বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক দেশের ভিসা
১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩০ এএম | আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩০ এএম
ট্যুরিস্ট ভিসায় দেশের বাইরে গিয়ে থেকে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এ কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ট্যুরিস্ট ভিসা। ইতোমধ্যে কোনোপ্রকার আলোচনা ছাড়াই ট্যুরিস্ট ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে ভিয়েতনাম। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের অভিমত, আলোচনা ছাড়া ভিসা বন্ধ করা ঠিক না। আলোচনা ছাড়া হুট করে ভিসা বন্ধের পক্ষে নয় ট্যুর অপারেটররাও। তাদের দাবি, অনিয়ম বন্ধে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগের।
এখন থেকে দেশের বাইরে যেতে হলে আগে থেকেই ভাবতে হয় কোথায় যাওয়া যাবে আর কোথায় যাওয়া যাবে না। কারণ ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে দেশের বাইরে গিয়ে থেকে যাওয়ার প্রবণতার কারণে বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক দেশে যাওয়ার সুযোগ। বছরে দুয়েকবার ছুটিছাটায় দেশের বাইরে ঘুরে বেড়াতে যারা পছন্দ করেন, বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করা জুনায়েদ তাদের একজন। তিনি বলেন, ঘুরতে যাওয়া নিয়ে তার সাম্প্রতিক ভোগান্তির কথা। তিনি বলেন, এম্বাসিকে বিশ্বাস করাতে কষ্ট হয় যে আমরা রিয়েল ট্রাভেলার। তখন তাদেরকে বিভিন্ন ধরণের প্রমাণ দিতে হচ্ছে তাদেরকে। কিছু কিছু এম্বাসি বা ট্রাভেল এজেন্সি ভিডিও কলে অফিস দেখতে চায়। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য বন্ধ বা সীমিত হয়েছে বেশ কিছু দেশের দরজা। এ তালিকায় আছে তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, কম্বডিয়াসহ মধ্য এশিয়ার একাধিক দেশ। এ তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন ভিয়েতনাম। এ খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, পর্যটনের নামে একশ্রেণির অসাধু চক্রের আদম ব্যবসা এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। অভিযোগ আছে, সরকারও তেমন মনোযোগী নয় এ বিষয়ে।
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেলস এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সাধারণ সম্পাদক আফসিয়া জান্নাত সালেহ বলেন, অসৎ উদ্দেশে ট্যুরিজমের নামে লোক পাঠিয়ে দিলো, সেই লোক গিয়ে আর ফেরত এলো না তখন সেই সব দেশের কাছে বাংলাদেশ নিয়ে একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। এরপর রিয়েল ট্রাভালাররা এর জন্য ভুক্তভোগী হন। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) পরিচালক তাসনিম আমিন শোভন বলেন, যখন ওভার স্টে করা হয় তখন বাংলাদেশের ব্যক্তিদের ভিসা না দিতে সেসব দেশের সরকার বাধ্য হয়। অভিযোগ থাকলেও, আলোচনা ছাড়া ভিসা বন্ধ করাটা সমীচীন নয় বলে মনে করেন ট্যুর অপারেটররা। জোর দিতে চান সচেতনতা তৈরিতে। অভিবাসন খাতের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রামরুর নির্বাহী পরিচালক মনে করেন, এমন পরিস্থিতি এড়াতে সরকারের উদ্যোগটা জরুরি। আর নিতে হবে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রেফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) নির্বাহী পরিচালক সি আর আবরার বলেন, বিদেশে যাদেরকে আটকানো হয় বা ফেরত পাঠানো হচ্ছে সেখান থেকেই তো ফলোআপ করা যায় তাদেরকে কারা পাঠিয়েছিল, কিভাবে পাঠিয়েছিল। এবং সেখানে গবেষকদের সঙ্গে রাষ্ট্রের একটা যোগসূত্র হওয়া দরকার। যার মাধ্যমে এটা আমরা বিশ্লেষণ করে দেখতে পারি। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে অন্য দেশও এমন পথে হাটতে পারে বলে আশঙ্কা এই গবেষকের।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
খুশদীলের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রংপুরের আটে আট
মেডিকেল কলেজে শিক্ষক বাড়ানোর কথা ভাবছে সরকার
ছাত্রদলের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি আজ
গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠনে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন
অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে তাকিয়ে ইইউ
ভারতের উদ্বেগের মধ্যে হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে পাকিস্তান
সান্ত¡না খুঁজে পাচ্ছেন না, দুই দেশে কলঙ্কিত টিউলিপ
দুর্নীতির মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির কারাদণ্ড
বিদেশে টাকা পাচারের রাজনীতি মানুষ চায় না : পীর সাহেব চরমোনাই
শেখ পরিবারের রক্তের জন্যই দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন টিউলিপ -রিজভী
নামাজ মু’মিনের জন্য মেরাজস্বরূপ
ক্রেডিট কার্ডে বিদেশে বাংলাদেশিদের লেনদেন কমেছে
স্বনির্ভর অর্থনীতির পথে দেশ
বগুড়ার বিমানবন্দর দ্রুত চালুর দাবি
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশকে মানবাধিকার লংঘন বন্ধ করতে হবে : হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
হাজারীবাগের ট্যানারির গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্র দেওয়া জরুরি : নুরুল হক নুর
গণঅভ্যুত্থানের ইশতেহারে বিএনপির ভূমিকা লিখতে হবে : জয়নুল আবদিন
নির্বাচনে রাজনৈতিক নেতাদের পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতি দিতে হবে
ব্যবসা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রে অফিস খুলবে