ঈদের খুশি ভাগাভাগি করতে এসেছিল গ্রামে, এবার ফেরার পালা
০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৫ এএম

আনন্দ ও উৎসবের বার্তা নিয়ে বছর ঘুরে এসেছিল মুক্ত পরিবেশ আর স্বস্তির ঈদ। ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশির দিন। প্রিয়জনদের সাথে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করতে শহরে মানুষ ছুটে এসেছিল গ্রামে। যারা রাজনৈতিক কারণে বহু বছর গ্রাম ছাড়া ছিল তারাও ফিরেছে নিঃসংকোচে। সব মিলিয়ে যেন শহর গ্রামে ফিরে এসেছে। ঈদের কটাদিন সারাদেশ মেতে উঠেছিল। বিশেষ করে ঈদের দিন নামাজ শেষে কোলাকুলি আর ঈদ মোবারক ধ্বনিতে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাঝে সব আত্মা যেন এক হয়ে গিয়েছিল। ফিরে পেয়েছিল আত্মার আত্মীয়র সান্নিধ্যে। ঈদের জামাত ও মোনাজাতে ছিল আলাদা। ঈদগা ও মসজিদ কমিটিগুলো একটি বিশেষ গোষ্ঠির নিয়ন্ত্রণে। তাদের ইচ্ছেই দলীয়ভাবে হতো ঈদের বয়ান ও মোনাজাত। যা সাধারণ মুসল্লিদের কাছে ছিল বিরক্তিকর। এবার তেমনটি ছিলনা। এবারের ঈদ এসেছিল বহু বছর পরে ভিন্ন আমেজ নিয়ে। রমজান যেমন রহমতের ছিল তেমনি ঈদও। ছিলনা পথের ক্লন্তি। ট্রেন বাসে টেনশন নিয়ে ঘরে ফেরার দুশ্চিন্তা। সব কেমন যেন স্বাভাবিক ভাবেই চলেছে। ঈদে শহর নগরের চেয়ে গাঁও গেরাম যেন বেশি জেগে উঠেছিল। সেজেছিল অন্যরকম সাজে। কেউ বলে নাড়ির টানে। কারো ভাষা শেকড়ের কাছাকাছি আবার কারো কথা হলো মাটির টানে সবাই ছুটে আসে নিজ গ্রামে। স্বজনদের কাছে। সেখানকার কাদামাটি গায়ে লেপ্টে আছে। শিশুকাল শৈশবকাল আর তারুণ্যভরা দিনগুলো কেটেছে। কত স্মৃতি কত কথা। যার শেষ নেই। লেখাপড়া ব্যবসা কিংবা চাকরি। জীবন জীবিকার টানে গ্রাম ছেড়ে শহর নগরে ঘরবাড়ি গড়া। কংক্রিটের দালান কোঠা আর যান্ত্রিকতার ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া।
সবচেয়ে বেশি আনন্দে ছিল এ প্রজম্মের তরুণ তরুণীরা। শহরে ইট পাথরের পাষানে বন্দি হয়ে বেড়ে ওঠা। ছকে বাধা জীবন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার আর কম্পিউটারের পর্দায় চোখ রাখতে হাঁপিয়ে ওঠা ওসবের বালাই ছিলনা কটাদিন। মুক্ত বিহঙ্গের মত ছুটে বেড়িযেছে সবুজ ধান ক্ষেতে। লাউ, শশা, করল্লার মাচার নীচে দিয়ে ছুটতে গিয়ে শিহরিত হয়েছে। শহরে জীবনের কথা গ্রামের কথা সবাই মিশে একাকার হয়ে গেছে। এভাবে কটাদিন কিভাবে যে পার হয়ে গেল টেরই পাওয়া যায়নি। ঈদের পরের দিনটা পার হতে না না হতে ফের বাক্স পেটরা গুছানোর পালা। ফিরে যাবার প্রস্তুতি। বেজে ওঠে বিষাদের সুর। গ্রামের স্বজনদের আকুতি আর কটাদিন থেকে গেলে হতো না। যদিও প্রযুক্তির কল্যাণে হরহামেশা যোগাযোগ ঘটছে। কিন্তু সশরীরে এমনভাবে তো আর কাছে পাওয়া যায় না। তাই মন সায় দেয়না এত তাড়াতাড়ি বিদায় জানাতে। কিন্তু উপায় নেই। চাকরি, ব্যবসা, লেখাপড়ার সেই জীবনতো শুরু হয়ে যাবে। ফিরে যেতেই হবে যান্ত্রিকতা ভরা জীবনে। যন্ত্রদানবের পেটে ঢুকে ঠাসাঠাসি গাড়াগাড়ি করে অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে যেমন ফিরে এসেছিল শেকড়ের কাছে। আবার তেমনি ভাবে ছল ছল চোখে ফেরা। এমনিভাবে প্রতি বছর গাঁও গেরামে ঈদ আসে আর যায়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

‘মঙ্গল’ নাম বদলে ক্ষোভ, ব্যাখ্যা চান চারুকলার শিক্ষার্থীরা

এক হাজার শয্যার আধুনিক হাসপাতাল উপহার দিচ্ছে চীন

২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

বৈশাখের কালো ঘোড়া

কালবৈশাখী

বৈশাখ

আচানক এইসব দৃশ্য

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

নারায়ণগঞ্জে আরসা প্রদানসহ ছয় জনের ফের আট দিনের রিমান্ডে

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ সরদার বকুলের বিরুদ্ধে

ভারতীয় আধিপত্যবাদের হুমকিভারতীয় আধিপত্যবাদের হুমকি

কবিতায় বৈশাখ

দ্রুত সময়ে ময়মনসিংহে বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ শুরু হবে: বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ

নববর্ষ ও বিজাতীয় আগ্রাসন

নানার বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেলো শিশুর

বাংলা সন ও সাংস্কৃতিক লড়াই

মাগুরার চাঞ্চল্যকর আছিয়া ধর্ষন মামলার চার্জশিট দাখিল

‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগান দেয়ার নির্দেশ দিয়ে বিতর্কে তামিলনাডুর রাজ্যপাল

ঝিনাইগাতীতে কুয়া খননকালে অক্সিজেনের অভাবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু, আহ ১ জন

মহিলাদের মাথার ঝরে যাওয়া চুল বিক্রি করা প্রসঙ্গে?