্র-পাহাড়বেষ্টিত চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন শিল্পকে কাজে লাগিয়ে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও কর্মসংস্থান করা সম্ভব।
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগের ফলে বিপুল কর্মসংস্থান হয়েছে চট্টগ্রামে। বর্তমানে নগরীর যোগাযোগ অবকাঠামোকে ঢেলে সাজাতে আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। এছাড়া, নগরীর পানিবদ্ধতা নিরসণেও নেয়া হয়েছে একাধিক প্রকল্প। ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম একটি আদর্শ স্থানে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পগোষ্ঠীগুলো আরো বিনিয়োগ ও শিল্প-কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে এই সুবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারে।
জবাবে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষ করে অপচনশীল বর্জ্য ও ই- বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এখন পুরো বিশ্বের জন্যই চ্যালেঞ্জ। চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষিণ কোরিয়ার কোন সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়া হলে তা চট্টগ্রামের জন্য মঙ্গলকর হবে। এছাড়া, চট্টগ্রামের দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যা, শিল্পায়ন ও নগরায়নের চাপ সামলানোর জন্য যে কোন সমস্যার সমাধানে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, আইন কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মুরাদ, কোরিয়ান দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব লী নামসু, ডা. এস এম সরোয়ার আলম, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী (মারুফ)।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সারজিসসহ ৪৫ জনের পাসপোর্ট জব্দের তথ্যটি ভুয়া
রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিল অস্ট্রেলিয়া ,নাগরিক নিহত হলে শাস্তি হবে কঠিন
বাংলাদেশ পুলিশের অত্যাচারী আচরণের নতুন ভিডিও ফাঁস
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা
আজ ছোট পর্দায় মুক্তি পাবে নাটক 'হোয়াট এ বৌ'
পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের ছবি সরিয়ে ফেললেন ভারতের সেনাপ্রধান
বরিশাল ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড অ্যলায়েড সায়েন্সেস চিকিৎসা সেবায় ব্যাপক অবদান রাখছে
হাসিনাকে নিয়ে ‘সম্ভাব্য ঝুঁকি’তে সচেতন ছিলেন না টিউলিপ এটি ‘দুঃখজনক’ : লরি ম্যাগনাস
শেখ পরিবার একটি চোরের কারখানা’
অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা মামুন
জিমি কার্টারের প্রতি ৩০ দিনের শোকাবস্থা উপেক্ষা করে ট্রাম্পের পতাকা উত্তোলন
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা-তারেকসহ সব আসামি খালাস
টিউলিপের জায়গায় নিয়োগ পেলেন এমা রেনল্ডস
পদত্যাগপত্রে টিউলিপ সিদ্দিক যা লিখেছেন
টিউলিপের পদত্যাগ ইস্যুতে প্রেস উইংয়ের বিবৃতি
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে কায়রো, ঢাকার অবস্থান ৬ নম্বরে
মেয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে লাশ হলো "মা"!
মীরসরাইয়ে মুন্না খুনের ঘটনায়, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক বহিষ্কার
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেফতার
আজ সারদায় ৪৮০ এসআইয়ের সমাপনী কুচকাওয়াজ